পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
নদীয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘সৃষ্টিশ্রী মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মুখোমুখি বসানো হয়েছিল। ক্রেতা হিসেবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত সামগ্রী কিনতে ইচ্ছুক। বেশি কিছু সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো। এর ফলে তাদের ব্যবসার প্রসার হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তরফ থেকেও সারাবছর নানা উদ্যোগ নেওয়া হয় গোষ্ঠীর মহিলাদের সদস্যদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য। যাতে তাঁরা নিজেদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন।’
সম্প্রতি কৃষ্ণনগর শহরের গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল সৃষ্টিশ্রী মেলার। নদীয়া জেলার পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠী ওই মেলায় অংশগ্রহণ করে। মেলায় প্রায় ৭০টির মতো স্টল হয়েছিল। অংশগ্রহণ করেছিল শতাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী। যারা তাদের সদস্যদের হাতে তৈরি সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বিক্রি করতে বসেছিল।
সেই মেলাতেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মুখোমুখি বসানো হয়। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘বায়ার্স-সেলার্স মিট’। ক্রেতা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাকে। যাদের সামনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের সামগ্রী তুলে ধরেন। বলা যায়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ‘মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি’-র হাতেখড়ি হল। কারণ, প্রশাসনের আধিকারিকদের কথায়, ‘বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে, যারা বিভিন্ন রকমের সুন্দর জিনিস তৈরি করেন। কিন্তু আধুনিক সময়ে তাদের উৎপাদিত সামগ্রীকে বাজারজাত করার কৌশলের দিক থেকে তাঁরা অনেক পিছিয়ে থাকেন। যার ফলে তাঁদের ব্যবসা সেভাবে এগয়ই না।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩টি নামজাদা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মোট ১৫টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ব্যবসায়িক ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ১৫ লেটার্স অব ইনটেন্ট। দেখা যাচ্ছে, এমনও কিছু গোষ্ঠী রয়েছে যাদের সঙ্গে মেলাতেই কোনও বেসরকারি সংস্থা লক্ষাধিক টাকার চুক্তি করেছে। যেমন ‘কোহিনুর’ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে খাদির এক সংস্থার চুক্তি হয়েছে। ওই সংস্থা কোহিনুর স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে জামদানি শাড়ি, বেড শিট সহ বিভিন্ন জিনিস কিনবে আগামী দিনে। এছাড়া ‘রাখি’ স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকার অর্গানিক টারমারিক পাউডার অর্থাৎ জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন হলুদের গুঁড়ো সহ অন্যান্য জিনিস কেনার চুক্তি হয়েছে একটি সংস্থার সঙ্গে। এছাড়া ব্ল্যাক রাইস, গুড়, গোবিন্দভোগ চাল, চিঁড়ে, ঘি, পাটের সামগ্রী সহ আরও বিভিন্ন জিনিস কেনার চুক্তি হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে।