দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিরোধী দল বিজেপি বা সিপিএমের তরফে কোনও মনোনয়নপত্র জমা করা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরের শুরুতে কেশপুর ব্লকের একাধিক সমবায় সমিতির ভোট ছিল। বেশিরভাগ সমবায়ে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। মূলত সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই বিরোধী শিবির নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা বলেন, একসময় সিপিএমের দাপটে এই এলাকায় অশান্তি লেগেই থাকত। বর্তমানে কেশপুর শান্ত। মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই আছে। তা আবারও প্রমাণিত হল। তৃণমূলের কোনও বিপল্প নেই। আজকে কেশপুরের মানুষ কোনও না কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। বিরোধীদের খুঁজে পাওয়াই কঠিন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে কেশপুরের শীর্ষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিটি গঠিত হয়। সূচনালগ্নে সমিতির কোনও ঘর ছিল না। সমিতির সদস্যদের বাড়িতেই বৈঠক হতো। শুরুর দিকে সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০জন। বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ৮০০। জানা গিয়েছে, একসময় সমিতি বন্ধ হতে বসেছিল। কিন্তু সদস্যদের চেষ্টায় ফের ঘুরে দাঁড়ায়। বর্তমানে কৃষকদের সুবিধার্থে ন্যায্য মূল্যে সার দেওয়ার কাজ শুরু করছে সমিতি। এছাড়াও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে উপকৃত হয়েছে বহু কৃষক পরিবার। এমনকী, সমিতির মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় বছর এই সমিতির বোর্ড গঠন হয়নি। কয়েক মাস আগে থেকেই বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয়। সমিতির ন’জন জয়ী সদস্যের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন। সমিতির তরফে আগামী দিনে নানা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সমিতির বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সমিতির প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, এই সমিতির মূল মন্ত্র একতা। সকলের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় সমিতি চালানো সম্ভব হতো না। নতুন বোর্ড তৈরির পর দ্রুত কাজ শুরু হবে। সমিতির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আগামী দিনে সদস্য সংখ্যা আরও বাড়বে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এই সমিতি কাজ চালিয়ে যাবে।
যদিও এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, কেশপুরে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে ভোট হয়। মানুষ একদিন ঠিক জবাব দেবে। আমাদের সংগঠন আগের তুলনায় অনেকটাই মজবুত হয়েছে। চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।-নিজস্ব চিত্র