দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
বুধবার বিধানসভায় সেচ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বে ইন্দে-ভুটান রিভার কমিশন ও রাজ্যের যৌথ প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে কী ব্যবস্থা হল, জানতে চান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। জবাবে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, ভুটান থেকে নেমে আসা ৭৬টি নদীর জল প্রতি বছর উত্তরবঙ্গকে ভাসিয়ে দিয়ে যায়। ফলে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন তৈরি না হলে বাংলার মানুষ এই বিপদ থেকে রক্ষা পাবে না। সব জেনেও কেন্দ্র নিশ্চুপ। তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছে যৌথ প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিরোধীদের বলা হয়েছে। আমি আরও একবার বিধানসভার মাননীয় অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রীকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করব।’ মানসবাবুর কথার রেশ ধরেই এদিন অধিবেশনে বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতিতে শঙ্করবাবুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান অধ্যক্ষ। তখন বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরেও বিজেপি যেতে অস্বীকার করেছে।
সেচমন্ত্রীর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। তাই যৌথ প্রতিনিধি দলের দিল্লি সফর রাজ্যের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভাঙনের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে রাজ্য নিজের সাধ্যমতো কাজ করছে । ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পে চন্দ্রকোনা ১, ২ এবং কেশপুর ব্লকের কিছু এলাকাকেও যুক্ত করা হবে। মানসবাবু আরও জানান, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের এলাকার কিছু বাসিন্দা জমি সংক্রান্ত ইস্যুতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মিছিলের ডাক দিয়েছেন। তবে কোনওভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।