Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না। তাই ভক্তের হৃদয়ে অবতার বা মহামানবরা চিরদিনই সীমা অতিক্রম করে বিদ্যমান। শ্রীরামকৃষ্ণ ঐতিহাসিকের কাছে হয়তো একজন মানুষ মাত্র, কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবানুরাগী ভক্তের কাছে প্রেমলোকবিহারী ‘মনের মানুষ’। তাই তাঁকে স্থান-কাল-ঘটনা সীমার মধ্যে বেঁধে রাখা চলে না।
শ্রীরামকৃষ্ণ, একাধারে রাম ও কৃষ্ণ। শ্রীরামকৃষ্ণ নিজেই বলছেন—‘যে রাম, যে কৃষ্ণ, সেই ইদানীং রামকৃষ্ণ।’ আরও বলছেন—‘এবার ছদ্মবেশে আসা, রাজা যেমন কখনও কখনও ছদ্মবেশে বের হয়। প্রজাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য।’ শ্রীরামকৃষ্ণ রাজার রাজা। ভগবান স্বয়ং ছদ্মবেশে এসেছেন প্রজাদের দুঃখ, দুর্দশা, জাগতিক অবস্থা দেখার জন্য। আর একদিন বলছেন—‘দেখলাম, খোলটি (দেহটি) ছেড়ে সচ্চিদানন্দ বাহিরে এল, এসে বললে, আমি যুগে যুগে অবতার।’ ভাগবতে আছে—সত্ত্বগুণের আকর হরির অসংখ্য অবতার। তিনি যেন একটা অক্ষয় সরোবর। সহস্রধারায় তা থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে নানাদিকে, কিন্তু সেই সরোবর যেমন ছিল তেমনই আছে। ঈশ্বর তেমনই যেমন ছিলেন তেমনই আছেন, কিন্তু তাঁর করুণাধারা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অবতারের ভিতর দিয়ে।
ঠাকুরকে প্রণাম করে গিরিশচন্দ্র ঘোষ বললেন—‘রামচন্দ্র জয় করেছিলেন ধনুর্বাণে, শ্রীকৃষ্ণ মুরলীর মধুর ধ্বনিতে আর আপনি জয় করলেন প্রণাম-মন্ত্রে।’
‘মদীয় আচার্যদেব’ শীর্ষক ভাষণে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন—‘অন্যান্য আচার্যেরা বিশেষ বিশেষ ধর্ম প্রচার করিয়াছেন, সেইগুলি তাঁহাদের নিজ নিজ নামে পরিচিত। কিন্তু ঊনবিংশ শতাব্দীর এই মহান আচার্য নিজের জন্য কিছুই দাবি করেন নাই। তিনি কোনো ধর্মের ওপর কোনরূপ আক্রমণ করেন নাই কারণ তিনি সত্যসত্যই উপলব্ধি করিয়াছিলেন যে, ওই ধর্মগুলি এক সনাতম ধর্মেরই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মাত্র।’ ঠাকুরের বিভিন্ন সাধনপথে উপলব্ধির কথা উল্লেখ করেছেন স্বামী অভেদানন্দজি এভাবে: ‘ভগবান এক—ঈশ্বর, আল্লা, GOD, হরি, জিহোবা, জগজ্জননী প্রভৃতি তাঁহার বিভিন্ন নামমাত্র। সুতরাং মূলত প্রত্যেক ধর্মই সত্য—যত মত তত পথ। মানুষ সংযমী, ত্যাগী, সত্যনিষ্ঠ, বিবেকি, পবিত্রচিত্ত, সরল ও ভক্তিমান হইলে যে কোনো ধর্মমতে তিনি সাধনার দ্বারা মুক্তিলাভ করিতে পারেন। ঈশ্বর অনন্ত—তাঁহার ভাবও অনন্ত। তিনি সাকার, নিরাকার এবং তাহারও অতীত আরও কত কি—ঈশ্বরীয় ভাবের ইতি করিতে নাই।’
ঠাকুর যখন নিজের বাসনা অনুসারে ভাবনেত্রে, দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে, শ্রীগৌরাঙ্গের নগর-সংকীর্তন দেখলেন, তখন সেই বিরাট সঙ্গীত তরঙ্গায়িত জনসমুদ্রে দেখছেন—শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু, শ্রীনিত্যানন্দ ও অদ্বৈতাচার্যকে—এই জনসম্মেলনে শ্রীরামকৃষ্ণ দুটি মুখকে চিনতে পেরেছিলেন—যাঁরা তাঁর পার্ষদরূপে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁদের একজন ছিলেন কথামৃতকার মাস্টারমশাই আর অপরজন ভক্তপ্রবর বলরাম বসু। পরে একদিন শ্রীমকে বলেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ, তোমাকে শ্রীচৈতন্যের পার্ষদদের সঙ্গে দেখেছি। শ্রীরামকৃষ্ণ তো পূর্ব যুগে শ্রীচৈতন্যরূপে লীলা করেছিলেন। আবার এসেছেন তিনিই শ্রীরামকৃষ্ণের খোলে। তিনি এসেছেন আর তাঁর পার্ষদরাও এসেছেন—যাঁরা তাঁর লীলাসহচর। কিন্তু এসব তো মাস্টারমশাই জানেন না, কিন্তু জানতেন অবতার পুরুষ, মায়াধীশ শ্রীরামকৃষ্ণ।
