Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। এতটা সুপরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে নিখুঁত ভাবে কার্যকর করা যায়, সেটা বেশ শিক্ষণীয় সমস্ত সরকার ও রাজনৈতিক দলের কাছে। কী সেই চিত্রনাট্য?
প্রথমে বিগত এক বছর ধরে সভা, সমাবেশ, সরকারি, বেসরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীসহ 
ভারত সরকারের নীতি নির্ধারকরা অত্যন্ত নিয়ম করে উচ্চকিত কণ্ঠে বলছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ২৫ কোটি মানুষকে 
তুলে আনা সম্ভব হয়েছে গরিবি থেকে। এটা সুশাসনের  প্রমাণ। কিন্তু একটানা এই প্রচার করার পরও 
যদি দেশবাসীর বিশ্বাস না হয়? কারণ হাজার হোক সরকার এবং সরকারের মন্ত্রীরা তো নিজেদের সাফল্য প্রমাণ করতে এরকম দাবি করতেই পারেন! মানুষ তো ভাবতেই পারে এসব দাবির প্রমাণ কী? মিথ্যাও তো হতে পারে! 
তাই এরপর এসেছে পরবর্তী ধাপ। হঠাৎ গত বছরের শেষভাগে প্রধানমন্ত্রীর একটি সরকারি অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিসার্চ সমীক্ষার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হল। দেশের আর্থ সামাজিক কিংবা শিল্প অথবা শিক্ষা সহ নানাবিধ বিষয়ে এই এসবিআই রিসার্চ মাঝেমধ্যেই রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওই রিসার্চে হঠাৎ এসবিআই কী বলল? বলল, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে গ্রামীণ ভারতের দারিদ্র্য ৪.৮৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর শহরে গরিব মানুষের সংখ্যা কমেছে ৪ শতাংশ। 
ঠিক তারপরই প্রধানমন্ত্রী সেই এসবিআই রিসার্চকে উদ্ধৃত করে বললেন, এই তো আমরা একাই বলছি না, এসবিআই রিপোর্ট পর্যন্ত বলেছে যে, ভারতে কীভাবে দ্রুত কমে চলেছে গরিব মানুষের সংখ্যা। তারপর থেকে ভারত সরকার বারংবার ওই রিপোর্টই প্রচার করে চলেছে। এসবিআই রিপোর্ট যে এই দাবি করল, তার ভিত্তি কী? কীভাবে বোঝা গেল যে এই চরম মূল্যবৃদ্ধি আর বেকারত্বের যুগে গরিব মানুষের সংখ্যা হু হু করে কমে যাচ্ছে? দেখা যাক এসবিআই রিসার্চের প্রক্রিয়াটি কী! 
এসবিআই রিসার্চ মানদণ্ড স্থির করে জানিয়েছে, যে পরিবার মাসে ১৬৩২ টাকার কম খরচ করে তারা গরিব। এটা গ্রামীণ ভারতের হিসেব। আর শহুরে ভারতে যে পরিবারের ব্যয়ক্ষমতা ১৯৪৪ টাকার বেশি নয়, তারাই গরিব। এই নীতির নাম অ্যানুয়াল হাউসহোল্ড কনজামশান। অর্থাৎ বছরে একটি পরিবার যা খরচ করে। তার মানে হল, একদিনে গ্রামীণ ভারতের যে পরিবার ৫৫ টাকা খরচ করে তারা গরিব। শহরে যারা ৬৫ টাকার মধ্যে খরচ করবে তারাও গরিব। তাহলে কি এই অঙ্কের বেশি যারা খরচ করতে পারে তারা গরিব নয়? হাউসহোল্ড কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভের এই রীতি নিয়ে তাবৎ অর্থনীতিক মহল প্রশ্ন তুলছে। তাদের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি, টেন্ডুলকর কমিটির দারিদ্র্যসীমা সংক্রান্ত রিপোর্ট ইত্যাদিকে ভিত্তি করে এই যে গরিবের মাপকাঠি তৈরি হয়েছে এটা ত্রুটিপূর্ণ। এভাবে ২০২৪ সালের গরিব নির্ধারণ করা যায় না। 
কিন্তু এসব যুক্তি ভারত সরকার মানতে নারাজ। তারা খুশি এবং এই রিপোর্ট গ্রহণ করেছে অত্যন্ত আনন্দ সহকারে। আর তাই প্রচারও চলছে জোরকদমে। সুতরাং নিত্যদিনের খাবার কেনার জন্য ৬৫ টাকার বেশি যাঁরা ব্যয় করতে সক্ষম তাঁরা আর গরিব নয়। এটাই রাষ্ট্র এখন মনে করছে। 
খুব ভালো কথা। রাষ্ট্র এই মনোভাব নিয়ে সন্তুষ্ট হতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আর একটি সমীক্ষা ভুলে গেলে চলবে না। ভারতে ২০২৪ সালে ২১ কোটি মানুষ দিনে আয় করেন ১০০ টাকার কম। তাঁদের মাসিক আয় তাহলে কত? তাঁরা কত টাকা চাল, ডাল, তেল, সব্জি ও আমিষ কিনতে ব্যয় করতে পারবেন? এই হিসেবের সমাধান কী? তাঁদের জীবন কীভাবে চলে? তাঁদের মধ্যে গরিব কারা? কারা গরিব নয়? কঠিন অঙ্ক। 
মোটামুটি প্লট নির্মাণ করা হয়েছে। এবার চিত্রনাট্যের পরবর্তী ধাপ কী? সেটা দেখা গেল ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালের বাজেটে। কী দেখা গেল? দেখা গেল, বহু বছর পর হঠাৎ মধ্যবিত্তের জন্য ভারত সরকার উদারহস্ত। কল্পতরুর মতো একঝাঁক আয়করে ছাড় দিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে প্রবল প্রচার আর চর্চার আড়ালে সরকারের বাজেট বরাদ্দের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেল, বাজেটে অর্থমন্ত্রী তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
