Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন। কারণ মরিয়া বিজেপি ২৭ বছর পর দিল্লি বিধানসভা দখল করলেও এই সাফল্যকে কিছুতেই বিরাট জয়, অভূতপূর্ব বলা যাবে না। বরং আপ আর বিজেপি’র মধ্যে শতাংশের হিসেবে ভোটের পার্থক্য মাত্র ২ শতাংশের মতো। অথচ আসনের ব্যবধান ২৬। ৪৮ বিজেপি, ২২ আপ। কোনও আসন না পেলেও ৭ শতাংশের মতো ভোট কেটে বিজেপি’র রাজধানী দখল সুনিশ্চিত করেছেন রাহুল গান্ধী। যদি এই ভোট কাটাকুটি না হতো, ইন্ডিয়া ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করত তাহলে দিল্লিতে এবারও গেরুয়া পতাকার স্বপ্ন অধরাই থাকত। পাঁচ বছর আগে কেজরিওয়াল যখন জিতেছিলেন তখন দুই দলের ভোট শতাংশের ফারাক ছিল ১৫ শতাংশের মতো। এবার বিজেপি আপের প্রথম সারির নেতৃত্বকে দীর্ঘসময় জেলে পুরেও পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে ব্যর্থ। কিন্তু একইসঙ্গে বলতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সের অন্তরাত্মাকে বারে বারে উপেক্ষা ও আঘাত করার দায় নিতেই হবে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে। এদেশে বিরোধী আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রাখতে ব্যক্তিগত স্বার্থ ছেড়ে সোনিয়াজির পরিবারকে রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির পাশে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু দুঃখের কথা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ভরাডুবির পরও শিক্ষা নেয়নি বিরোধীরা। সেই অনৈক্যের সুযোগেই দেশে গেরুয়া দলের শাসন শাখাপ্রশাখা বিস্তার করছে। গণতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বারে বারে বিপন্ন হচ্ছে। দশ জনপথের নিভৃতবাসিনী যেন ভুলে না যান নেহরু থেকে ইন্দিরা, একটি পরিবারের নাম ও নিশান মিটিয়ে দেওয়াই মোদি-অমিত শাহের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। বিরোধীদের এই সঙ্কটে তাই ঝুঁকিটা নিতে হবে তাঁকেই।
গত লোকসভা ভোটের আগে ক’টা বৈঠক হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের? ক’জন শরিকের মনে আছে আজ? প্রশ্নটা ছুড়লেই পুরনো ক্যালেন্ডার খোঁজেন নেতারা। ভুলে যান জোটের স্পিরিটেই আসন সমঝোতা না হলেও অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনের ফল নরেন্দ্র মোদির একদলীয় শাসনকে ধাক্কা দিয়েছিল। বিজেপি সরকারের বদলে ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ। ২৪০ আসনে থেমে গিয়েছিল বিজেপি’র ‘অব কি বার চারশো পারের’ আস্ফালন। কিন্তু তারপরই সবাই সবার বিরুদ্ধে নেমে গেল! কোনও বৈঠক নেই। নেই কোনও সমন্বয়। ইন্ডিয়া ছত্রভঙ্গ। এই একই নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে হরিয়ানায়, মহারাষ্ট্রে। আজ তারই রিপ্লে দেখল দিল্লিও। লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলাতেও বিজেপি নয়, যে কোনও মন্ত্রে মমতাকে অস্বস্তিতে ফেলাই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও সিপিএমের একমাত্র কাজ। সময় কিন্তু খুব কম। আসন্ন বিহার ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোট লড়াকু কোনও মুখ প্রজেক্ট করতে না পারলে আরও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। 
বিরোধীরা যখন নিজেদের মধ্যে ঝগড়ায় ব্যস্ত বিজেপি সুনিপুণভাবে মহারাষ্ট্রে পাঁচ মাসে রেকর্ড ৩৯ লাখ এবং দিল্লিতে ৮ লক্ষ নতুন ভোটার যোগ করেছে। কেউ খোঁজ রাখেনি। সেইসঙ্গে সুপরিকল্পিতভাবে মুছে দিয়েছে আরও কয়েক লক্ষ ভোটারের নাম। শুধু দিল্লিতেই সংখ্যাটা প্রায় ৫ লাখের মতো। বিজেপি’র মতো সংগঠিত এবং আরএসএসের আশীর্বাদপুষ্ট একটি দলের সঙ্গে লড়তে গেলে যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি দরকার তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি বিরোধীদের মধ্যে। এখন মহারাষ্ট্রে ফলাফল ঘোষণার পাঁচ সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর রাহুল গান্ধীর হঠাৎ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণের অর্থ কী? ইন্ডিয়া নেতৃত্বের এই গা-ছাড়া মনোভাবের জন্যই দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত ওখলাতেও জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মণীশ চৌধুরী। অর্থাৎ সংখ্যালঘু ভোট ভেঙে গিয়েছে। পাঞ্জাবি প্রধান এলাকা থেকে ঝুগ্গি অঞ্চলেও বিজেপি ভালো ফল করেছে। এমনকী উগ্র হিন্দুত্ব এবং কুম্ভ রাজনীতিকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা লাগোয়া মিল্কিপুর বিধানসভাও দখল করেছে গেরুয়া শিবির। 
