Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট। অর্থনৈতিক বাজেটের ক্ষেত্রে এটাই প্রথা। কিন্তু সেই বাজেট যদি হয় ধর্মীয়? তখন কোনও সংশোধনী কাজ করে না। কারণ ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতার ভিত পোক্ত করাই ‘ধর্মীয় বাজেটে’র উদ্দেশ্য। এবারের কুম্ভমেলা ছিল বিজেপির সেই ‘ধর্মীয় বাজেটে’রই অঙ্গ। লক্ষ্য হিন্দু ভোট এককাট্টা করা। তবে পদপিষ্টের ঘটনায় বিজেপির বাজেট পাশ হবে কি না, তা আজ দিল্লি বিধানসভার ফলে কিছুটা বোঝা যাবে। 
ফরাসি শব্দ ‘বুগেট’ থেকে ‘বাজেট’ শব্দটির উৎপত্তি। বুগেট কথার বাংলা অর্থ ছোট ব্যাগ। চামড়ার ব্যাগেই নিয়ে যাওয়া হয় বাজেটের নথি। দেশের অর্থনীতি কোন পথে চালিত হবে, তা নির্বাচিত সাংসদদের অবগত করাই বাজেটের উদ্দেশ্য। আইনসভার সদস্য হিসেবে দেশের অর্থনীতির হালহকিকত সর্বপ্রথম জানার অধিকারী তাঁরাই। সংসদে বাজেট পেশ হওয়ার আগে তা ফাঁস হয়ে গেলে বিপন্ন হতে পারে সরকারের ভবিষ্যৎ। তবে আর্থিক বাজেটের চেয়েও অনেক বেশি গোপনীয় বিষয় হল ‘ধর্মীয় বাজেট’। প্রতিবাদ তো দূরের কথা, ‘ধর্মীয় বাজেট’ নিয়ে চর্চার অবকাশ থাকে না। উল্টে প্রতিবাদ করলেই প্রত্যাঘাতের প্রবল আশঙ্কা।
বিজেপি বরাবর ধর্মের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে এসেছে। কিন্তু ২০১৯ সালের পর থেকে হিন্দুত্বকে অক্টোপাসের চেয়েও জোরে চেপে ধরেছে। পুলওয়ামার কাণ্ড না হলে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া কঠিন ছিল। বারবার জাতীয় ভাবাবেগ সৃষ্টি সম্ভব নয়। সেটা বিজেপি নেতারা জানেন। তাই আবেগ সৃষ্টির জন্য ধর্মকেই হাতিয়ার করেন। ভোট জেতার জন্য ধর্মকে কখনও খুল্লামখুল্লা, কখনও অতি সূক্ষ্মভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে বিজেপি। নির্বাচনী হার্ডেলস টপকানোর জন্য ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করে, যা রাজনীতির পরিভাষায় ‘ধর্মীয় বাজেট’।
এবার মৌনী অমাবস্যার পুণ্যলগ্নে প্রয়াগে অমৃতস্নানের যোগ ছিল ভোর ৩টেয়। তারজন্য কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ কুম্ভে ভিড় করেছিলেন। তবে, এটা নতুন কিছু নয়। প্রতিবার অসংখ্য মানুষ পুণ্যস্নানের জন্য কুম্ভে ভিড় জমান। কিন্তু এবার নাকি বিরল যোগ ছিল! তাই পুণ্যলাভের সুযোগ যেন হিন্দুরা হাতছাড়া না করে, তারজন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দেশজুড়ে প্রচারের ব্যবস্থা তো ছিলই। পাশাপাশি ব্যক্তিগত মোবাইলেও জানানো হয়েছিল কুম্ভে যাওয়ার আবেদন।
রাজনৈতিক নেতারা সাধারণত দু’ভাবে মানুষকে প্রভাবিত করে থাকেন। এক, নানান আর্থিক সুযোগ সুবিধা ও পরিষেবা প্রদান করে। দুই, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে। নরেন্দ্র মোদির ১১ বছরের শাসনকালে দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছে, সাধারণ মধ্যবিত্ত ও গরিবদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার রাস্তায় তারা হাঁটবে না। ‘অন্নদাতা’দের চেয়ে কর্পোরেটের ঋণ মকুবেই যে তাদের আগ্রহ বেশি, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
নরেন্দ্র মোদির সরকার যে গিমিকেই বিশ্বাসী, তা বাজেটে ফের একবার প্রমাণ হল। এবারের বাজেটের চমক আয়করে ছাড়। বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁরা উপায় করেন, তাঁদের আর আয়কর দিতে হবে না। বিজেপির ঢাক পেটানো দেখে মনে হচ্ছে, সীতারামন একটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে চাকরিজীবীদের একটা অংশ উপকৃত হবে। কিন্তু সেই সংখ্যাটা দেশের মোট জনসংখ্যার কত ভাগ? একেবারেই নগণ্য। ফলে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে সরকারের ভিত মজবুতের জায়গাটায় বিজেপি নেই। ঝুলিতে আছে শুধুই গিমিক। গিমিকে চটজলদি ফল পাওয়া গেলেও কখনও কখনও ‘সাইড এফেক্ট’ মারাত্মক হয়। সেটা গেরুয়া শিবিরের কর্তারা বুঝেছেন বলেই প্রতিটি মেগা ইলেকশনের আগে এমন একটা ইস্যুকে এনে আবেগ তৈরি করে, যার তোড়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক রথী মহারথীও ভেসে যায়।
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে ‘আচ্ছে দিনে’র স্লোগান দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরি, কালাধন ফিরিয়ে এনে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছিল দেশবাসী। পরিণতি? বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদি। এখন বিজেপির কোনও নেতা ভুলেও ‘আচ্ছে দিনে’র কথা মুখে আনেন না। ২০১৯ সালের ভোটে কোনও প্রতিশ্রুতি কাজ করবে না, বিজেপি নেতৃত্ব বুঝেছিল। তাই পুলওয়ামার মতো একটা জঙ্গি হানার ঘটনাকে সামনে রেখে জাতীয় ভাবাবেগ তৈরি করেছিল। প্রচার এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যাতে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় না তুলে মানুষ জাতীয় ভাবাবেগে ভেসে যায়। তখন মনে হয়েছিল, দেশের অখণ্ডতা রক্ষাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কথায় আছে, ‘ফেলিওর ইস দ্য পিলার অব সাকসেস’। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ব্যর্থতাকেই তাঁর সরকারের সাফল্য হিসেবে বারবার তুলে ধরেছেন। কুম্ভের দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যুও তাঁকে বিচলিত করতে পারেনি। তাই পূর্ব কর্মসূচি মেনেই তিনি অবগাহন করেছেন। ভাবখানা এমন, দুর্ঘটনা তো ঘটতেই পারে। হ্যাঁ, এটাই ‘মোদি-স্টাইল’। 
