Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য। এটাই হবে ইউএসপি। ‘কাটাপ্পা নে বাহুবলী কো কিঁউ মারা’ জাতীয় সাসপেন্স ধরে রেখে দেবে দর্শককুলকে। কোথা থেকে আসে এই সাসপেন্স? কীভাবে তৈরি হয় এইসব সিরিজ? আপনার-আমার গল্পই তো বলে এরা! এই সমাজকে নিংড়ে বেরনো ঘটনাগুলো ফুটে ওঠে স্ক্রিনে। কিন্তু একটু তলিয়ে ভাবুন তো, যেগুলো এখন পর্যন্ত আমরা দেখেছি, সত্যিই কি তাদের সেরার তালিকায় ফেলা যায়? উঁহু, যায় না। গত ৩০ বছরের সেরা সিরিজটি এখনও সমাজের মূলস্রোতেই ঘোরাফেরা করছে। আর তার নাম? মন্দির রাজনীতি। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এর প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। কিন্তু অপেক্ষার অবসান। বেশ দ্রুতই। এবার আসতে চলেছে দ্বিতীয় সিজন। মন্দির রাজনীতি-২।
কাজ অবশ্য শুরু হয়েছিল প্রথম সিজনের শেষ পর্বেই। কারণ, জ্ঞানবাপী মসজিদ ততদিনে পৌঁছে গিয়েছে আদালতের দরবারে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে তার অস্তিত্ব নিয়ে। ইতিহাস নিয়ে। মথুরায় সংখ্যালঘুদের ব্যবসা তুলে দেওয়ার ‘হুকুম জারি হয়েছে’। হিন্দুদের পবিত্রভূমিতে মসজিদ? থাকবে না। ১৯৯২ সালে কট্টরপন্থী যে প্রচারের জন্ম লালকৃষ্ণ আদবানি, উমা ভারতীরা দিয়েছিলেন, তারই ষোলো কলা পূর্ণ হতে চলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদের ভবিষ্যৎ কী? সম্ভলের উত্তাপ বাড়ছে কেন? এবার কি টার্গেট আজমির শরিফ? এই প্রশ্নগুলো কি সাধারণের মনে আসছে না? বুঝতে কি খুব অসুবিধা হচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একটু বেশিই ভারী হয়ে উঠছে হাওয়াটা? রোজগার মেলা, জাতীয় সড়ক, নতুন বিমানবন্দর... সবই পিছনের সারিতে। একটি শব্দেরই অনুরণন এখন নতুন ভারতে... ধর্ম, ধর্ম, ধর্ম। আচমকাই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। বিজেপির নিচু থেকে শীর্ষস্তর—সর্বত্র পৌঁছে গিয়েছে তাদের নির্দেশ। হিন্দুত্বের বার্তা। তারা জানিয়ে দিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় ইনিংসে হিন্দুত্ব ছাড়া আর কোনও এজেন্ডা নেই। থাকতে পারে না। তাহলে অচিরেই ক্ষমতার অলিন্দ থেকে হারিয়ে যাবে গেরুয়া শিবির। এই নির্দেশ কেন? সমাজের নিচুতলায় কাজ করে আরএসএস। ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন তাদের। আম জনতার মন পড়েই তারা বুঝেছে যে, উন্নয়ন প্রশ্নে আর ভোটারদের মগজধোলাই করা যাবে না। একটা টার্ম মানুষ আচ্ছে দিনের আশা করেছে। পরের পাঁচ বছরে চূড়ান্ত অপেক্ষা। কিন্তু তৃতীয় ইনিংসে পৌঁছে আর আশা থাকবে না, অপেক্ষাও না। চলতি বছরের লোকসভা ভোটের ফল এই ইঙ্গিত পৌঁছে দিয়েছে সঙ্ঘের দরবারে। সমীকরণটা জলের মতো পরিষ্কার—স্রেফ ভাঁওতা দিয়ে আর নির্বাচন উতরানো যাবে না। আর তাই ২০২৪’এ এসে ফের শক্তিশালী হয়ে উঠছে আঞ্চলিক দলগুলি। কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে যে প্রচার শুরু হয়েছিল, সেটাও অর্ধসত্য। কারণ, মহাজোট ইন্ডিয়া গঠন না হলে এই আসনটুকু তাদের ভাগ্যেও জুটত না। মানুষ দেখে নিয়েছে, একজনের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস করলে ডুবতে হবে। তাই তাঁকেও কম্পিটিশনে রেখে দাও। জোটের ভয় থাকুক। সরকার পড়ে যাওয়ার আতঙ্কও। তাহলেই হয়তো সংস্কারের নামে আম আদমির পেটে লাথি পড়বে না। কিন্তু যদি ছাঁকনি নিয়ে বসা যায়, তাহলে ওই এক ব্যক্তির পক্ষে কিন্তু অদূর ভবিষ্যতেও ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করা কঠিন। এবারই যদি জোরদার বিকল্প হাতের নাগালে থাকত, স্কোরবোর্ড অন্যরকম হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। আরএসএস এটাও জানে। জাতীয় স্তরে বিরোধীদের মধ্যে তেমন বিকল্প নেই। রাহুল গান্ধীকে পাবলিক এখনও প্রধানমন্ত্রী আসনের যোগ্য বলে মনে করে না। এই পরিস্থিতিতে হাওয়াটা সামলে নিতে হবে। আর সেই কারণেই চাই মেরুকরণ। এজেন্ডা—হিন্দুত্ব। অথচ গেরুয়া কট্টরপন্থী রাজনীতি নিজ গুণে বাড়তে পারবে না। তাহলে উপায় কী? অন্য ধর্মকে দুরমুশ করে সেই জায়গা দখল করা। তারই নবতম সংযোজন আজমির শরিফ।
