জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। মিনিকিট চালের দাম কেজি প্রতি সাত থেকে আট টাকা বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তরা সমস্যায় পড়েছেন। এই চালের দাম সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এছাড়া স্বর্ণ চালের দামও বেড়ে গিয়েছে। জেলার বাসিন্দারা বলেন, একসময় মধ্যবিত্তরা স্বর্ণ চালের ভাত খেতেই অভ্যস্ত ছিলেন। এখন তাঁদের বেশিরভাগই মিনিকিট চাল খান। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ার তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। এই সময়ের মধ্যে বাঁশকাটি বা গোবিন্দভোগ চালের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই ধরনের চাল সাধারণত ‘এলিট’ ক্লাসের পাতে ওঠে। তাই বাঁশকাটি চালের দাম বাড়লেও মধ্যবিত্তদের সমস্যা হচ্ছে না। মিনিকিট চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর রাজ্যে ধান উৎপাদন ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছর ব্যাপক পরিমাণ চাল বাংলাদেশে যেত। সেদেশেও এখন চাল কম যাচ্ছে। তাই দাম বাড়ার কারণ নেই। এক আধিকারিক বলেন, একটি সিন্ডিকেট ইচ্ছাকৃতভাবে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রেও ‘ফড়ে’দের বড় ভূমিকা রয়েছে। চালের দাম অনুযায়ী কৃষকরা ধানের মূল্য পাননি। তাঁরা লাভের মুখ দেখতে না পারলেও ফড়েরা ফুলেফেঁপে উঠেছে। রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, সরকার বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করায় সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চাষিরা ধানের দাম পাচ্ছে।
খাদ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাইসমিল মালিকদের সঙ্গে আধিকারিকরা একপ্রস্থ কথা বলেছেন। কোথায় কত পরিমাণ চাল মজুত রয়েছে সেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট জেলাশাসকের দপ্তরে জমা পড়ার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বর্ধমানের বাসিন্দা সঞ্জীব দাস বলেন, মিনিকিট চালের দাম কেজি প্রতি ৫০-৫২টাকায় কিনছিলাম। এখন ৫৮-৬০টাকা হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই চাল খেয়ে অভ্যস্ত। অন্য চালের ভাত খেতে এখন আর তেমন ভালো লাগে না। আয় বাড়েনি। অথচ সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়ে চলছে। সংসার চালানো দায় হয়ে উঠছে। এখন রেশনে সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল বিনামূল্যে দেয়। সেটির মানও ভালো। কিন্তু এখন অনেকেই স্বর্ণ চালের ভাত খেতে চান না।