দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
এদিকে, তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার পুরসভার গেটে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। তাদের তোপ, শহরের নাগরিক পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। লাটে উঠেছে পুরসভার কর্মসংস্কৃতি। কর্মীরা ঠিকমতো অফিসে আসছেন না। দেখার কেউ নেই। বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা মিলছে না। শহরের রাস্তাঘাট বেহাল। আম্রুত প্রকল্পের জল কবে মিলবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এরই প্রতিবাদে তাদের আন্দোলন। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের নামে যা প্রহসন ছিল বলে অভিযোগ তুলে এদিন ‘কালাদিবস’ পালন করে কংগ্রেস।
দলের জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি তথা শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অম্লান মুন্সির তোপ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য দিনবাজারে সরকারি অর্থ খরচে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। এখন শুনছি, সেই মার্কেট কমপ্লেক্সের ঘর বিক্রি করে দিতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি জানতে চাইব। প্রতিবাদ করব। এ ব্যাপারে জোর করে পাশ করানোর চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলের তরফে আন্দোলন হবে।
দিনবাজারে মার্কেট কমপ্লেক্সে ঘর বিক্রির কোনও এক্তিয়ার পুরসভার নেই বলে তোপ দেগেছেন সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, দিনবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য ওই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। এখন পুরসভা বিপাকে পড়েছে বলে ওই মার্কেট কমপ্লেক্স বিক্রি করে দেবে, এটা কখনওই হতে দেব না আমরা। কেন পুরসভার এই অবস্থা হল, তা জানাতে হবে শহরবাসীকে।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, কেন জলপাইগুড়ি পুরসভার এই বেহাল অবস্থা, তা শ্বেতপত্র আকারে জানানো হোক শহরবাসীকে। পুরসভার অর্ধেক কর্মী ঠিকমতো অফিসে যান না বলে অভিযোগ তাঁর।
দিনবাজারে মার্কেট কমপ্লেক্সের ঘর বিক্রির ভাবনা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে না চাইলেও পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, পুরসভার নিজস্ব তহবিল বৃদ্ধিতে চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বোর্ড মিটিংয়ে তা কাউন্সিলারদের সামনে রাখা হবে। - নিজস্ব চিত্র।