ভক্ত বলছেন—আমার বোধহয়—যিশু খ্রিস্ট, চৈতন্যদেব আর আপনি এক ব্যক্তি। ঠাকুর বলছেন—এক এক বই কী। এই ভাবময়তা শ্রীরামকৃষ্ণ জীবনেও বারবার প্রতিফলিত। তিনি বলছেন—‘কখনও রাধাকৃষ্ণের ভাবে থাকতাম। এরূপ সর্বদা দর্শন হতো। আবার কখনও গৌরাঙ্গের ভাবে থাকতাম, দুই ভাবের মিলন—পুরুষ ও প্রকৃতি ভাবের মিলন। এই অবস্থায় সর্বদাই শ্রীগৌরাঙ্গের রূপ দর্শন হতো।’
শ্রীশ্রীগৌরী-মা তো বলতেন—শ্রীশ্রীচৈতন্যদেব ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব—এ দুয়ে অভেদ।
শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবাবেশ লক্ষ করে, ভৈরবী ব্রাহ্মণী প্রথম বললেন—পাগলামি নয়, এ হচ্ছে মহাভাব। শাস্ত্রে আছে, এই মহাভাব দৃষ্ট হতো শ্রীমতী রাধিকা ও শ্রীচৈতন্যের কায়ায়। শ্রীচৈতন্যের এই মহাভাব বিষয়ে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন—চৈতন্যদেবের যখন বাহ্যদশা হতো তখন নাম-সংকীর্তন করতেন। অর্ধ-বাহ্যদশায় ভক্ত সঙ্গে নৃত্য করছেন। অন্তর্দশায় নির্বিকল্প বা ভাবসমাধি। এই কথাগুলি শুনে, মাস্টারমশাই-এর স্বগতোক্তি—ঠাকুর কি নিজের সমস্ত অবস্থা এই রূপে ইঙ্গিত করছেন! কীর্তন গানে ভাবাবিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণের প্রসঙ্গটি ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ-কথামৃত’-এ বহুবার বর্ণিত হয়েছে। কখনও গান শুনে তিনি সমাধিস্থ, কখনও রাধাভাবে গাইছেন বা আখর দিচ্ছেন, আবার কখনও ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনে নৃত্যরত। ঠাকুর বলছেন ভক্তদের—তাঁকে লাভ করার জন্য গান গাও। আনন্দের গান। হরিনাম মদিরায় মত্ত হও। তাঁকে নিয়ে আনন্দ—তাঁকে নিয়ে মাতোয়ারা হওয়া। ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে সংকীর্তন, নগর-সংকীর্তনের প্রচলন ঘটে কেশবচন্দ্র সেন শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে আসার পরে। কীর্তনানন্দে ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলিত হওয়ার পশ্চাৎপট শ্রীরামকৃষ্ণের প্রভাব। এই প্রভাব কতদূর বিস্তৃত হয়েছিল, তা বোঝা যায়, কথামৃতে বর্ণিত এই ঘটনাটিতে। ব্রাহ্মসমাজে ভক্ত সঙ্গে সংকীর্তন শেষ করেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। সান্ধ্য উপাসনার কাল উত্তীর্ণ। বিজয়কৃষ্ণ চিন্তা করছেন, কীর্তনানন্দের মাধুর্যরসের পরে উপাসনা কি সময়োচিত হবে? ঠাকুর মৃদুহেসে বলছেন—তোমাদের ব্যবস্থা সবই উল্টো। পোলাও মিষ্টান্নের পরে শুক্তো। 
শ্রীরামকৃষ্ণের কীর্তন-গান সম্বন্ধে স্বামী সারদানন্দ লিখেছেন—সেই গায়ন-রীতিতে ওস্তাদি, কালোয়াতি ঢংঢাং কিছুই ছিল না, ছিল কেবল গীতোক্ত বিষয়ের ভাবটি সম্পূর্ণ আবিষ্ট হয়ে মর্মস্পর্শী মধুর স্বরে যথাযথ প্রকাশ এবং তাল-লয়ের বিশুদ্ধতা। ঠাকুরের গীত অত মধুর লাগবার আর একটি কারণ ছিল। গান গাইবার সময় তিনি গীতোক্তভাবে নিজে এত মুগ্ধ হতেন যে অপরের প্রীতির জন্য গান গাইছেন, একথা একেবারে ভুলে যেতেন। গান গাইতে গাইতে গীতোক্তভাবে দুই চক্ষুর জলে বক্ষ ভেসে যেত।
ঠাকুরের কাছে গান ছিল সাধনমার্গ। বলতেন, সমাধিতে অদ্বৈতবোধ অনুভব করে আবার নীচে নেমে ‘আমি’ বোধ নিয়ে থাকা যেন গানের অনুলোম-বিলোম। সা রে গা মা পা ধা নি সা করে সুর তুলে আবার সা নি ধা পা মা গা রে সা করে সুরে অবতরণ। কীর্তন গানের বৈশিষ্ট্য ও জনমানসে তার প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে শ্রীরামকৃষ্ণের ছিল প্রগাঢ় রসবোধ। কীর্তন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে নরেন্দ্রনাথ বললেন—‘কীর্তনে তাল সম এসব নাই—তাই অত Popular-লোকে ভালোবাসে।’ শুনেই ঠাকুর বললেন—‘সে কি বললি। করুণ বলে তাই অত লোক ভালোবাসে।’
শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে একটি গান আছে—‘এসেছে নতুন মানুষ দেখবি যদি আয় চলে।’ সত্যই এক নতুন মানুষ। সর্বশ্রেণির মানুষের প্রতি এমন প্রেম ভালোবাসা সত্যি বিরল। ত্যাগের প্রতিমূর্তি। জ্ঞানের মহিমায় উজ্জ্বল। কিন্তু বাইরে একটুকু প্রকাশ নেই। বেশভূষা অতি সাধারণ। ভাষা ছিল গ্রাম্য, অনেকক্ষেত্রেই অমার্জিত কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত। কোনও অভিমান বা উচ্চমান্যতা ছিল না। বিনা-আমন্ত্রণে যে কোনও মানুষের কাছে যেতেন, তাঁকেও আমন্ত্রণ করে আসতেন। পুঁথিকার অক্ষয়কুমার সেন বলেছেন—
‘সে বিদ্যা বল দাদা কিবা উপকার/ চালকলা দুটামাত্র শেষ ফল যার।।/ হৃদয়ে অবিদ্যা আনে যে বিদ্যা-অর্জনে।/ শিখিতে এমন বিদ্যা কহ কি কারণে।।’
শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন, যো সো করে ঈশ্বর লাভ করা জীবনের উদ্দেশ্য। আরও বলছেন—‘শুধু পাণ্ডিত্যে কি হবে? অনেক শ্লোক, অনেক শাস্ত্র, পণ্ডিতের জন্য থাকতে পারে, কিন্তু যার সংসারে আসক্তি আছে, বিবেক নেই, তার শাস্ত্র জ্ঞান হয় না, মিছে পড়া।’ এই আসক্তিকে ত্যাগ করতে হবে। তাই ঠাকুর বলছেন—যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে, তাঁর পাদপদ্মে একমাত্র ভক্তি প্রার্থনা করবে। বলছেন—ব্রজগোপীদের শুদ্ধা-ভক্তির কথা। মুক্তি চাই না; প্রার্থনা করছেন, কোনও একটি ভাবে আবিষ্ট হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ভক্তি রসে আবিষ্ট থাকেন। ঠাকুর বলছেন—‘আমি মার কাছে একমাত্র ভক্তি চেয়েছিলাম। মার পাদপদ্মে ফুল দিয়ে হাতজোড় করে বলেছিলাম, ‘মা, এই লও তোমার অজ্ঞান, এই লও তোমার জ্ঞান, আমায় শুদ্ধ-ভক্তি দাও। আবার বলছেন, এই নাও তোমার ভালো, এই নাও তোমার মন্দ। আমায় শুদ্ধা-ভক্তি দাও।’ শুদ্ধা-ভক্তিগত প্রাণ ভক্তকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন—‘যাঁরা অনন্য মনে চিন্তা ক’রে আমার উপাসনা করে আমাতে একনিষ্ঠ সেই ভক্তদের যোগ ও ক্ষেম আমি বহন ক’রে থাকি। যা তার নেই তা যোগ করি আর যা তার আছে তা রক্ষা করি।’
শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন—ধর্মের আচারসর্বস্ব, বাহ্যাড়ম্বর নয়, কলিযুগে ভক্তিযোগ। ঈশ্বরের গুণকীর্তন নিয়ে মেতে থাকা। পতিত, অবহেলিত মানুষকে শ্রীরামকৃষ্ণ কতভাবে উপদেশ দিচ্ছেন। আশীর্বাদ করছেন। কী অপার করুণা কৃপা! শ্রীমা সারদা বলছেন—‘এই জন্যই তো ঠাকুর এসেছিলেন।’...
বেদ, উপনিষদ এবং দর্শনের যুগে মানুষ ঈশ্বরের গুণ-কর্ম ও প্রকৃতি সম্বন্ধে যে সব অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল, পৌরাণিক যুগে সেই সবই স্পষ্ট আকার ধারণ করে অবতার বিশ্বাস রূপে প্রকাশিত হয়। এই অবতার-পুরুষগণের আবির্ভাবের কারণ নির্ণয় করে তাঁরা বলেছেন—পবিত্র, সংযমী, পূর্ণজ্ঞানে গুণান্বিত এইসব পুরুষ লোককল্যাণ সাধনে অবতীর্ণ হন। ধর্মের সংকটকালে, মানব মুক্তি ও পথের দিশারি রূপে তাঁদের আবির্ভাব। ঊনবিংশ শতাব্দীতে শ্রীরামচন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ যুগ্ম-অবতারের সম্মিলিতরূপে যুগ প্রয়োজনে অবতীর্ণ হলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এ যুগের মানুষকে নতুন করে ধর্মের স্বাদ আস্বাদন করালেন শ্রীরামকৃষ্ণ যুগদিশারি রূপে। আজ শ্রীরামকৃষ্ণের ১৯০তম জন্মতিথি উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য।
লেখক রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের মুখপত্র ‘বিশ্ববাণী’-র সম্পাদক
01st  March, 2025
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন হিকি সাহেবও
মৃণালকান্তি দাস

