Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

হিমাংশু সিংহ: মমতার মতো ফাইটার সবাই হয় না। হাজার কোটির প্রচার ও নেতা কেনাবেচাকে হারিয়ে তিনি অবলীলায় গদি রক্ষা করতে পারেন। সেই কারণেই একুশে, চব্বিশে বাংলায় থমকে গিয়েছে গেরুয়া আগ্রাসন, যার কেতাবি নাম ‘মোদি রথ’। ছাব্বিশের দেওয়াল লিখনও বেশ পড়তে পারছে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু বেচারি কেজরিওয়াল পারলেন না। টাকা ক্ষমতা, আর উচ্চকিত প্রচারের সামনে তাঁকে হার মানতেই হল। মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট, যত্নে গড়া শিশমহল, বিতর্কিত মাদক আইন, লোকপাল আন্দোলন... পিছনে পড়ে রইল সব। দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়েই গদি হারালেন ভোটে হেরে। কিন্তু, পেল্লায় প্রাসাদ তো শুধু কেজরিওয়াল বানাননি। ওটা সরকারি সম্পত্তি। তাই সঙ্গে করে নিয়ে যেতেও পারেননি বহুমূল্য জাকুজি, সোনার জল করা কমোড, দামি মার্বেল আর বেলজিয়াম কাচের চোখ ধাঁধানো চাকচিক্য। কিন্তু দীনদয়াল মার্গের অদূরে আপ সাততারা অফিস কাম বহুতল কমপ্লেকস তো বানায়নি কয়েক হাজার কোটি টাকায়। তারপরও অর্থ ও ক্ষমতা ভোগ শুধু কেজরিরাই করেছে, একথা দেশবাসী মানবে? যেমন গত একদশক ধরে নির্বাচন এলেই সিবিআই-ইডি’র প্রোঅ্যাকটিভ ভূমিকা বাংলার মানুষ আর বিশ্বাস করে না। দুর্নীতি শুধু তৃণমূল করে এই প্রচার অতি ব্যবহারে আজ উপেক্ষিত, বঙ্গে বড্ড ক্লিশে! ন্যূনতম একশো দিনের কাজের টাকা আর আবাসের বরাদ্দ আটকে বাংলার বন্ধু সাজা যায়?
কোভিডের সময় থেকে ধরলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে রাজ্যে কেন্দ্রের শাসক গেরুয়া শিবিরের তৈরি জেলা, ব্লক থেকে শুরু করে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল— সবমিলিয়ে প্রায় ৩০০ অট্টালিকাই প্রমাণ করছে ‘আচ্ছে দিনটা’ আসলে কার? এক দশক আগের প্রতিশ্রুতি মেনে ১৫ লাখ টাকা ভোটারের পকেটে ঢোকেনি। বছরে দু’কোটি চাকরি হয়নি আম জনতার। নোটবাতিল আর জিএসটি জীবন তছনছ করে দিয়েছে। মধ্যবিত্ত নাকাল মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায়। কিন্তু ফুলে-ফেঁপে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে কাদের? মোদিজি ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি’র বার্ষিক আয় ছিল ৯৭০ কোটি। ২০১৯-২০ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬২৩ কোটি টাকা। এই বৃদ্ধি প্রায় চারগুণ। যে কোনও কর্পোরেট সংস্থার পক্ষেও এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। জানা নেই এটাই সব কি না? নাকি গুপ্তধনের একটি বিন্দু মাত্র! সাগরের আরও দেখা বাকি। দলের অন্যতম স্তম্ভ সরকারের মুখ অমিত শাহ ২০১২ সালে যে এফিডেভিট পেশ করেছিলেন তাতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২ কোটির কাছাকাছি। সাতবছর পর ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ৪০ কোটির বেশি। অর্থাৎ তিনগুণেরও বেশি। আর চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে সেই সম্পত্তির খতিয়ান আরও বেড়ে হয় ৬৫ কোটি। কোথা থেকে এত বাড়ি-সম্পত্তি হচ্ছে দলের এবং প্রথম সারির নেতাদের, সেই প্রশ্ন করা বারণ! করবও না। ওটাও তো উন্নয়নেরই সূচক! কিন্তু বিকাশ কারও একতরফা অধিকার হতে পারে?
একটি হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে দেশে গেরুয়া দলের মোট সম্পত্তি ছুটছে লক্ষ কোটির দিকে। দশ বছরে বিজেপি শুধু দলীয় অফিস নির্মাণেই খরচ করেছে ১২০০ কোটির বেশি। নিশ্চয়ই দিল্লির প্রাসাদগুলির নির্মাণ খরচ এর বাইরে। আর গত দু’টি লোকসভা ভোটে শুধু প্রচারে, বিজ্ঞাপনে সভা সমিতিতে খরচ হয়েছে সওয়া এক লক্ষ কোটির মতো। অধিকাংশ হিসেবই ‘এডিআর’-এর। কেজরিওয়ালের ৪৫ কোটির শিশমহল তো এই খরচের পাশে নস্যি! তবু বেচারা তাতেই ঘায়েল। কে চিৎকার করে বলবে, শিশমহল তো শুধু উনি একা বানাননি! সব পাখিই মাছ খায়, দোষ হয় শুধু মাছরাঙার! শিশমহল এখন বিজেপি’র দখলে, তারা যা খুশি করবে। কিন্তু দেশজুড়ে গেরুয়া বাহিনীর বিশাল দলীয় সম্পত্তি তা তো হাতবদল হওয়ার নয়? দেশের পরিকাঠামোর চেয়েও শাসক দলের ঘর বাড়ি, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সম্পত্তির বিকাশ হচ্ছে দ্রুত গতিতে! 
ভয়ঙ্কর প্যান্ডেমিকে দেশের মানুষ যখন অসহায় তার মধ্যেও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে শুরু করে অমিত শাহ জেলায় জেলায় পার্টি অফিস খোলার কথা ঘোষণা করেছেন একাধিক সভায়। করতেই পারেন। এতে অন্যায় কিছু নেই। শুরুতে টার্গেট ছিল সাড়ে ছ’শোর মতো বাড়ি-অফিস তৈরির। এখন উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং প্রত্যন্ত উত্তরপূর্ব ভারত ধরে মোট ৮৫০টি বাড়ি তৈরির পথে এগচ্ছে নতুন বিজেপি। ইতিমধ্যেই প্রায় তিনশো অফিস বাড়ির উদ্বোধন হয়েও গিয়েছে। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজি। আগামী লোকসভা ভোটের আগেই সেই পরিকাঠামো নির্মাণের টার্গেট পূরণ করায় জোর দেওয়া হয়েছে সর্বস্তর থেকে।
মোদি জমানায় দিল্লিতে বিজেপি’র তিন তিনটে বিশালাকার প্রাসাদ গড়ে তোলার পর, এই তালিকায় নতুন সংযুক্তি ঘটতে চলেছে সঙ্ঘ পরিবারের ১২ তলার সর্বাধুনিক আরও তিনটি টাওয়ার। যদিও সঙ্ঘের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বিজেপি’র যোগ থাকার কথা নয়, তবু এই রমরমা তো কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সুবাদেই। এই সত্যটা কে অস্বীকার করবে? দিল্লির বুকে ৪ একর জমির উপর তিন তিনটে টাওয়ার, কনফারেন্স হল, প্রত্যেক টাওয়ারে ১২০০ লোক বসতে পারে এমন বিশালাকার অডিটোরিয়াম, বাইরে থেকে আসা সঙ্ঘীদের থাকার জন্য ৩০০ সুসজ্জিত ঘর, মিনি হাসপাতাল, লাইব্রেরি, তিনশো গাড়ি পার্ক করার প্রশস্ত জায়গা। সবমিলিয়ে বলা হচ্ছে ৫ লক্ষ বর্গফুট চোখ ধাঁধানো ফ্লোর স্পেস। খাস রাজধানীর বুকে এসব মাত্র ১৫০ কোটি টাকায় হয়? একটা শিশুও জানে, হয় না। আর রিয়াল এস্টেট ডেভেলপাররা ভয়ে বলুন, ভক্তিতে বলুন নীরবে শুধু মুচকি হাসেন। যেমন আজ থেকে সাত বছর আগে উদ্বোধন হওয়া ঝাঁ চকচকে সাততারা দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপি সদর কার্যালয়। আধুনিক রিডিং রুম, কনফারেন্স হল, লাইব্রেরি, পার্কিং এরিয়া, দলের নেতাদের গুরুত্ব অনুযায়ী এক একটি তলায় আলাদা বসার ঘর। তারই পাশে দিল্লি বিজেপি’র জন্য সংরক্ষিত বহুতলের সবচেয়ে উপরের তলাটা। কার্যকর্তাদের জন্য পৃথক অফিস, ক্যান্টিন, লাইব্রেরি, মিটিং হল, ইন্টিরিয়র ডেকরেশনে পাঁচ হাজার কোটি টাকাও যে নস্যি, তা কে না জানে? নিন্দুকে বলে বাস্তবে খরচ হয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি। বলা হচ্ছে, বিজেপি যেমন পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, তেমনি এই অফিসটিও গোটা বিশ্বে যে কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের বৃহত্তম কার্যালয়। এটা আমার কথা নয়, বলেছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ। নিঃসন্দেহে মাত্র ৪৫ বছরের অভিযাত্রায় একটি দলের পক্ষে এটা কম বড় কৃতিত্ব নয়। কিন্তু ওখানেই থেমে যায়নি। গত লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে আরও একটি প্রাসাদের উদ্বোধন করেছেন মোদিজি, যার নাম রেসিডেন্সিয়াল অ্যান্ড অডিটরিয়াম কমপ্লেক্স। ক’টা দলের আছে রাজধানীর বুকে এমন একটার পর একটা বহুতল। শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসের বাড়িটা তো এর পাশে লিলিপুট! দলের ব্যাখ্যা, বাইরের থেকে আসা নেতা কর্মীরা কাজে এলে হোটেলে উঠতে বাধ্য হন। সেই অসুবিধা দূর করতেই এই পেল্লায় বাড়িটি। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক এবং দলের সহ সভাপতিরা ক্লাসও নেবেন তরুণ নেতা কর্মীদের। সর্বত্র থাকছে এযুগের দাবি মেনে আইটি সেলের জন্য পৃথক পরিকাঠামো। ক্ষমতা যেতেই শিশমহল ফেলে যেতে হয়েছে কেজরিকে। দলের সম্পত্তি কিন্তু ক্ষমতা গেলেও দলেরই থাকবে, শিশমহলের মতো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলবে না, ওখানে গরিবের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় কিংবা স্কুল খুলব।
