Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। ২০২২ সালে সোনার গড় দাম ছিল ৫২ হাজারের গণ্ডির মধ্যে। আর ২০১৪ সালে মোদি জমানার শুরুতে ২৮ থেকে ২৯ হাজারের মধ্যে। সেটাই এভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল কীভাবে? এর পিছনে কয়েকটা ফ্যাক্টর রয়েছে। এমনিতেই সোনা অফুরন্ত নয়। খনি থেকে তোলা হয়। আর তাই এর একটা শেষও আছে। সেই কারণে সবসময়ই এই মূল্যবান ধাতুর মূল্য একটু বেশির দিকেই থাকে। আর মার্কেট ডিমান্ড যত বাড়ে, তার সঙ্গে পাল্লা দেয় সোনার ‘পারদ’ও। গত কয়েক বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের জ্বালায় ভারতের অর্থনীতি এমন ‘সোনায় সোহাগা’ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে তো ডিমান্ড বা চাহিদা বৃদ্ধির কথা নয়! তারপরও কিন্তু সোনার দাম বাড়ছে। তাহলে কি সবটাই রাজনৈতিক কারণে? নরেন্দ্র মোদির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে সংশয় কিন্তু ২০২৪ সালে তৈরি হয়নি, অনাস্থার বীজ বপন হয়েছে আগেই। গত দু’বছরে তাতে ভালোমতন জল-হাওয়া পড়েছে। আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখনই সংশয়ের বেড়াজালে ঢুকে যায়, তার প্রভাব শেয়ার বাজার, সোনার দামের উপর পড়েই থাকে। এখানেও হয়তো সেটা হয়েছে। যে শ্রেণির মানুষের হাতে টাকা রয়েছে, সেই গুটিকয় লোকজন সোনা কিনছেন ঠিকই। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের রোজনামচা নয়। বরং চলতি বছরে সোনার ক্ষেত্রে আম জনতার গতিবিধি সম্পূর্ণ উল্টো। ভারতবাসী সোনা বন্ধক রাখছে ব্যাঙ্কে। তার বিনিময়ে টাকা নিচ্ছে। সোজা কথায় গোল্ড লোন। একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান—চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে সোনার বিনিময়ে ঋণের পরিমাণ দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। সঠিক হিসেবে ৫০.৪ শতাংশ। অর্থাৎ, আর্থিক বছরের শুরুতে যত মানুষ বাড়ির সোনা বন্ধক রেখে লোন নিয়েছিলেন, তার তুলনায় সংখ্যাটা আজ বেড়ে গিয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রশ্ন হল, কেন? কী এমন হল যে, এত বেশি সংখ্যক মানুষ হুড়মুড়িয়ে বাড়ির সোনা বন্ধক রেখে টাকা তুলতে শুরু করল? উত্তরটা খুব সহজ নয় কী! মানুষ লোন কখন নেয়? যখন তার হাতে টাকার জোগান থাকে না। অথচ, সাংসারিক চাপ এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, টাকা হাতে না এলেই নয়। আর এমন পরিস্থিতিতে ঋণের দরজা তো সব সময় খোলা! পার্সোনাল লোন, মর্টগেজ লোন, গোল্ড লোন, ব্যাঙ্কের থেকে পাওয়া লোন, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া লোন... টাকা চাইলে পেতে অসুবিধা হবে না, যদি আপনার কাঁধ বিপুল পরিমাণ সুদ দেওয়ার মতো শক্ত হয়। ঠিক যা পার্সেলান লোনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ঋণ দেওয়ার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বসেই আছে। মিনিমাম ডকুমেন্টেশন, ম্যাক্সিমাম লোন। তারপর আবিষ্কার করলেন, মাসে ১৭ শতাংশ সুদ দিতে হচ্ছে। সুদ দিতে দিতে মধ্যবিত্তের পকেট ক্ষয়ে গেলেও আসল পর্যন্ত পৌঁছনো যায় না। তাহলে উপায় কী? গোল্ড লোন।
