Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। এসবই হচ্ছে একুশের ভোটের মতো ছাব্বিশেও কী হয়-কী হয় আবহ তৈরির লক্ষ্যে। একুশে ছিল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, এবার হিন্দুত্ব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কোনও লড়াই-ই নেই। তাই বিজেপিকে ঠেকাতে জোটেরও দরকার নেই। তৃণমূল একাই কাফি। অবশ্য এটার হক তাঁর আছে। কারণ ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে সমূলে উৎপাটিত করার হিম্মত ও মোদি-শাহ জুটির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের দম তিনিই দেখিয়েছেন। তাই এটা হুঙ্কার বা আস্ফালন নয়, তাঁর আত্মবিশ্বাস।
ছাব্বিশের ভোটে বাংলায় কী হবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির অনেকেই বলছেন, ‘দিল্লির পর এবার বাংলা’। তবে, এটা বিজেপির পুরনো কৌশল। এক দশক ধরে এটাই চালিয়ে যাচ্ছে। কোনও রাজ্য দখল করলেই গেরুয়া শিবির ‘এবার লক্ষ্য বাংলা’ রেকর্ডটা বাজিয়ে দেয়। ত্রিপুরা দখলের পরেও জোর হাওয়া তোলার চেষ্টা হয়েছিল। বলেছিল, ‘ত্রিপুরার পর এবার বাংলা।’ একই কথা শোনা গিয়েছিল বিহার ও ওড়িশা দখলের পরেও। তবে 
এই হুঙ্কার শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নয়, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও শুনতে হয়েছে বারবার। ঝাড়খণ্ড দখলের জন্য গেরুয়া শিবির মরিয়া চেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কারণ কারও পা মাটিতে থাকলে কুলোর বাতাস দিয়ে তাকে উড়িয়ে দেওয়া অসম্ভব।
রাজনীতি হল লড়াই। শক্তিধর প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারলে মানুষ তাঁকে বীরের সম্মান দেয়। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জেলে ভরেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। হেমন্ত ময়দান ছাড়েননি। স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপির সঙ্গে সমানে টক্কর চালিয়ে গিয়েছেন। তাই অভিযোগ সত্যি বা মিথ্যে যাই হোক না কেন, ঝাড়খণ্ডের মানুষ তাঁকে বিজেপি বিরোধী বলেই মনে করে। কিন্তু কেজরিওয়াল লড়াইয়ের রাস্তায় হাঁটেননি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। হয়তো ভেবেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে লড়লে সহানুভূতি পাবেন। কিন্তু দিল্লির মানুষ তাঁর ‘নাটক’ পছন্দ করেনি। ভোটের ফলেই সেটা স্পষ্ট। 
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পাখির চোখ। তারজন্য মোদি-শাহ জুটি আগেও ঝাঁপিয়েছে, আগামী দিনেও ঝাঁপাবে। কিন্তু তাঁরা জানেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে কেজরিওয়াল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নয়। একুশের ভোটে তাঁরা সেটা ভালোই টের পেয়েছেন। দল ভাঙিয়ে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দিয়ে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি ও দিদি’ বলে কটাক্ষ করেও টার্গেটের অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। 
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দিল্লিতে বিজেপি জয়ী হয়নি, হেরেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। শুধু দুর্নীতি ইস্যুতেই নয়, পরিষেবা নিয়েও দিল্লিবাসীর ক্ষোভ ছিল বিস্তর। বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঘোষণায় বিজেপি কিছুটা সুবিধে পেলেও আপ মার খেয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে। বছর তিনেক আপের সংগঠন বলে কিছুই ছিল না। যে প্রত্যাশা জাগিয়ে আপ ইনিংস শুরু করেছিল তার জোশ ধরে রাখতে পারেনি, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা। তাতে মানুষ প্রচণ্ড চটেছিল। তার ফায়দা ঘরে তুলেছে বিজেপি। 
দিল্লিতে বহু বছর ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও আপের ব্যর্থতার লাভ তারা ঘরে তুলতে পারেনি। কারণ যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। বিজেপি সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। ২০১৬ সালের পর পশ্চিমবঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সিপিএম নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে বিজেপি এ রাজ্যে জায়গা পেয়েছিল। দিলীপ ঘোষের গরমাগরম ভাষণে অনেকেই মনে করেছিলেন, তৃণমূলের মোকাবিলা সিপিএম নয়, বিজেপিই করতে পারবে। সেই কারণে বিজেপিই হয়ে ওঠে প্রধান বিরোধী দল। দিল্লিতেও বামেদের মতোই কংগ্রেস দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে। এইজন্যই বোধহয় বলে, এক নম্বর একবার দ্বিতীয় হয়ে গেলে লড়াইয়ে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।
তবে একথা ঠিক, কেজরিওয়াল নিজেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির একটি আসনেও আপ জিততে পারেনি। তাতেই বোঝা গিয়েছিল, কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠানোর বিন্দুমাত্র সহানুভূতি আপ পায়নি। দিল্লির মানুষ তাঁকে পছন্দ করছেন না। তখনই যদি কেজরিওয়াল ক্ষোভের কারণ খুঁজে সংশোধন করে নিতেন, তাহলে দিল্লির ভোটের ফল অন্যরকম হতো। 
কাজ করলে ভুল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ ভুল স্বীকার করে শুধরে নিলে মানুষ তাকে ক্ষমাও করে। তার জ্বলন্ত প্রমাণ একুশের নির্বাচন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের প্রায় অর্ধেক আসনে জিতেছিল বিজেপি। তারজন্য সিপিএমের স্টাইলে ‘মানুষ আমাদের ভুল বুঝেছে’ না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটেছিলেন সংশোধনের রাস্তায়। তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী কেন্দ্রে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন। তা করতে  গিয়ে অনেক জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তাতে জনগণের মনে জমে থাকা ক্ষোভ, রাগ বেরিয়ে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শিক্ষা’ নিয়েছিলেন বলেই একুশে তৃণমূল ড্যাং ড্যাং করে জিতেছিল। কিন্তু আইআইটিয়ান কেজরিওয়াল সেই শিক্ষাটাই নিলেন না। পরিণতি? গোহারা হল আপ।