১) কৃষিকার্যে ব্যবহৃত সারের উপর সরকার যে ভর্তুকি দেয়, সেই সারে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০২৪ সালে। সেটা ২০২৫ সালে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ কৃষকদের চড়া মূল্যের সার কিনতে নিজেকে বেশি খরচ করতে হবে। 
২) খাদ্যে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। খাদ্যে সবথেকে বেশি বরাদ্দ কী কারণে করতে হয়? গরিব কল্যাণ যোজনায় গরিবকে রেশনে বিনামূল্যে চাল-গম দিতে। সেই বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল কেন? কারণ ওই যে এতদিন ধরে আমাদের বলা হয়েছে যে, গরিব কমে গিয়েছে! গরিব যদি কমেই যায়, তাহলে বিনামূল্যে চাল গম কম দিতে হবে!
৩) ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। যা ২০২৪ সালেও  ছিল। অর্থাৎ বরাদ্দ এক টাকাও বাড়ল না। জনসংখ্যা বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে। বেকারত্ব বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বাড়ছে। তাহলে বরাদ্দ বাড়ানো হল না কেন? কারণ পৃথকভাবে আর একটি উপকাহিনি রচিত হয়ে চলেছিল বিগত তিন বছর ধরে। সেটি হল, হঠাৎ দেখা যাচ্ছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জব কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে হু হু করে। নানাবিধ করণে। আধার লিংক করা হয়নি কেন? অথবা টেকনিকক্যাল কোনও কারণে ওই জব কার্ড আর বৈধ নয়। কিংবা জাল জব কার্ড ধরা পড়ছে। কত করে জব কর্ড বাতিল হচ্ছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, মাত্র ৬ মাসে ৮৪ লক্ষ জব কার্ড বাতিল। তাহলে তিন বছরে কত বাতিল হয়েছে? কয়েক কোটি। কিন্তু নতুন করে জব কার্ড তো ইস্যুও করা হয়? হ্যাঁ হয়। কিন্তু দেখা যায়, যতগুলি নতুন নাম নথিভুক্ত হয়, ততগুলি বা তার থেকে বেশি নাম বাদ চলে যাচ্ছে। তাহলে কী হয়? তাহলে আর ১০ দিনের কাজের চাহিদার সংখ্যা বাড়ছে না। যত যুক্ত হচ্ছে, ততই বাতিল হচ্ছে অন্যদিক থেকে। সংখ্যা হয় কমছে, অথবা একই থাকবে। তাহলে? তাহলে আর বেশি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করতে হবে কেন? আবেদনকারীর সংখ্যা তো বাড়বে না নিশ্চিত! 
তাহলে মোটামুটি কী দাঁড়ালো? এক বছরে ধরে প্রথমে প্রচার করা হল, গরিবের সংখ্যা কমেছে। তারপর সেটা প্রমাণ করার জন্য এসবিআই রিসার্চ রিপোর্ট দিল। তারপর গরিবকে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়ার বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল। কারণ কাগজে কলমে গরিব কমে গিয়েছে। কৃষকদের বছরে তিনবার ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সেটা জোরদার প্রচার পাচ্ছে। কিন্তু সারে ভর্তুকি কমে গেল! সেই প্রচার ধামাচাপা থাকছে। ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বাড়ছে না। কারণ আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
এই নিখুঁত প্ল্যানে লাভ কার? রাজকোষ থেকে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে সরকারের খরচ কমে যাওয়া। আর তাহলেই বাজেট ঘাটতি কমে যাবে! রাজকোষে টাকা রয়ে যাবে। সেই টাকায় কী করা যাবে? কর্পোরেটের ট্যাক্স মকুব করা যাবে! বাজেট পেপারের একটি অংশে একটি বিভাগ থাকে। তাকে বলা হয় রেভিনিউ ফোরগন। মানে কর্পোরেটকে কর মকুব করতে সরকারের কত টাকা লোকসান হয়েছে? পাঁচ বছরে কত সেই অঙ্ক? ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি টাকা! 
গরিবের সংখ্যা কমলে কম খরচ করা যাবে। কম খরচ করলে রেভিনিউ ফোরগনের টাকা জোগাড় করা যাবে। সুতরাং নিপুণ চিত্রনাট্য! নিখুঁত ক্ষতিপূরণ! 
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
একনজরে
ভারত বিদ্বেষ চরম আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। ভারতীয় পণ্য ‘বয়কটের’ ডাক দিয়ে বাজার গরম করতে ময়দানে নেমেছেন ছোট-বড় সমস্ত শ্রেণির নেতা। ...

খুন আর তোলাবাজি অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক সহযোগী। সেই মামলায় এমনিতেই চাপে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের খাদ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা ধনঞ্জয় মুন্ডে। ...

বিশ্ববিদ্যালয় গড়লেও হাসপাতালের স্বপ্নপূরণ হল না। তার আগেই প্রয়াত হলেন বীরভূমের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী মুনকির হোসেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ...

দল গঠনের ক্ষেত্রে কখনও কার্পণ্য করেননি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। বিদেশি থেকে ভারতীয় স্কোয়াড— সব বিভাগেই সেরা ফুটবলারদের সই করিয়েছে মোহন বাগান। দলের পারফরম্যান্সে তারই প্রভাব স্পষ্ট। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির  সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১২: ইংরেজ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জন্ম
১৮৭১: আমাশা রোগের জীবাণু আবিষ্কর্তা জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশির জন্ম
১৮৯৪: বিখ্যাত সুরকার তথা সেক্সাফোনের আবিষ্কারক এডলফ সক্সের মৃত্যু
১৯০৪: চিত্রশিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৭: নাট্যকার বিধায়ক ভট্টাচার্যের জন্ম
২০০৫: সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৮ টাকা ৮৮.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫০ টাকা ১১১.২৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩০ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী ৩৭/৫৫, রাত্রি ৯/২৭। রোহিনী নক্ষত্র ৩০/৫৮ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/২৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৫০  মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৭ গতে ১০/৪ মধ্যে। 
২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী রাত্রি ১০/৫৭। রোহিনী নক্ষত্র রাত্রি ৮/২৭। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৩ মধ্যে ও ৮/২০ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩০ মধ্যে ও ৪/২ গতে ৫/২৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৪ গতে ৮/৫৪ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২৩ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৬ গতে ১১/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
৮ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
৫৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:18:00 PM

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে এআই সামিটে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

02:04:50 PM

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টেতে রাজ্য বাজেট পেশ হবে বিধানসভায়

02:04:00 PM

কৃষকদের ঋণে ডোবাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:02:00 PM

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট মরীচিকা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:01:00 PM

এই বাজেট বাংলা বিরোধী বাজেট: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

01:59:00 PM