বাড়িতে যে সোনা আছে, সেটা ব্যাঙ্কে বন্ধক রেখে সেই অনুযায়ী লোন নিলে সুদের হারটাও কম দিতে হয়। টাকাটাও হাতে আসে। মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে এর মতো বিশল্যকরণী আর কিছু নেই। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে বাজার খরচ, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, বিয়ে বা জন্মদিন বাড়ির মতো লৌকিকতা, যাতায়াত ভাড়া, রোজকার টিফিন খরচার মতো ব্যয়ের বহর লেগেই থাকে। সেই সবকিছুর খরচ প্রতিদিন, নানা ছুতোয় বাড়ে। থমকে থাকে শুধু উপার্জন। গত এক বছরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সব লৌকিকতাই শিকেয় তুলে রাখতে হয়েছে আম জনতাকে। পেটে খেলে তো পিঠে সইবে! সোনা বাড়িতে রেখে লাভ কী, যদি পেটের ভাতই না জোটে! তাই বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া ছাড়া গতি নেই মধ্যবিত্তের। সরকার অবশ্য মূল্যবৃদ্ধির সমীকরণ মানতে রাজি নয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদির বাকি মন্ত্রী ও সচিবরা লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ঢাল-তরোয়াল নিয়ে প্যাঁচ কষে চলেছেন। গোঁ ধরে রয়েছে শুধু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি না কমলে তারা রেপো রেট কমাবে না। ছাড়বে না মোদি সরকারও। রেপো কমালে কেন্দ্রের লাভ কী? মোদি সরকার মনে করছে, ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআই যে সুদে ঋণ দেয়, তার অঙ্ক কমলে বিভিন্ন ব্যাঙ্কও ঋণের সুদ কাটছাঁট করবে। তাতে লোন নেবে উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি। তারা বেশি বেশি পণ্য তৈরি করবে। অনেক কর্মসংস্থান হবে। সত্যিই কি তাই? মানুষের হাতে টাকা না থাকলে তারা কিন্তু ভোগ্যপণ্য কিনবে না। ফলে বাজারে ডিমান্ড তৈরিও হবে না। ডিমান্ড না থাকলে উৎপাদন ক্ষেত্র ভোগ্যপণ্য বানিয়ে বেচবে কোথায়? আর মানুষের হাতে টাকা না থাকলে ডিমান্ড তৈরিও হবে না। আর রেপো কমালেই গৃহঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য ঋণ নেওয়ার ঢল নামবে বলে কেন্দ্র আশায় বুক বেঁধে বসে আছে, হবে না সেটাও। অন্ন সংস্থান করতে না পারলে সাধারণ মানুষ বাড়ি-গাড়ির পিছনে ছোটে না। আর গুটিকয় যে শ্রেণির মানুষজন হেলায় বাড়ি-গাড়ি কেনেন, তাঁদের লোনের জন্য সুদের ঘাটতির উপর অপেক্ষা করতে হয় না। যাঁদের উপর ভর করে অর্থনীতি রোল করে, সেই মধ্যবিত্তের হাতে টাকা নেই। সেটা সোনার বন্ধকী ঋণের ব্যাপ্তির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এই মুহূর্তে, অর্থাৎ চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ঘাড়ে গোল্ড লোনের বোঝা রয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকার। অর্থাৎ, সোনা বন্ধক রেখে এই অঙ্কের টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর মার্চ মাসে অঙ্কটা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অথচ, সোনার চল কিন্তু বেশি দক্ষিণ ভারত এবং বাংলায়। তাহলে ধরে নিতেই হবে, এই দু’টি অঞ্চল থেকেই গোল্ড লোন অধিক মাত্রায় নেওয়া হয়েছে! তার মানে কি অন্য রাজ্যগুলির অবস্থা খুব ভালো? তা কিন্তু নয়। মূল্যবৃদ্ধির বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিতে সেখানে কেউ জমি বন্ধক রেখেছেন, কেউ আবার মহাজনের থেকে চড়া সুদে লোন নিয়েছেন। এটাও এক ধরনের পার্সোনাল লোন বটে। তবে সেই সংখ্যাটা গোল্ড লোনের অঙ্ককে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। সরকারি হিসেবই বলছে, পার্সোনাল লোনের বৃদ্ধির হার এই সময়সীমার মধ্যে মাত্র ৩.