শুধু ভোট কাটাকুটিই নয়, নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে সাত আপ বিধায়ক যোগ দেন বিজেপি’তে। নিছকই শিবির বদল বললে ভুল হবে। আসল কারণ নেতা কেনাবেচা, মোদি জমানায় যার কেতাবি নাম ‘অপারেশন লোটাস’। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে জলে স্থলে সর্বত্র পদ্ম ফোটানোর চূড়ান্ত মারমুখী চেহারাটা দেখে ফেলেছে বাংলা। বিরোধীদের অভিযোগ, দিল্লিতে প্রত্যেক বিধায়ক কিনতে অমিত শাহের দল ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে তৈরি। পাঁচ, পনেরো না একশো কোটির হাতবদল হয়েছে তা আমরা গুনে দেখিনি। তাই সত্যি মিথ্যে বলতেও পারব না। তবে এটুকু বিশ্বাস করি, মোদিজি যখন স্বাধীন ভারতে কালো টাকার বিরুদ্ধে বৃহত্তম অভিযানের কাণ্ডারী, তখন তাঁর দল ঘোড়া কেনাবেচাতেও নিশ্চয়ই কালো টাকা ব্যবহার করেনি। পুরোটাই আগমার্কা সাদা টাকায় হয়েছে। কারণ আমরা বঙ্গবাসী জানি ক্ষমতা দখল করতে সর্বত্র বিজেপি’র সেই এক আগ্রাসী স্টাইল। ভোটের আগে প্রতিপক্ষের ঘরে ভাঙন ধরানো কিংবা এজেন্সি পাঠিয়ে নেতামন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের নামে ভয় দেখানোর নাটক। মহারাষ্ট্র নির্বাচন থেকে তারসঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনেকটা সিপিএমের স্টাইলে ভোটার তালিকা ম্যানিপুলেশন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের চেয়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩২ লক্ষ বেশি। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছিল ৩২ লক্ষ। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটের পর মাত্র পাঁচ মাসে ভোটার সংখ্যা এক লাফে আরও ৩৯ লক্ষ বেড়ে গিয়েছে! কোন অঙ্কে এটা সম্ভব? মহারাষ্ট্রে মাত্র পাঁচ মাসে যে সংখ্যায় ভোটার বেড়েছে, তা গোটা হিমাচল প্রদেশের ভোটার সংখ্যার সমান বলে অভিযোগ রাহুল গান্ধীর। মহারাষ্ট্রের ১৯ বিধানসভা কেন্দ্রে মোট প্রদত্ত বৈধ ভোটের চেয়ে গোনা ভোটের সংখ্যা বেশি। আবার ৭৬টি বিধানসভায় গোনা ভোটের সংখ্যা বৈধ ভোটের চেয়ে কম। এই গাফিলতির কারণ সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে মহামান্য নির্বাচন কমিশনকে। নাহলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর সাধারণের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। 
দিল্লিতেও ভোটের দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন হিসেব দিয়েছিল ৫৭.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। পরের দিন তা বেড়ে হয়ে গেল ৬১ শতাংশ। তার বিস্তারিত হিসেবও কমিশন দেয়নি। মহারাষ্ট্র নির্বাচন থেকেই এটা শুরু হয়েছে। শেষ ঘণ্টায় ভোট পড়ার গতি হঠাৎ বেড়ে যায়। কোন রহস্যে? তার তল পায় না সাধারণ মানুষ। যেমন কুম্ভে ঠিক কত লোক পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তার সঠিক হিসেব কি বাইরে এসেছে? সবাই দেখেছে লাশের স্তূপ। মর্গে 
ঠাঁই নেই রব। মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ এসেছে একাধিক। কিন্তু চাপে পড়ে কেঁদে কঁকিয়ে যোগী প্রশাসন মৃতের সংখ্যা তিরিশ বলে স্বীকার করলেও তারপর আর একচুলও এগয়নি। দেশবাসী দেখল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কেষ্টবিষ্টু থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রী, সবাই স্নান করলেন 
