দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজদীপ দে বলেন, এই রেলপথ সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী। এই রেলপথ চালু হলে তাঁরা ট্রেনে করে ফসল শহরাঞ্চলে নিয়ে যেতে পারবেন। পর্যটকদেরও সুবিধে হবে। কামারপুকুরের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রেলপথের সূচনা করেন। প্রথমে তারকেশ্বরের সঙ্গে বিষ্ণুপুরকে যুক্ত করার কথা ছিল। ২০১২ সালে প্রথম তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়। পরে ওই রেলপথ গোঘাট অবধি বিস্তৃত হয়। পাশাপাশি কামারপুকুর রেলস্টেশন তৈরির কাজও শুরু হয়। স্টেশন বিল্ডিংটি ২০১৮-১৯ সালেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তৈরি হয়ে গিয়েছিল যাত্রী প্রতীক্ষালয় এবং টিকিট কাউন্টার। কিন্তু শুরু থেকেই গোঘাট ও কামারপুকুরের মাঝে ভাবাদিঘির উপর দিয়ে রেলপথ তৈরিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেই জট এখনও পর্যন্ত কাটেনি। রেলপথের ওই অংশের কাজ এখনও বাকি। যার ফলে গোঘাট থেকে বিষ্ণুপুর অবধি রেলপথ বিস্তৃত হয়নি। ফলে কামারপুকুর স্টেশন বিল্ডিং, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, টিকিট কাউন্টার তৈরি হয়ে পড়েছিল। দেখভালের অভাবে স্টেশন চত্বর জঙ্গলে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। স্টেশন বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দিয়েছিল। স্টেশনটি সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। এতদিনে কামারপুকুর স্টেশনকে বিষ্ণুপুরের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল দপ্তর। তাই কামারপুকুর রেলস্টেশনকে নতুনভাবে সাজার কাজ চলছে জোরকদমে।
কামারপুকুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর অবধি রেল পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে এবং বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ জোরকদমে চলছে। যদি এভাবেই কাজ চলতে থাকে, তাহলে বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে কামারপুকুর পর্যন্ত রেল চলাচল শীঘ্র শুরু হয়ে যেতে পারে। এই রুটটি চালু হলে কামারপুকুরের উন্নতি হবে। আমরাও কম খরচে ও কম সময়ে বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দীঘা যেতে পারব। এর পাশাপাশি ভাবাদিঘির জট কাটিয়ে যদি কামারপুকুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত রেলপথটি চালু করা যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা।