Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির ওঠাপড়া

হিমাংশু সিংহ: মুখেন মারিতং জগৎ! সিপিএম ধীরে ধীরে ফেসবুকের দলে পরিণত। আর গেরুয়া পার্টি মত্ত বিদ্বেষ, মেরুকরণ আর সাম্প্রদায়িকতার বাজারি বিপণনে। বিধানসভা ভোটের একবছর আগে দুই প্রধান প্রতিপক্ষই বেশ বুঝতে পারছে, এবার পিচে কিছুই নেই। না স্পিন, না পেস। সেই কারণে দু’পক্ষই আগের বারের চেয়েও দিশাহীন। উইকেটে তৃণমূল যে বড় ইনিংস গড়তে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। সিপিএম দলীয় সম্মেলন নিয়েই ক্লান্ত আর বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে হবেন সেই খোঁজেই ধ্বস্ত! দিল্লির জয়ের পর অঙ্গ, বঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে মোদি-অমিত শাহ যতই ঝাঁপান, কট্টর হিন্দুত্ব ছাড়া বঙ্গ বিজেপির আর কিছুই দেওয়ার নেই। এই বঙ্গে তারা এখনও স্রেফ ‘বহিরাগত’। আগমার্কা আরএসএস নয়, দলবদলু নির্ভর।
একুশের ভোটে দু’পক্ষই ভেবেছিল, তৃণমূলকে যা খুশি বলে দেগে দিলেই বুঝি পালাবদল নিশ্চিত। চ্যানেলে চ্যানেলে সান্ধ্য টক-শোতে গলার শির ফুলিয়ে ভাষণ দাও। জানা বিশেষণের ভাণ্ডার দাও উজাড় করে। দল ভাঙো। টাকা ছড়াও। কিন্তু এত কিছুতেই কাজ না-হওয়ায় এখন হতাশা দানা বাঁধছে। যাঁরা তোপ দাগছেন এবং যে ব্যানারের তলায় দাঁড়িয়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন, দু’য়েরই বিশ্বাসযোগ্যতা এই বঙ্গে তলানিতে। তাঁরা নিজেরাও অভিজ্ঞতা থেকে বেশ বুঝতে পারছেন, স্টুডিওর কৃত্রিম যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশের বাইরে বেরলেই সব ইস্যু ফিকে, ধূসর! নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সন্দেশখালি পেরিয়ে আর জি কর, সব ফ্লপ! এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! যতই লোপ্পা ক্যাচ উঠুক, ধরার মতো ফিল্ডার নেই।
সিপিএমের সম্মেলন আছে, দু’শো গালভরা কমিটির বাহার আছে, গঠনতন্ত্র আছে কিন্তু এগারোর পর শুরু হওয়া রক্তক্ষরণ থামানোর দাওয়াই নেই। উল্টে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি বামেদের ভিটেমাটি ছাড়া করেছে। দলের রিপোর্টই বলছে, ২৫ হাজার সদস্য কমেছে। যাঁরা আছেন, তাঁরাও কি সবাই সক্রিয়? বুথে বুথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতা ধরেন? তাই একটা রাজ্য সম্মেলন কিংবা পার্টি কংগ্রেস দলের এই করুণ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ বাতলাতে পারবে না। ৩৪ বছরের গর্বের অতীত ফেরাতে আরও ৬৮ বছরের ত্যাগ ও সংগ্রাম লাগবে, কমরেডরা প্রস্তুত তো?
পাশাপাশি উনিশ সালের লোকসভা কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের আগের তুলনায় বঙ্গে বিজেপির অবস্থাও আজ শোচনীয়। জেলায় জেলায় তৃণমূল ভেঙে গেরুয়াকে উজ্জীবিত করার পাঁচ বছর আগের ফর্মুলা ভোঁতা। এজেন্সি দিয়ে জেলে পোরার হুমকিতে আর কাজ হওয়ার নয়। ব্রহ্মাস্ত্র একবারই প্রয়োগ করা যায়। স্টেরয়েড রোজ দিতে নেই, কাজ হয় না। আসলে বিজেপি এ রাজ্যে সব তাস খেলে ফেলেছে। ছাব্বিশে আর এক দফা মহা সংগ্রামের আগে তাই নতুন আর কোনও চমক হাতে নেই। সবাই জানে আবার মোদি, অমিত শাহের ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। হাওয়াই জাহাজের চক্কর সকাল থেকেই কাঁপাবে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ। দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রেখে এই নাটকে বাংলা ও বাঙালির লাভ? 
বরং তৃণমূলকে বুঝে নেওয়ার চেয়ে ঝগড়া থামানোই বঙ্গ বিজেপির পাখির চোখ। নির্বাচনের পর নির্বাচনে নেতৃত্বের চূড়ান্ত ব্যর্থতা সত্ত্বেও নানা গোষ্ঠী আর উপ দলের স্রোতে আজ বঙ্গ বিজেপির ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছে দিল্লির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। কারণ, সভাপতির নাম ঘোষণামাত্রই আড়াআড়ি ভাগ আরও প্রকট হবে। কোন কূল রাখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ও পরে দু’টি ইস্যু নিঃসন্দেহে গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সন্দেশখালি ও আর জি কর, ডান-বাম নির্বিশেষে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মরা গাঙে কোহিনুরের সন্ধানে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এমন যেন নির্বাচন ছাড়াই বাংলায় সরকার বদলে যাবে। কিন্তু টানা সাতমাস পরও কই নুড়ি পাথরও তো উঠল না! এই বাংলা মমতার ছিল, আছে এবং থাকবে। আপাতত ছাব্বিশের একবছর আগে এটাই প্রতিষ্ঠিত সত্য। কথা ছিল, পৌষ সংক্রান্তি কাটলেই একটা তাজা গেরুয়া ব্যক্তিত্বকে সভাপতি হিসেবে পাবে বাংলা। সংক্রান্তি কাটল। বলা হল, দিল্লি নিয়ে অমিত শাহরা বড্ড ব্যস্ত। সবুর করুন। তা ভোট পেরিয়ে দিল্লিরও সরকার গড়া শেষ। এখনও বিজেপির প্রতিষ্ঠিত নিয়ম ভেঙে এ রাজ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই সংগঠনের শীর্ষে। বিজেপি