জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
তবে এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। টেমস দুর্গা প্যারেডে অংশ নেওয়ার পর প্রতিমাটি মূলত ঘরের কোণেই পড়ে থাকত। পরের দিকে পিটারবারো বেঙ্গলি সংস্কৃতি ক্লাবের উদ্যোগেই তা কাঙ্খিত গন্তব্য খুঁজে পায়। এপ্রসঙ্গে ক্লাবের সদস্য অনামিকা ঘোষ বলেন, ‘হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবাল (এইচবিজি) অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে এইচবিজি-র ডিরেক্টর অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই অনন্য শিল্পকর্মটি টেমস প্যারেডের পরে একটি গ্যারাজে পড়ে রয়েছে। তাঁর এই কথাটি শোনার পরই টনক নড়ে। ঠিক করে ফেলি মা দুর্গার জন্য একটি যথাযথ স্থান খুঁজতে হবে। যাতে সবাই মাকে দর্শন করতে পারেন।’ শুরুতে একাধিক সংগঠনের দরজায় কড়া নেড়েও খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। তবে হাল ছাড়েননি। অনামিকার কথায়, ‘শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি নয়। মা দুর্গার এই মূর্তি নারী ক্ষমতায়নেরও প্রতীক। সেভাবেই বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টিকে তুলে ধরেছিলাম। আর তাতেই শেষমেশ সাফল্য আসে। এই মূর্তি স্থাপন শুধুমাত্র পিটারবারো নয়, পুরো ব্রিটেনের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।’ তাঁর আশা, শিল্পকর্মটি শুধু বাঙালি নয় দেশের নানা প্রান্তের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। দুর্গাপুজোর তাৎপর্য, এর নেপথ্যে থাকা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করবে।