ছুরিকাহত হওয়ার পর সলমন রুশদি তাঁর সাম্প্রতিক বই ‘নাইফ’-এ লিখেছিলেন, ‘ভাষাও একটি ছুরি। তা দিয়ে জগৎকে উন্মোচন করা যায়, বার করে আনা যায় তার অর্থ, তার গভীরতম ক্রিয়া, তার সত্য, তার গোপন কথা। ভাষা আমার ছুরি... এটাই সেই ছুরি যা নিয়ে আমি পাল্টা লড়াই শুরু করলাম।’
বিশদ

শোলের ৫০ বছর, তবু অটুট যৌবনের জেল্লা
সন্দীপন বিশ্বাস

বৈঠকে সকলেরই চিন্তান্বিত মুখ। তাহলে কি সব আশার বিনাশ হল অঙ্কুরেই? ওদিকে বেশ কয়েকটি বিরোধী প্রোডাকশন হাউস পার্টি দিতে শুরু করেছে। তারা আড়ালে দুয়ো দিয়ে বলছে, ‘ফুঃ! 
  বিশদ

05th  March, 2025
চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আয়করে ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হওয়ার পর সবকটা এলআইসি সারেন্ডার করে দিয়েছে সমরেশ। পুরনো কাঠামোয় আয়কর দেওয়ার তো আর প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

04th  March, 2025
হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা
পি চিদম্বরম

বিনা উসকানিতে যুদ্ধ—কোনও উচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নয়, তা করার পিছনে বরং একটি দলীয় মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। বিজেপির মধ্যে অবশ্য বিনা উসকানিতেই যুদ্ধ নামার প্রবণতা বিদ্যমান। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) এর উদাহরণ।
বিশদ