জানে, এ রাজ্যে তাঁদের যাবতীয় অস্ত্র একুশে এবং চব্বিশেই ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। আর দু’মাস বাদে যখন দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন তখন মমতা ‘হিন্দু নন’, এ রাজ্যে ‘মোল্লার সরকার’ চলছে—এক ফ্লপ দলবদলু নেতার এহেন আস্ফালন হালে পানি পাবে বলে মনে হয়? এসব সস্তা বাকোয়াস ধোপে টিকবে কি? নাকি বাঙালির মন অতীত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভুলে শুধু বিদ্বেষ আর বিভাজনে সায় দেবে। বিজেপি দিল্লি জয়ের পরে যতই বাংলাকে পাখির চোখ করুক, রেকর্ড দশ এগারো দিন আরএসএস প্রধান বাংলায় থেকে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে দিয়ে যান—উন্নয়ন নয়, বাংলার সাংস্কৃতিক প্রগতি নয়, একমাত্র ধর্মীয় বিভাজন এবং তাকে উস্কানি দিয়ে একটা বিষাক্ত সমাজ তৈরিতে ইন্ধন দেওয়া ছাড়া এ রাজ্যে বিজেপির আর কোনও কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। তাই পড়শি বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনে তাদের চোখ চকচক করে ওঠে। কারণ, ওতে মেরুকরণ আর এক প্রস্থ ধারালো হবে। কিন্তু খড়কুটো আঁকড়ে ধরে কোনওরকমে ভেসে থাকা যায়, জেতা যায় না!
কী অবস্থা ‘শূন্য’ সিপিএমের? গত কয়েকমাস ধরে জেলায় জেলায় সম্মেলন পর্বে অস্তিত্ব হারানো একটা দল শুধু নিজেদের মধ্যে ঝগড়া আর একে অপরের বিরুদ্ধে ফন্দিফিকির এঁটেই গেল। এই গণ্ডগোল সামাল দিতে না পেরে পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ এবং কোচবিহার জেলায় দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করে পুরনো পক্বকেশ নেতাকেই সম্পাদক পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক অঙ্ক কষেও ওই ফর্মুলা কাজ করেনি উত্তর ২৪ পরগনায়। অসুস্থ জেলা সম্পাদককে সরিয়ে নয়া নেতৃত্বকে মেনে নিতে কার্যত বাধ্য করা হয়েছে আলিমুদ্দিনের কর্তাদের। নতুন বছরে সিপিএমের মধ্যেকার গণ্ডগোল কতটা ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ উপ নির্বাচনে বরানগরের পরাজিত প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যকে এক মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগে দল থেকে সাসপেন্ড করা। যে অভিযোগে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দেয়, সেই অভিযোগে দলের একজন নেতাকে সম্মেলন পর্বে বসিয়ে দেওয়া কোন পবিত্র গঠনতন্ত্রের কুফল? বিশেষ করে দলের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ইন্ধন জুগিয়েছে কারা? তন্ময়বাবুর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে কে? দল না বিরোধীরা? সেলিম বিমান সূর্যকান্তের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠলে পার্টি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে তো? দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলা কমিটি গঠিত হওয়ার পরদিন একে একে পদত্যাগ প্রমাণ করে শূন্যের অপমান ঘোচানো নয়, অন্তর্দলীয় কূটকচালির মধ্যে দিয়ে ইতিহাস থেকে মুছে যাওয়াই সিপিএমের ভবিতব্য। সেই কারণেই চুরাশি পেরনো বিমান বসুকেও রাজ্য সম্মেলনের আগে বিবৃতি জারি করতে হয়। যদিও তা শোনার লোক পার্টিতে আর বড় একটা আছে বলে মনে হয় না। যখন ভোট রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার তুলনায় শূন্য হয়ে যাওয়া দলের 
সংগঠনে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার বাসনা উদগ্র রূপ নেয়, তখন বুঝতে হবে সেই দলের স্বখাত-সলিলে ডুবে মরা ছাড়া আর কোনও গতি নেই। কারণ, নেতৃত্ব জানে, তৃণমূল-বিজেপি বাইনারি এখনই ভাঙবে না। আর ৩৪ বছরে সিপিএম 
নামটা এত ক্লিশে এবং কলঙ্কিত হয়ে গিয়েছে যে যতই মধু ঢালুন, ন্যায়-বিবেকের কথা বলুন না কেন, ভোটে ৩ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি সমর্থন মিলবে না। পড়ে রইল তরুণ প্রজন্ম। মীনাক্ষী, দীপ্সিতা, সৃজন ও ‘কীর্তন’ সম্প্রদায়। তাঁরা কেউই তো রাজনীতিতে নতুন নন। এ পর্যন্ত ভোটে দাঁড়িয়ে এই উজ্জ্বল একঝাঁক পায়রা নিজেদের জামানতটুকুও কি বাঁচাতে পেরেছেন? এভাবে শুরুতেই কঠিন পিচে হারার জন্য খেলতে নামিয়ে মীনাক্ষীদের রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়ার দায় এড়াতে পারে না রাজ্য নেতৃত্ব। 
আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে। যদি না মহারাষ্ট্র কিংবা দিল্লির মতো ভোটার তালিকায় ব্যাপক কারচুপির আশ্রয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল নিতে না পারে তাহলে এখনই বলে দেওয়া যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ শুধু বছর ঘোরার অপেক্ষা। পাঁচবছর আগের চেয়েও একপেশে ভোট দেখবে এবার বাংলা। সিপিএম শূন্য থেকে এক, বিজেপি ৩০ থেকে ৪০...। আড়াইশোর আশপাশে তৃণমূল।
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
একনজরে
সেয়ানে সেয়ানে ...

