পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাদ রবি মুর্শিদাবাদে বসে সংগঠন বাড়ানোর কাজ করছিল। তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল এবিটি প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির। এবিটি প্রধান শাদকে কী নির্দেশ দিয়েছিল, হেফাজতে আসা জঙ্গিকে জেরা করে জানতে চাইছে বেঙ্গল এসটিএফ। বাংলাদেশে থাকা এই জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্যকে শাদ মুর্শিদাবাদে নিয়ে এসেছে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আমিনুলের মাধ্যমে তাদের জাল ভোটার, আধার কার্ড তৈরি করে দিয়েছে শাদ রবি। যে কারণে তদন্তকারীরা তাকে জেরা করে জানতে চাইছেন কারা কারা এখানে এসেছিল এবং সংগঠনে তারা কী পদে রয়েছে। বেঙ্গল এসটিএফে হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, শাদ লেনদেনের জন্য ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। স্লিপার সেলের সদস্যদেরও এই অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে দিয়েছিল লেনদেনের জন্য। পাশাপাশি অফিসারদের হাতে কয়েকজন হাওলা কারবারির নাম এসেছে। যাদের সঙ্গে শাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তারাই বাংলাদেশ থেকে পাঠানো টাকা এই জঙ্গির কাছে পৌঁছে দিত। টাকা পয়সার লেনদেনের তথ্য শাদকে জেরা করে বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। নুর পূর্ব বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় এর আগে প্রশিক্ষক হিসেবে এসেছিল। তার সঙ্গে এই রাজ্যের যোগ পুরানো। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর নুরের সহযোগীদের অনেকেই এখনও অধরা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সম্প্রতি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নুর। তারা মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানে কাজ শুরু করেছে। তাদের বিষয়ে তথ্য জানতে চাইছেন অফিসাররা। একইসঙ্গে অসমে থাকলেও, মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সংগঠনের এই বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। তাদের কাছ থেকে নুর আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছে বলে খবর। তাকে জেরা করে বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ডেরায় হানা দিতে চান তদন্তকারীরা। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ সহ আর কোন কোন জেলায় কটি খারিজি মাদ্রাসায় সে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল, সেটিও জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।