বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পঞ্চাননবাবু বলেন, ‘আমার স্ত্রীর ভোটার কার্ড আগে থেকেই রয়েছে। তারপর আবার নতুন ভোটার কার্ড কীভাবে আসতে পারে? নির্বাচন কমিশন কি কোনও যাচাই না করে কার্ড পাঠিয়ে দিল!’ পঞ্চায়েত থেকে অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অসিতবরণ মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’ চম্পাহাটি রেলগেটের কাছে পান-বিড়ির একটি ছোট্ট দোকান রয়েছে পঞ্চাননবাবুর। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ছেলে, বৌমা ও নাতিকে নিয়ে তাঁর সংসার। পঞ্চাননবাবু বলছিলেন, ‘২০১৮ সালে আমার স্ত্রী বেবি চক্রবর্তী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরবর্তী ভোটের আগে নিয়মমতো ভোটার তালিকা থেকে স্ত্রীর নাম বাদও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তখন সবে আমি ভাত খেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। সেই সময় ক্যুরিয়ার সার্ভিসের একটি ছেলে এসে দরজায় ধাক্কা দেয়। বলে, কার্ড আছে। সেই খাম হাতে নিয়ে খুলেই অবাক হয়ে যাই। স্ত্রীর নামে নতুন ভোটার কার্ড দেখে আমরা সবাই ভ্যাবাচাকা খেয়ে যাই। অথচ, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পুরনো ভোটার কার্ড দিয়েই যাবতীয় জরুরি কাজ মেটানো হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।’ এখানেই পঞ্চাননবাবু সহ অনেকের প্রশ্ন, ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি সহ কোনও ধরনের কারচুপি কি এভাবেও চলছে? যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে এই ঘটনার জল অনেক দূর গড়াতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নিজস্ব চিত্র