জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এই ব্লকের মানিকচক ঘাট বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের আন্তঃরাজ্য সীমান্ত। তার মধ্যে দিয়েই বয়ে গিয়েছে গঙ্গা নদী। প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমায় গঙ্গায় স্নান করতে আসেন মালদহ ও পার্শ্ববর্তী জেলার পুণ্যার্থীরা। তবে এবছর মহাকুম্ভের জন্য উত্সাহ অনেক বেশি। টিভির পর্দায় প্রয়াগরাজের পুণ্য স্নান দেখে মানিকচক ঘাটে সাতসকালে এসেছিলেন বৃদ্ধা সোনামণি দাস। স্নান শেষে বললেন, আর্থিক এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে মহাকুম্ভে যেতে পারিনি। তবে তাতে আক্ষেপ নেই। মানিকচক ঘাটে গঙ্গায় স্নান করে সেই অনুভূতিই পেলাম। চাঁচল থেকে মানিকচক ঘাটে এসেছিলেন আনন্দ ঘোষ। তাঁর কথায়, ৩৫ বছর ধরে মানিকচক ঘাটের গঙ্গা নদীতে পরিবার নিয়ে স্নান করতে আসি। অন্য বছরের তুলনায় এবছর ভিড় বেশি। মহাকুম্ভের রেশ আছড়ে পড়েছে মানিকচক ঘাটে। প্রশাসনের উচিত ভাঙনে ঘাটের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি সংস্কার করে স্নান ঘাট উপযুক্ত করে তোলা।
মাঘী পুর্ণিমায় ভিড় প্রত্যাশা করে তৈরি ছিল প্রশাসন। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা উপস্থিত হন মানিকচক বাস স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে প্রায় তিন কিমি হেঁটে রওনা হন মানিকচক ঘাটের উদ্দেশ্যে। পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কথা চিন্তা করে ঘাটের রাস্তায় সমস্ত যানবাহন বন্ধ রাখা হয়েছিল। সমস্ত রাস্তাজুড়ে ভক্তের ঢল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়া প্রয়াগরাজের নানা ভিডিওতেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। গঙ্গাপারে তখন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। কিন্তু স্নান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। কয়েকমাস আগে ভাঙনে স্থায়ী স্নানঘাট এখন গঙ্গা গর্ভে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পার্শ্ববর্তী জায়গায় তিনটি নতুন ঘাট তৈরি করা হয়েছে। নদীতে বাঁশের ব্যারিকেড ও বালির বস্তা দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার জন্য ঘাটের বিভিন্ন জায়গায় পুলিসি সহায়তাকেন্দ্র থেকে মেডিকেল ক্যাম্প ছিল। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কুইক রেসপন্স টিমকে নজরদারি চালাতে দেখা যায়। উপস্থিত ছিলেন বিডিও অনুপ চক্রবর্তী ও আইসি সুবীর কর্মকার। বিডিও বলেন, বিশেষ দিনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। - নিজস্ব চিত্র।