৩ শতাংশ। উপরন্তু অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার প্রবণতায় রীতিমতো ধস নামছে। মানুষ যতটুকু পার্সোনাল লোন নিচ্ছে, তার বেশিটাই ব্যাঙ্ক থেকে। অর্থাৎ, নিরাপত্তা খুঁজছে আম জনতা। গত কয়েক বছরে নগদের সঙ্গে সঙ্গে এই একটি বিষয়ের অভাবও রীতিমতো অনুভব করছে দেশবাসী। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক হিসেব হল, ৮৫ কোটি ভারতবাসীর মাথায় কোনও না কোনও ঋণের বোঝা রয়েছে কিংবা তাঁরা ঋণ শোধ করতে পারছেন না। এখানেই শেষ নয়, চলতি বছর অক্টোবর মাস পর্যন্ত গৃহঋণ বেড়েছে মাত্র ৫.৬ শতাংশ। অন্য বছর কিন্তু গড়ে হোম লোনে বৃদ্ধির হার ঘোরাফেরা করে ১২ শতাংশের আশপাশে। এর কারণ হতে পারে দু’টি। প্রথমত, ইএমআই কীভাবে দেব, সেই উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না মধ্যবিত্ত। আর দ্বিতীয়ত, আয়করের নতুন রেজিমে হোমলোনে ছাড়ের মতো কোনও উপায় মোদি সরকার রাখেনি। ফলে কর বাঁচানোর ফন্দি সব মাঠে মারা গিয়েছে। সেই অঙ্কেই গৃহঋণের পথে অনেকে হাঁটতে চাইছেন না। 
সোজা কথায়, বিনিয়োগ কমছে। সোনা বা গয়না কেনায় অনীহা লক্ষ করে গত ২০১৫ সালে গোল্ড বন্ড চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর সবটাই নিয়ন্ত্রণ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তারা বছরের যে সময় বন্ড ছাড়ে, তখন সোনার বাজারদরের উপর নির্ভর করে চূড়ান্ত হয় বন্ডের দাম। প্রশ্ন হল, গোল্ড বন্ডের চাহিদা বাড়ছে কেন? কারণ, লগ্নিকারীরা দেখছেন, প্রতি বছর এই একটি ক্ষেত্রে বিপুল মুনাফা করার সুযোগ রয়েছে। সোনার দামের লম্ফঝম্পের কোনও সীমা পরিসীমা নেই। এক বছরে যদি ৫ হাজার টাকা সোনার দাম বাড়ে, তাহলে এখানে টাকা খাটানোই ভালো। নিরাপদ এলআইসি বা কম সুদের ফিক্সড ডিপোজিটে নয়। ধস নামুক না সঞ্চয়ে! ওটা পাবলিকের প্রবলেম। সরকারের নয়। আর তাই শেয়ার বাজারে টাকা খাটলে এই সরকার উল্লসিত হয়। আম জনতাও সঞ্চয়ের বদলে লগ্নিতে বাধ্য হয়। কারও ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে, কারও না। তাঁরা ডুবে যান দেনায়। লগ্নি হয়তো বাড়ে, সঙ্গে উদ্বেগও। শেয়ার বাজার হোক বা সোনার দাম... রাজনীতির উপরও কিন্তু তারা বড্ড বেশি নির্ভরশীল। ইতিমধ্যেই কিন্তু বিশ্বের দুই প্রান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে। তার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতেও। যুদ্ধের আঁচ যত বাড়বে, বেসামাল হবে সবাই। সেই তালিকা থেকে বাদ যাবে না ভারতও। কারণ, এখন আর গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিপুল বরাদ্দের ১০০ দিনের কাজ নেই। পরিকাঠামোয় বিপুল টাকা ঢেলে সাধারণ মানুষের হাতে কাজের মাধ্যমে টাকার জোগান বাড়ানোর প্রয়াস নেই। পরিকাঠামো, চাঙ্গা বাজার দেখিয়ে উৎপাদন ক্ষেত্রকে বুস্ট আপ করার পরিস্থিতি নেই। আর্থিক মন্দাকে রুখে দেওয়ার দূরদর্শী ভাবনাও নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সরকার ও দেশের অর্থনীতিকে আগলে রাখার মতো একজন মনমোহন সিং ক্ষমতার অলিন্দে নেই।
10th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

ছ’ মাস ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি, আর বাকি ছ’ মাস সেই টাকায় সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণ। তবে নেহাত শখে নয়, বিশ্বশান্তির বার্তা দিতেই সেই ভ্রমণ। দুর্গাপুরের এ জোনে সেকেন্ডারি মোড়ে গেলে দেখা যাবে শ্যামাপদ শর্মার গরম ঘুগনির দোকান। ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM