পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
চিকিৎসকদের একাংশ বলেন, হাসপাতালের মধ্যে এভাবে জঞ্জাল পুড়িয়ে বায়ু দূষিত করা নিয়ম বিরুদ্ধ। ধোঁয়া থেকে রোগী ও সাধারণ মানুষ অসুস্থ হতে পারেন। দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। এই ঘটনায় হাসপাতালে কর্মীদের একাংশের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে প্রত্যেকটি কাজের নির্দিষ্ট দায়িত্ব ভাগ করা রয়েছে। জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ দেখভালের দায়িত্বে যাকে দেওয়া রয়েছে তারই এটা দেখা উচিত। কিন্তু এদিন সাফাই অভিযানের সময় হাসপাতালের কোনও কর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি। ঠিকা নিযুক্ত সাফাই কর্মীরা তাঁদের খেয়ালখুশি মতো এই জঞ্জাল পোড়ান। আইডি ওয়ার্ড, আউটডোর, টিকিট কাউন্টারের সামনে নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ হলেও প্রতিবাদ করার কেউ ছিলেন না। এতে হাসপাতালের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ করেন। তাঁদের বক্তব্য, সুপারকে সহযোগিতা করার জন্য একাধিক ডেপুটি সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আছেন। হাসপাতালে চত্বরে ঢুকে কেউ নিয়মবিরুদ্ধভাবে কোনও কাজ করলে তা নজরদারি রাখার দায়িত্ব তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া রয়েছে। কোনও ক্ষেত্রেই নজরদারি নেই, তাই জঞ্জাল পোড়ানই নয়, হাসপাতালে বহিরাগতরা অবাধে ঢুকে পড়ছে, দোকান বাজার বসছে। সিসি ক্যামেরায় হাসপাতাল চত্বর মুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে ক্যামেরার নজরদারিতে এই ঘটনা কেন ধরা পড়ল না। নাকি ক্যামেরার উপর ঠিকমতো নজরদারি হচ্ছে না?
হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, কে বা কারা এই কাজ করেছে জানা নেই। জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে জঞ্জাল এখান থেকে তুলে নিয়ে যেতে হবে। এতদিন সেটাই হয়ে এসেছে। এদিন কেন হাসপাতালের মধ্যে বর্জ্য পোড়ানো হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। এটা ঠিক হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মেডিক্যালে পোড়ানো হচ্ছে বর্জ্য। - নিজস্ব চিত্র।