বিজেপির ‘ধর্মীয় বাজেটে’র মূল স্তম্ভ ছিল রামমন্দির নির্মাণ। মন্দিরকে সামনে রেখেই ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে ও ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে ফায়দা লোটার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। তাই ২০২০ সালে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন মোদিজিই। শঙ্করাচার্যদের আপত্তিও তিনি গ্রাহ্য করেননি। তাতে নরেন্দ্র মোদির হ্যাটট্রিক হয়েছে, কিন্তু তিনি হয়ে গিয়েছেন ক্র্যাচ নির্ভর প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় ‘হাওয়া’ ঘোরাতে হিন্দুভোট এককাট্টা করার জন্য মরিয়া বিজেপি। 
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার লাগামছাড়া অত্যাচার হচ্ছে। সমস্ত দিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উস্কানি, হম্বিতম্বি ভারত সরকার মেনে নিচ্ছে। কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, যে নরেন্দ্র মোদি আমেরিকায় গিয়ে ‘ইসবার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন, তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কেন? ভারতবর্ষের সহিষ্ণুতা ও সহনশীলতা নীতিই কি এর কারণ, নাকি পিছনে আছে অন্য কোনও অঙ্ক! 
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা অত্যাচারিত হলে এদেশে তার প্রভাব পড়বে। এখানে হিন্দুরা এককাট্টা হবেন। তাতে লাভ বিজেপির। তাই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগামছাড়া অত্যাচার হলেও মোদিজি ‘স্পিকটি নট’। এটা বিজেপির ‘ধর্মীয় বাজেটে’র অঙ্গ না হলেও বাংলাদেশের ঘটনা তাদের কিছুটা ডিভিডেন্ট দেবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ফলে বাংলাদেশের ঘটনা বিজেপির কাছে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতোই। 
অবশ্য কুম্ভমেলাকে বিশ্বমানের মেলা হিসেবে তুলে ধরাটা ছিল বিজেপির ‘ধর্মীয় বাজেটে’র অঙ্গ। দেশজুড়ে কুম্ভস্নানের জন্য যোগী সরকার প্রচার চালিয়েছে। প্রচার ছাড়াই লক্ষ লক্ষ ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশ নেন। এবারও নিতেন। তবে, প্রচারের দৌলতে সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে নরেন্দ্র মোদির বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তাই তাঁর উত্তরসূরি নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। সেই দৌড়ে অমিত শাহ যেমন আছেন, তেমনই রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। কুম্ভমেলা যোগীজির সামনে এনে দিয়েছিল সেই দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। অনেকে মনে করছেন, সেই সুযোগকে পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয়। কিন্তু ২৮ জানুয়ারির রাতের দুর্ঘটনা কি সমস্ত হিসেব গোলমাল করে দিল? তিনি কি দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন?
তবে, তার চেয়েও যে প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হল এমন একটা মেগা মেলায় বিপুল ভক্ত সমাগম হবে, সেটা সকলেই জানত। তারপরেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল না কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তো কথায় কথায় বিরোধী শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠিয়ে দেয়। সেখানে এমন এক ঐতিহাসিক মেলার নিরাপত্তার জন্য কেন সেনা ও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল না? এটা কি উত্তরপ্রদেশের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের উপর অতিরিক্ত ভরসার কারণে, নাকি পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ের কোনও জটিল অঙ্ক?
08th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
একনজরে
১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী হিংসা। তৎকালীন সময়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারে এক বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...

টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...

৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জিটি রোডের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত কমপক্ষে ২, জখম একাধিক
বালি থানার দেওয়ানগাজি এলাকায় জিটি রোডের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার ...বিশদ

10:03:58 AM

কর্ণাটকের মাণ্ড্য এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে সরকারি বাস, জখম কমপক্ষে ৫

09:45:00 AM

ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে আজ  থেকে বন্ধ জোড়া মেট্রো রুট
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দুই অংশ আজ বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হচ্ছে। হাওড়া ...বিশদ

09:42:00 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব রেডিও দিবস ১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন ১৮৩২: ...বিশদ

09:34:13 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কর্মে উন্নতি ও সুনাম। বৃষ: ধর্মকর্মে মন। মিথুন: কাজকর্মে শুভ। কর্কট: ব্যয় ...বিশদ

09:30:02 AM

প্রয়াগরাজে চলছে পুণ্যস্নান, পাখির চোখে রইল সকালের ঝলক

09:29:00 AM