নির্বিঘ্নে। ভিভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। কিন্তু যত দুর্গতি সাধারণের। প্রাণ হারাল কত, তার হিসেব কেউ দিল না। প্রশাসন যখন প্রকৃত সত্য চাপে তখন গুজব স্বাভাবিকভাবেই ডালপালা মেলে। এক্ষেত্রেও তাই। কেউ বলছেন প্রাণ হারিয়েছে কয়েকশো। আবার কেউ বলছেন প্রকৃত সংখ্যা কয়েক হাজার। সাধারণ মানুষ শুধু বিভ্রান্তই হতে থাকেন। বিরোধীরা যত রাশ ছেড়ে দেবেন তত বিজেপি’র এই যথেচ্ছাচার আরও বাড়তে বাধ্য।
দিল্লির ফলে আন্না হাজারের লোকপাল আন্দোলনও বড় ধাক্কা খেল। এবং সবচেয়ে 
দুঃখের ব্যাপার, তাঁর পুরনো শিষ্য দুর্নীতির ইস্যুতেই ভরাডুবির মুখোমুখি হয়েছেন। এই তথ্য আন্নাজির পক্ষেও কম ধাক্কা নয়। মহান ভারতীয় গণতন্ত্রের এও এক বিরাট শিক্ষা। গলায় মাফলার সামান্য ‘ওয়াগন আর’ গাড়ি চড়া লোকপাল আন্দোলনের সহযোদ্ধা মানুষের আস্থা হারালেন শিশমহল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আবগারি দুর্নীতির টানাপোড়েনে। সোনার জল করা কমোডে দু’দিন পর প্রাতঃকৃত্য সারবেন অন্য কেউ! সবটাই হয়েছে পাঞ্জাবে আপের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর। এত পয়সা ও ক্ষমতায় মাথা ঘুরে গিয়েই বিপর্যয়। সঙ্গে দশ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। তাই কেজরিওয়াল ও সিশোদিয়া নিজের কেন্দ্রে জিততেও ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু বিপর্যয় যতই বড় হোক, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু হয় না। রাজনীতি হাজারো সম্ভাবনারই চটকদারি শিল্প। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে গড়া ইন্ডিয়া জোটকে ছত্রভঙ্গ করার দায় কার? এখনও সময় আছে, সোনিয়াজি, রাহুল গান্ধী ঘর অন্ধকার করে একবার ভাবুন। এভাবে চললে গেরুয়া দাপট আরও বাড়বে। বিরোধীরা ক্রমেই পিছু হটবে। বিহার, অসম, বাংলা এবং দক্ষিণের কেরল ও তামিলনাডুর ভোটের আগে এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে দেশের গণতন্ত্র আরও বিপন্ন হবে। শুধু এক দেশ এক নির্বাচন বিল আটকাতে হলে এককাট্টা হতেই হবে। আর খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে লড়াকু কোনও নেতা-নেত্রীকে সামনে রেখে নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হোক বিরোধী শিবির। সোনিয়াজি আপনার পরিবার মহান, কিন্তু এই মুহূর্তে বিজেপি’র সঙ্গে লড়তে হলে গোটা দেশে একজনই আছেন। তিনি স্ট্রিট ফাইটার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
09th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
একনজরে
রাজ্যে কৃষিকাজে সেচের জন্য যে পাম্প চলে, সেখানে যাতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়, তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে রান্নার কাজে এলপিজির বদলে যাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার হয়, চেষ্টা চলছে তারও। ...

কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...

৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কোচবিহারের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হোস্টেলে ইন্টার্নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হোস্টেল থেকে উদ্ধার ...বিশদ

10:13:00 AM

আজকের আবহাওয়া
আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রোদের তেজে অস্থির আমজনতা। চড়চড় করে ...বিশদ

10:04:00 AM

জিটি রোডের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত কমপক্ষে ২, জখম একাধিক
বালি থানার দেওয়ানগাজি এলাকায় জিটি রোডের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার ...বিশদ

10:03:58 AM

কর্ণাটকের মাণ্ড্য এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে সরকারি বাস, জখম কমপক্ষে ৫

09:45:00 AM

ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে আজ  থেকে বন্ধ জোড়া মেট্রো রুট
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দুই অংশ আজ বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হচ্ছে। হাওড়া ...বিশদ

09:42:00 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব রেডিও দিবস ১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন ১৮৩২: ...বিশদ

09:34:13 AM