দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
কুম্ভে স্নানে গিয়ে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী পুণ্যার্থী দলে থাকা তরুণ কোলে নামে শ্রীরামপুর ময়দান এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘দু’মাস আগে টিকিট কাটা হয়েছিল। কাশী, বিশ্বনাথ ঘুরে কুম্ভ স্নান করে আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি বেনারস স্টেশন যাই। দুন এক্সপ্রেসের টিকিট কাটা ছিল সকলের। দু’ঘণ্টা আগে স্টেশনে গিয়েও ট্রেনে উঠতে পারিনি। ভয়ানক ভিড় ছিল। আর রেলের তরফে নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে কোনও পরিকল্পনাই ছিল না রেলের। ফলে আমরা ট্রেনে উঠতেই পারিনি। শেষ পর্যন্ত বহু টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করি। পথের আতঙ্ক এখনও তাড়া করছে। আমাদের পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’ সুজাতা ঘোষাল নামে এক প্রবীণ পুণ্যার্থী বলেন, ‘ভয়ানক অভিজ্ঞতা। ভিড় সামাল দিতে রেল ও কুম্ভের আয়োজকদের কোনও পরিকল্পনা ছিল বলে মনে হয় না।’ দীপক ঘোষাল নামে অন্য এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘খুব আতঙ্কের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। সোমবার বাড়ি ফেরার পর স্বস্তি পাই। প্রবল ভিড়ের কারণে ট্রেনে ওঠাই যায়নি। পর্যাপ্ত ট্রেন থাকার প্রয়োজন ছিল। কুম্ভ স্নানের ভোগান্তি সারাজীবন মনে থাকবে।’
শ্রীরামপুর থেকে প্রায় ৩০ জনের একটি দল রওনা দিয়েছিল। কাশী-বিশ্বনাথ, বেনারস সফর করে কুম্ভ স্নানের পরিকল্পনা ছিল। কয়েকজন প্রবীণও ছিলেন দলে। তারা প্রথমে অযোধ্যা যায়। তারপর কাশী সফর করে ১৪ ফেব্রুয়ারি যায় কুম্ভে। পরের দিন দুন এক্সপ্রেস ধরে ফিরে আসার কথা। পুণ্যার্থীরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সময়ের বহু আগে স্টেশনে যান। কিন্তু দুন এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময় স্টেশনে আসেনি। অনেক পরে ট্রেন স্টেশনে ঢোকে। তারপরই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ট্রেন ছাড়ে অনেক পরে। এত ভিড় হয় যে, ভিড়ের ঠেলায় শ্রীরামপুরের দলটির অধিকাংশ সদস্য ট্রেনে উঠতেই পারেননি। কয়েকজন এসি কামরার টিকিট কেটেছিলেন। তাঁরাই কেবল উঠতে পেরেছেন। বাকিরা বেনারস স্টেশনেই রাত কাটান। পরের দিন মোঘলসরাই স্টেশনে যান। কিন্তু সেখানেও ট্রেনের অব্যবস্থা। তারপর তাঁরা বাসের খোঁজ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনটি চারচাকা গাড়ি ভাড়া করে মোঘলসরাই থেকে সোমবার শ্রীরামপুর ফেরেন। -নিজস্ব চিত্র