দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
পশ্চিম বর্ধমানে সব থেকে বেশি জঙ্গল কাঁকসায়। বর্ধমান ডিভিশনের মধ্যে পড়ে কাঁকসা বনাঞ্চল। কাঁকসা ছাড়াও আউশগ্রামের জঙ্গলও এই ডিভিশনের মধ্যে রয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই অঞ্চলে জঙ্গলের পরিমাণ ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জঙ্গলে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানোর প্রবণতা থাকে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে। অনেক সময় দুষ্কৃতীরাও আগুন ধরিয়ে গাছগুলিকে মেরে ফেলে। তারপর সেই মরা গাছ লুকিয়ে কেটে বিক্রি করে তারা। জঙ্গলে আগুন লাগানো রোধ ও বন্যপ্রাণীদের চোরাশিকার রুখতে পানাগড় রেঞ্জের কাঁকসা, দেবশালা অঞ্চলে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে।
কাঁকসার গড় জঙ্গল, গোপালপুরের জঙ্গল, সুন্দিয়ারার জঙ্গল, সাতকাটা জঙ্গল সহ ছোট বড় প্রায় প্রতিটি জঙ্গলেই প্রতি বছর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি বুদবুদের লবণধার, দেবশালা সহ একাধিক এলাকার জঙ্গলগুলিতেও আগুন লাগে। গত শুক্রবার কাঁকসার ধোবারু এলাকার একটি জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। দমকল ও বনকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলেন। কাঁকসার বাসিন্দা সুজিত হালদার বলেন, এখন জঙ্গলে ময়ূরের পাশাপাশি খরগোশ, বনমুরগি, নেকড়ে, বনবিড়াল প্রভৃতি প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। তাছাড়া জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে অনেক আদিবাসী গ্রাম। আগুন লেগে ছড়িয়ে পড়লে তাঁদেরও ক্ষতি হতে পারে। জঙ্গলে থাকা অনেক কীটপতঙ্গ, ছোট গাছ পুড়ে যায়। রাতের দিকে আগুন লাগলে অনেক বন্যপ্রাণীও মারা যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিগত কয়েকবছর ধরে বনদপ্তরের তরফে বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদেরও এই বিষয়ে সচেতনতা প্রচারে নেওয়া হচ্ছে। লিফলেট বিলি, গ্রামে গ্রামে সভা করেও মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় নাকা-তল্লাশির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। অনেকে নানা কাজে জঙ্গলে যান। কেউ যাতে দেশলাই জাতীয় কোনও কিছু নিয়ে যেতে না পারেন, তা দেখা হচ্ছে।
আউশগ্রামের ভাতকুণ্ডার বাসিন্দা তথা পরিবেশ কর্মী সুমন মণ্ডল বলেন, জঙ্গল আমাদের কাছে মা। জঙ্গল আমাদের বাঁচার রসদ। বনজ সম্পদ রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। দুর্গাপুরের রেঞ্জার সুদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা প্রতিটি এলাকাতেই নজর রাখছি। পাশাপাশি এলাকার মানুষকেও সচেতন করা হচ্ছে।