বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
অরূপবাবু বলেন, বাঁকুড়া-২ নম্বর ব্লকে জাতীয় সড়কের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাছাড়া ওই রুটে অমরকানন ও মেজিয়ায় কলেজ ও বহু স্কুল রয়েছে। বাস চললে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি ব্লকগুলিতে কর্মরত সরকারি কর্মী তথা নিত্যযাত্রীদের যাতায়াত করতে সুবিধা হবে। কিছুদিন আগেই বাঁকুড়া-শিলিগুড়ি বাতানুকূল বাস পরিষেবা শুরু হয়। ওইসময় বাঁকুড়া থেকে মেজিয়া হয়ে রানিগঞ্জ ও আসানসোল যাওয়ার জন্য বাস দেওয়ার জন্য এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম। তারা কথা রেখেছে।
সাংসদ আরও বলেন, আগে সরকারি বাস চালাতে গিয়ে সরকারের ক্ষতি হতো। বর্তমানে যাত্রীদের কাছ থেকে ওঠা ভাড়ায় জ্বালানি তেল সহ আনুষঙ্গিক খরচের অনেকটাই উঠে আসছে। ফলে পরিবহণ সংস্থাগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। রাজ্য সরকার আরও বেশি করে সরকারি বাস পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে। তারজন্য জঙ্গলমহলে ডিজেলের পাশাপাশি ‘সিএনজি’ ও ব্যাটারি চালিত বাস দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে বাঁকুড়ার বিভিন্ন রুটে নতুন করে কিছু বাস চালানো প্রয়োজন। বাঁকুড়া থেকে খাতড়া হয়ে পুরুলিয়া, সিমলাপাল, রাইপুর হয়ে কলকাতা, দুর্লভপুর রানিগঞ্জ হয়ে কলকাতা প্রভৃতি রুটে বাস চালানোর জন্য আমাকে অনেকে অনুরোধ করছেন। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আমি পরিবহণ মন্ত্রী ও সংস্থার এমডি ও আধিকারিকদের দ্বারস্থ হব।
বাঁকুড়া ডিপোর এক আধিকারিক বলেন, আপাতত আমরা বাসটি উদ্বোধন করলাম। তবে এখনও সময়সূচি স্থির হয়নি। তবে সকালের দিকে বাসটি বাঁকুড়া থেকে আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে। বিকেলে ফের সেটি আসানসোল থেকে বাঁকুড়া শহরে ফিরে আসবে। আপাতত একটি বাস ওই রুটে চলবে। যাত্রী সংখ্যা আশানুরূপ হলে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।