দিল্লির ঝাণ্ডেলওয়ালায় বর্তমান অস্থায়ী অফিসের অদূরেই তৈরি হচ্ছে, আরএসএসের নতুন অফিস-বাড়ি। যেমন তেমন বাড়ি নয়, সঙ্ঘের শতবর্ষে রাজধানীর অফিস স্থানান্তরিত হচ্ছে এই নতুন ভবনে। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের নামে পুরো কমপ্লেক্সের নাম রাখা হয়েছে ‘কেশব কুঞ্জ’। ১৯২৫-এ আরএসএস প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরের মাথায়, ১৯৩৯ সালে সঙ্ঘ প্রথম নাগপুরের সদর দপ্তরের জন্য নিজস্ব অফিস-বাড়ি নির্মাণ করে। সম্ভবত এবার দিল্লির ‘কেশব 
কুঞ্জ’ নাগপুরকেও ছাড়াবে। আলাদা করে তিন বাড়ির নাম ‘প্রেরণা’, ‘উপাসনা’ এবং ‘অর্চনা’ রাখা হয়েছে। ভক্তিভাবের অসামান্য মিশেল যেন। তিন ভবন মিলিয়ে গোটা কমপ্লেক্সের আয়তন পাঁচ লাখ বর্গ ফুট। প্রতিটিতে একশো করে মোট তিনশো ঘর রয়েছে ‘কেশব কুঞ্জে’। আছে ২৭০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। আছে ক্যান্টিন এবং হাসপাতাল। আর আছে ১২০০ লোক বসার ব্যবস্থা সহ তিনটি অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম। আরএসএস সূত্রে বলা হয়েছে, সারা দেশ থেকে সংগঠনের কাজে আসা সদস্য, অনুগামীদের কথা বিবেচনায় রেখেই সেখানে তিনশোজনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অফিস কমপ্লেক্সের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে হনুমান মন্দির। আরএসএস সূত্রে জানানো হয়েছে, দিল্লির নতুন অফিস তৈরিতে খরচ জুগিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরাই। পাঁচ টাকা থেকে কয়েক লাখ পর্যন্ত চাঁদা দিয়েছেন তারা। কিন্তু সিপিএমের স্টাইলে কৌটো নেড়ে এমন পেল্লায় প্রাসাদ হয়? তিন বছর আগে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে উঠে গিয়েছে বিজেপির জাতীয় সদর দপ্তর। সেই বাড়িতেও পাঁচ লাখ বর্গ ফুট জায়গা রয়েছে। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই পার্টি অফিস না হোটেল! তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরিতেও এক বিরাট অফিস গড়ে তোলা হয়েছে, যা দেখে বিস্ময় চেপে রাখতে পারেনি দক্ষিণের রাজনৈতিক দলগুলিও। ওড়িশায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা খরচে ৩৬টি অফিসের সূচনা হয়েছে। এসব তথ্যই মিলেছে সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ এবং এডিআরের রিপোর্টে।
আপনি ১৫ লক্ষ টাকা পাননি। দশ লক্ষ সরকারি পদ ফাঁকা কিন্তু বাজেটে চাকরির কোনও ঘোষণা নেই। স্টার্ট আপকে ঋণ দেওয়ার হাজারো টোপ আছে, কর্মসংস্থানের দিশা নেই। কালো টাকা খতম হয়নি। বাইশ সালে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতিও ভেসে গিয়েছে। দাম কমানোর দাওয়াই নেই। যথারীতি কৃষকের আত্মহত্যা, পরিযায়ীদের হাহাকার কান পাতলেই শোনা যায়। স্পর্শ করা যায় বেকার যুবকের হতাশা। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পাশে নিয়ে তিনি ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেনের’ পাল্টা ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেনের’ শপথ নিলেও আসলে শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে শুধু গেরুয়া দলেরই। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি এই মুহূর্তে 
দেশের ধনীতম দল। জানি না বিশ্বেরও ধনীতম রাজনৈতিক সংগঠন হতে আর কতটা বাকি। দিল্লিতেই অন্তত তিনটি পেল্লায় সাততারা অফিস। আর পুরনো অশোকা রোডের অফিস যেখানে বাজপেয়ি ও আদবানিজি বসতেন, সেটিকে ভোটের ওয়ার রুম ও আইটি সেলের কাজে ব্যবহার করার জন্য নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। একুশ সালে করোনার অভিঘাতের মধ্যেই গুরগাঁওতে বিজেপি’র এক লক্ষ স্কোয়ার ফুটের অফিস উদ্বোধন হয়। 
বিকশিত ভারত না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
16th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
একনজরে
ইতিমধ্যে তিন দফায় ৩৩২ জন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে সরাসরি ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। এবার তৃতীয় দেশের মাধ্যমে আরও অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ...