তাছাড়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কেউ কখনওই কট্টর বিজেপি বিরোধী বলে মনে করেনি। আপ সরাসরি বিজেপিকে হারিয়ে কোনও রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেনি। দিল্লিতে এবং পাঞ্জাবে আপ ক্ষমতা পেয়েছিল কংগ্রেসকে হারিয়ে। কিন্তু যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় সেখানে কোনও দাগই কাটতে পারেনি। অনেকেই মনে করেন, কেজরিওয়াল ঘুরপথে বিজেপিকে ক্ষমতা দখলে সাহায্য করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তিনি ‘বিজেপির বন্ধু’ বলেই বিবেচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক সচেতন মানুষ তাঁকে ‘পাল্টুরাম’ না বললেও নবীন পট্টনায়কের মতো তাঁকেও ‘সুবিধাবাদী’ বলেই মনে করে। 
পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লির ১৮টি আসনে বিজেপি জয় পেয়েছে কংগ্রেস ও আপের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হওয়ায়। বাংলায় এই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তৃণমূল তৈরির পর থেকেই মালদহ ও মুর্শিদাবাদ বাদে কংগ্রেস কার্যত সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আর বামেদের সিংহভাগ ভোট আগেই বিজেপিতে শিফ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্যের প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটের প্রায় সবটুকুই পায় বিজেপি। ফলে বিজেপির নতুন করে ভোটবৃদ্ধির জায়গা তেমন নেই। একমাত্র রাস্তা, শাসক দলকে ভাঙা। কিন্তু সেই সুযোগও 
এবার ক্ষীণ।
গত বিধানসভা ভোটের আগে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের তোলা হাওয়ায় ভেসে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা আকাশ ছুঁয়েছিল। তাতেও দু’শো টার্গেট নিয়ে নামা বিজেপি একশো টপকাতে পারেনি। তাই চার্টার্ড প্লেনে চড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের বেশিরভাগই ‘মুচলেকা’ দিয়ে তৃণমূলে ফিরেছেন। একুশের পর বাংলায় প্রতিটি নির্বাচনেই বিজেপির ভোট কমেছে। বঙ্গ বিজেপি সাংগঠনিক হালও করুণ। ‘অফার’ দিয়েও সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি। এই শক্তি দিয়ে আর যাই করা যাক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। 
ক্ষমতায় থাকলে ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কাজ করে। তা সে কেন্দ্র সরকার হোক বা রাজ্য সরকার। এই কারণেই চারশো আসনের স্লোগান দিয়ে নরেন্দ্র মোদির দল আড়াইশো টপকাতে পারেনি। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গেও ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কাজ করছে। কিন্তু তা যাতে সরকার গড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, তারজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্প। মোদি সরকারের বঞ্চনার এক নম্বর টার্গেট বাংলা। ছুতো পেলেই গরিব মানুষের টাকা বন্ধ করছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার আঁচ খেটেখাওয়া মানুষের গায়ে লাগতে দিচ্ছেন না। প্রতিটির বিকল্প প্রকল্প চালু করেছেন।
কেন্দ্রের আবাসের টাকা বন্ধ। তা সত্ত্বেও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ১২ লক্ষ উপভোক্তার প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কাজ শেষ। দ্বিতীয় দফার টাকাও রেডি। আরও ১৬ লক্ষ গরিব পরিবারের মাথার উপর ছাদের পরিকল্পনাও মমতা সেরে ফেলেছেন। বছরের পর বছর ঝুলে থাকা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্যও বরাদ্দ করেছেন ৫০০ কোটি টাকা। প্রতিটি প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তিনি বাংলার সাধারণ মানুষের মনে ভরসার অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন। তাকে দিল্লি জয়ের কুলোর বাতাস দিয়ে যাঁরা ভাঙার স্বপ্ন দেখছেন, রাজনীতির পাঠশালায় তাঁদের ‘মহামূর্খ’ না বললেও  কিছুতেই ‘পণ্ডিত’ বলা যাবে না।
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
একনজরে
সোনামুখীর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ মাঝি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ...

ভালোবাসার দিন। কিন্তু গোলাপ-পারফিউম- চকোলেট নয়, শুক্রবার ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের জন্য বরাদ্দ ছিল একরাশ ক্ষোভ এবং বিরক্তি। আসলে আইএসএলে বছরের পর বছর ব্যর্থতা মেনে নিতে ...

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ইস্যুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু করছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডাকা হয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটির তৃতীয় বৈঠক। ...

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন সহ ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং ব্লক সাব কমিটির সদস্যরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অবরুদ্ধ গুসকরা-মানকর রোড
বোরো ধান চাষে জলের দাবিতে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে রাস্তা অবরোধ ...বিশদ

06:14:00 PM

পূর্ণকুম্ভ: প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুণ্যস্নান সারলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান

06:09:00 PM

প্রায় ২ কোটি টাকায় ময়নাগুড়ি শহরের একাধিক ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ

06:02:00 PM

পাটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিং চৌধুরী

05:41:00 PM

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ের শেষে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের
কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। সেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ের শেষে ...বিশদ

05:16:02 PM

বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুটে শেষশ্রদ্ধা জানাল রাজ্য সরকার

04:50:00 PM