নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি বছরের আর্থিক বাজেটকে ‘জনবিরোধী’ আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস। বাজেট পেশের পর থেকেই তামাম বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা লাগাতার আক্রমণ করছেন নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ব্যর্থতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা বিবৃতি দিচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলির এমপি’রা সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে সেই সব ‘অপ্রিয়’ প্রশ্ন উত্থাপন করেননি। বরং লোকসভা ও রাজ্যসভায় অধিকাংশ বঙ্গ এমপি কোনও প্রশ্নই করেননি। এই মুহূর্তে সংসদের উভয়কক্ষে বাংলা থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন মূলত বিজেপি ও তৃণমূল। এক্ষেত্রে তৃণমূলের এমপি’র ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। তবে বাজেট নিয়ে এই অধিবেশনে গেরুয়া শিবিরের বহু এমপিও নিশ্চুপ ছিলেন। এই মুহূর্তে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় এমপি’র সংখ্যা ১৬। লোকসভায় ৪২ জন সাংসদ থাকলেও, বিজেপির দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় প্রশ্ন করতে পারেন না। অন্যদিকে, বসিরহাটের এমপি সদ্য প্রয়াত হয়েছেন বলে সেই আসনটি খালি। সেই সূত্রে সংসদের উভয়কক্ষে ৫৫ জন বঙ্গীয় জন প্রতিনিধির মধ্যে ২৪ জন এমপি বাজেট অধিবেশনে কোনও প্রশ্ন করেননি। সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যসভার এমপি’রা দৈনিক সর্বোচ্চ ৭টি করে প্রশ্ন জমা করতে পারেন। লোকসভার ক্ষেত্রে ৫টি করে প্রশ্ন করার অধিকারী।
লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও প্রশ্ন ছাড়াই গোটা অধিবেশন কাটিয়েছেন তৃণমূলের ১৯ জন এমপি। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। পার্টির লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকিরা হলেন রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, মৌসম নূর, মমতাবালা ঠাকুর। গোটা অধিবেশন প্রশ্ন ছাড়া কাটানো লোকসভার তৃণমূল এমপি’রা হলেন শত্রুঘ্ন সিনহা, শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া, মিতালি বাগ, পার্থ ভৌমিক, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত মাল, বাপি হালদার, শর্মিলা সরকার, অরূপ চক্রবর্তী, জগদীশ চন্দ্র, কালিপদ সোরেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার। একইভাবে বিজেপির চারজন এমপি বাজেট অধিবেশনে কোনও প্রশ্ন করেননি। তাঁরা হলেন নগেন্দ্রনাথ রায় (রাজ্যসভা), অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমেন্দু অধিকারী এবং কার্তিকচন্দ্র পাল। এছাড়া বামেদের একমাত্র প্রতিনিধি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও কোনও প্রশ্ন করেননি।