ফোন কল বা মেসেজের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হন, তার জন্য নিয়ম আরও জোরালো করছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)। ...

আহমদপুর-কাটোয়া রেল পথে সারাদিনে চলে মাত্র দুই জোড়া লোকাল ট্রেন। তাও আবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের পর আহমদপুর কাটোয়া যাতায়াতের কোনও ট্রেন নেই। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হয় রুটের নিত্যযাত্রীদের। ...

বাইপাসজুড়ে একের পর এক দুর্ঘটনা। তাতে প্রাণ গিয়েছে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীদের। গা঩ড়িগুলি দ্রুত গতিতে চলাচল করায় বাইপাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে বারবার। সমীক্ষার পর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

শিবাজী জয়ন্তী
১৩৮৯: সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (দ্বিতীয়) দিল্লীতে নিহত হন
১৪৭৩: জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোপারনিকাসের জন্ম
১৬৩০: মারাঠারাজ ছত্রপতি শিবাজির জন্ম
১৮৬১: দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রানি রাসমণির মৃত্যু
১৮৭৮ - টমাস আলভা এডিসন ফনোগ্রাফ পেটেন্ট করেন
১৮৯১: দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হল অমৃতবাজার পত্রিকা
১৯১৫ : ভারতীয় রাজনীতিবিদ গোপালকৃষ্ণ গোখলের মৃত্যু
১৯৪৩: অভিনেত্রী বীনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৪: অভিনেত্রী সোনু ওয়ালিয়ার জন্ম
১৯৭৮: রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পঙ্কজকুমার মল্লিকের মৃত্যু
১৯৮৬: কম্পিউটার রিজার্ভেশন ব্যবস্থা চালু করল রেল
২০১৭:  প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী বনশ্রী সেনগুপ্তর মৃত্যু
২০১৯: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৮ টাকা ৮৭.৮২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৭৪ টাকা ১১১.৫১ টাকা
ইউরো ৮৯.৩২ টাকা ৯২.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ ফাল্গুন, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৩/২৮ দিবা ৭/৩৩। স্বাতী নক্ষত্র ১১/১৫ দিবা ১০/৪০। সূর্যোদয় ৬/৯/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/৩১/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৭ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে উদয়াবধি। রাত্রি ৮/৫৪ গতে ১০/৩৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৩৫ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/০ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। 
৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী অহোরাত্র। স্বাতী  নক্ষত্র দিবা ৮/২৯। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩১ মধ্যে ও ৯/৫১ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৫১ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালবেলা ৯/২ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/২ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। 
২০ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
৩৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:21:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ১ রানে আউট উইলিয়ামসন, নিউজিল্যান্ড ৪০/২ (৮.১ ওভার)

03:13:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ১০ রানে আউট ডেভন কনওয়ে, নিউজিল্যান্ড ৩৯/১ (৭.৩ ওভার)

03:08:00 PM

নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট কাণ্ড: অতিরিক্ত টিকিট কেন বিক্রি করা হয়েছিল? রেলের কাছে জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট

03:02:00 PM

আগামী কাল, বৃহস্পতিবার রামলীলা ময়দানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

03:01:57 PM

৭৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:59:00 PM