দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
সোমবার জেনারেল ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের মাঝে এক অসুস্থ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়। এই বিষয়ে বিডিও দিব্যেন্দু সরকার জানান, অব্যবস্থার খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জেনারেল ওয়ার্ড থেকে অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের বেড অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার ভূগোল পরীক্ষার দিন অসুস্থ হয় দু’জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এক জনের নাম আফ্রুজা সিদ্দিকা। সে কাপাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবছর তার সিট পড়েছিল ইটাহার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। অন্যজন আরিয়ান আসরাফ আলম। সে ইটাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার সিট পড়েছিল শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। দু’টি পৃথক পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর একঘণ্টা বাদে দু’জন পরীক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের তড়িঘড়ি ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সহ অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে পর্যবেক্ষণে রাখেন। এই বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেল রানা জানান, দু›জন পরীক্ষার্থী শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। প্রশাসনিক নিয়ম মেনে তাদের হাসপাতালের সংরক্ষিত কক্ষে দু›জনের বাকী পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন জয়েন্ট বিডিও অঙ্কুর বিশ্বাস। তিনি অসুস্থ পরীক্ষার্থী, হাসপাতাল ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এই বিষয়ে পরীক্ষা পরিচালনার জেলা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সুকান্ত মণ্ডল জানান, আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেনারেল ওয়ার্ডের বদলে সংরক্ষিত কক্ষে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। সেখানে পর্ষদের নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় পরীক্ষা দিচ্ছে দু’জন অসুস্থ পরীক্ষার্থী। নিজস্ব চিত্র।