03rd  March, 2025
ট্যাংরা কাণ্ড নীরবে যে শিক্ষা দিয়ে গেল
হিমাংশু সিংহ

কী শেখাল ট্যাংরার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের মাত্র এক রাতে শেষ হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনি। নিঃসন্দেহে এই বাংলায় হালের অন্যতম বড় পারিবারিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এ নিয়ে দু’সপ্তাহ পরও শহর থেকে প্রত্যন্ত জেলা, মানুষের প্রশ্নের অভাব নেই। খণ্ড খণ্ড উত্তর মিললেও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
মমতার প্রতিপক্ষ বলেই ফ্যাসিস্ট নয় বিজেপি!
তন্ময় মল্লিক

শেষ পর্যন্ত কি ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরিয়েই পড়ল? বিজেপি সম্পর্কে দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটির সর্বশেষ মূল্যায়ন সামনে এসেছে। তাতে সিপিএম এখন আর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ মনে করে না।
বিশদ

01st  March, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

28th  February, 2025
দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
একনজরে
২০২৬ সাল থেকেই নতুন আসন পুনর্বিন্যাস চালু করতে চাইছে মোদি সরকার। তাতেই তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তামিলনাড়ুতে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে দ্রাবিড়ভূমে লোকসভার আসন সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাওয়ার আশঙ্কা। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রস্তাব পাশ করল ...

বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল মহেশতলা পুর কর্তৃপক্ষ। বুধবার পুরসভার একটি টিম ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরে গিয়ে ওই জলাশয়ের আশপাশের বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালে ...

‘হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার’—এই প্রবাদে বিশ্বাসী ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর। প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে তাঁকে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি যে ঋষভ পন্থের জায়গায় লোকেশ রাহুলকে খেলাবেন, সেটা আগেই জানিয়েছিলেন। ...

বাবার ব্যবসা ভালো চলছিল না। তাই সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন বছর বাইশের শৌভিক দাস। বুধবার শিলিগুড়িতে নতুন কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ময়নাগুড়ির সরস্বতী ব্রিজ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৭৫: ইতালীয় শিল্পী মাইকেল এঞ্জেলোর জন্ম
১৫০৮: দ্বিতীয় মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের জন্ম
১৮১২: কবি ঈশ্বর গুপ্তের জন্ম
১৯০০: ইংরেজ রসায়নবিদ জন ডালটনের মৃত্যু
১৯১৫: শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধীর প্রথম সাক্ষাৎ
১৯২৭: লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কোয়েজের জন্ম
১৯৩০: লন্ডনে প্রথম হিমায়িত খাদ্য বিপণন শুরু হয়
১৯৭১: টেস্টে অভিষেক হল ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারের
২০২১: অডিও ক্যাসেট টেপ উদ্ভাবক খ্যাত ডাচ প্রকৌশলী লু ওটেনসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৩৮ টাকা ৮৮.১২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৬০ টাকা ১১৩.৪০ টাকা
ইউরো ৯০.৮৬ টাকা ৯৪.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫। সপ্তমী ১২/৫ দিবা ১০/৫১। রোহিনী নক্ষত্র ৪৫/২০ রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩৮/৪১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩১ মধ্যে ১০/৩৭ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৭ গতে ১/২০ মধ্যে। 
২১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫। সপ্তমী দিবা ৩/২৭। রোহিনী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪৯। সূর্যোদয় ৬/০, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫১ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ১০/২৭ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৩ গতে ৫/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/২২ মধ্যে। 
৫ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন দিল্লির মন্ত্রী প্রবেশ ভার্মা

05:39:00 PM

বারাকপুরে রেলগেটের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু যুবকের
আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে পনেরো নাগাদ ট্রেনের ধাক্কায় বারাকপুরে ১৭ ...বিশদ

05:34:00 PM

মেরামতির কাজের জন্য মা ফ্লাইওভারের বাইপাসগামী ফ্ল্যাঙ্ক রাত ১২ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, জানাল কলকাতা পুলিস

05:28:37 PM

জেলায় জেলায় ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল

04:59:00 PM

ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পদে নির্বাচিত হলেন বিজেপি বিধায়ক বাবুলাল মারান্ডি

04:44:00 PM

ডন ৩ ছাড়লেন কিয়ারা আদবানি!
মা হচ্ছেন কিয়ারা আদবানি। সেই খবর কয়েকদিন আগেই জানিয়েছেন তিনি। ...বিশদ

04:15:35 PM