তেলেঙ্গানার নাগরকুর্নুলে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান সুড়ঙ্গের ছাদ। উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের ভয়ঙ্কর স্মৃতি উস্কে দিল শনিবারের এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, অন্তত ৮ জন ভিতরে আটকে পড়েছেন। ...

দেউচা-পাচামি নিয়ে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস! বহিরাগতদের বীরভূমের ‘মূলবাসী’ সাজিয়ে প্রকল্প ভেস্তে দিতে চলছে গেরুয়া উস্কানি। ছবি ও তথ্য প্রমাণ হাজির করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল ...

বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ফের অমানবিক ছবি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হাসপাতালের ভিতর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একতলায় সিঁড়ির নীচে পড়ে মুমূর্ষু এক রোগী। কথা বলার শক্তি পর্যন্ত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: ইংরেজ কবি জন কিটসের মৃত্যু
১৮৪০: সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহর জন্ম
১৮৮৬: বিশিষ্ট রসায়নবিদ চার্লস মার্টিন হল মূল্যবান এ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের সুত্র আবিষ্কার করেন
১৯০৪: ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ সংস্কারক ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সাইন্স এর প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্রলাল সরকারের মৃত্যু 
১৯১৩: জাদুকর প্রতুলচন্দ্র সরকার বা সিনিয়ার পিসি সরকারের জন্ম
১৯৬৫: ইংরেজ কমিক অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যান লরেলের মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী মধুবালার মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীর জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা আয়ুব খানের জন্ম
১৯৭৪: ফ্যাশন ডিজা‌ইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হার্শেল গিবস জন্মগ্রহণ করেন
১৯৮১: ইংরেজ ফুটবলার গ্যারেথ ব্যারি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮২: অভিনেতা ও মডেল করণ সিং গ্রোভারের জন্ম
১৯৯৮: ক্রিকেটার রমন লাম্বার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৯/৩৩ দিবা ১/৫৬। মূলা নক্ষত্র ৩১/৩০ রাত্রি ৬/৪৩। সূর্যোদয় ৬/৬/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/২৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৩ গতে ৯/৫৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ গতে ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৪ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৪ গতে ২/৫৭ মধ্যে। 
১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১০/২৯। মূলা নক্ষত্র দিবা ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ গতে ৯/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে ও ১২/৫৬ গতে ১/৪৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৭/১৭ মধ্যে ও ১২/১০ গতে ৩/২৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/০ মধ্যে। 
২৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ভারতের বিরুদ্ধে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের

02:04:00 PM

বামপন্থীদের আক্রমণ ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির
বিশ্বব্যাপী বামপন্থীরা দ্বিচারিতা করেন বলে আক্রমণ করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া ...বিশদ

02:02:36 PM

ডোমকলে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরি
মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া, জলঙ্গির পর এবারে ডোমকলে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরি। ...বিশদ

01:51:23 PM

ভারত-পাক মহারণ: স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় ভারত ও পাক সমর্থকদের

01:48:00 PM

আশা করছি টিম ইন্ডিয়া জিতবে: বজরং পুনিয়া

01:33:00 PM

হরিয়ানায় গাড়ি ও লরির সংঘর্ষের জেরে মৃত কমপক্ষে ৪, জখম ৩

01:25:00 PM