এখন প্রশ্ন হল, আজমিরই কেন? ভারতে বিদেশি মুসলিম শাসকদের হামলা আগেও হয়েছে। কিন্তু মহম্মদ ঘোরীর অভিযানের সময়কাল ছিল তাঁদের সবার থেকে আলাদা। কারণ, তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের পরই এই দেশে নজরে পড়ার মতো ইসলামের বিস্তার। সেটাও খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির হাত ধরে। তিনি এসেছিলেন এ দেশে। থেকেও গিয়েছিলেন। রাজস্থানের আনা সাগরের পাড়ে একটি গাছতলা ছিল তাঁর প্রথম আস্তানা। তখন এদেশে রাজত্ব পৃথ্বিরাজ চৌহানের। কথিত আছে, ঠিক যে জায়গায় খাজা মইনুদ্দিন বসেছিলেন, সেটা ছিল রাজার সেনাবাহিনীর উটের বিশ্রামের ঠিকানা। অতগুলো উট নিয়ে ফেরার পর সেনা দেখেছিল, তাদের জন্য নির্দিষ্ট ওই গাছতলায় একজন পির বসে আছেন। কোনও কথা শোনেনি তারা। খেদিয়ে দিয়েছিল খাজা মইনুদ্দিন চিস্তি ও তাঁর অনুগামীদের। এবং অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে। মইনুদ্দিন চিস্তি তখন সেনা কর্তাদের বলেছিলেন, ‘আমি উঠে যাচ্ছি। কিন্তু এই যে উটগুলি বসল, এরাও আর উঠবে না।’ হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল সেনারা। কিন্তু আশ্চর্যভাবে, পরদিন সকালে শত চেষ্টা সত্ত্বেও একটি উটকেও তোলা গেল না। সবরকম পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরও তারা ওই জায়গাতেই বসে রইল। খবর গেল রাজার কাছে। একজন সন্তের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে শুনে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হলেন এবং সেনাদের বললেন, এখনই ওঁর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও। শোনা যায়, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর উট ওঠানো গিয়েছিল। আর ঠিক যে জায়গায় এসে প্রথম তিনি বসেছিলেন, সেখানেই হয়েছে পরবর্তীকালে আজমির শরিফ দরগা। সবচেয়ে বড় কথা, এই দরগা কিন্তু শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের জন্য এখানে অবারিত দ্বার। বহু হিন্দু আছেন, বড় কোনও কাজে নামার আগে আজমির দরগায় চাদর চড়িয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চড়িয়েছেন। গত লোকসভা ভোটের আগেই। উরস উৎসবের সময়। তাহলে হঠাৎ তাঁর দলই কেন এই আজমিরের ‘উৎস’ নিয়ে তড়পানি শুরু করল? কারণ, ভোট হয়ে গিয়েছে। এখন পাঁচ বছর নিশ্চিন্ত। এর মাঝে যদি মেরুকরণের বাজার গুছিয়ে নেওয়া যায়, ক্ষতি কী? আর সাম্প্রদায়িকতার ‘যুদ্ধে’ আজমির শরিফের থেকে বড় অস্ত্র ভূভারতে নেই। তাই রাজস্থান হিন্দু সেনার পক্ষ থেকে আদালতে পিটিশন ফাইল হল, আজমির শরিফের জায়গায় নাকি আগে মহাদেবের মন্দির ছিল! তাই এর একটা বিহিত চাই। কেমন হবে সেই বিহিত? আদালত কি ওখানেও সার্ভের রায় দেবে? এএসআই পরীক্ষা করে দেখবে, আজমির শরিফ সত্যিই শিবমন্দিরের উপর তৈরি কি না? রামলালার পর মহাদেব মন্দিরের রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে? বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার কিন্তু ভুলে যাচ্ছে, আজমির শরিফ কিন্তু বাবরি সৌধ নয়। ১৯৯২ সালে ভারতবর্ষ মন্দির রাজনীতি নিয়ে সংঘর্ষের ট্রেলার দেখেছিল। আজমির শরিফ নিয়ে নাড়াচাড়া পড়লে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাবে। তবে তাতে মেরুকরণ আরও সহজ হবে গেরুয়া বাহিনীর পক্ষে। ওরা সেটাই চাইছে না তো? কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আজমির শরিফের উপর আঘাত অন্য ধর্মাবলম্বী, এমনকী হিন্দুরাও ভালো চোখে দেখবে না। এরইমধ্যে সম্ভলে মসজিদ বিতর্ক উত্তরপ্রদেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াতে শুরু করেছে। মসজিদের জায়গায় আছে হর হরির মন্দির ছিল, দাবি এটাই। আর এই আবেদন পাওয়া মাত্র নিম্ন আদালত সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। আর তারপরই শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। চব্বিশের ভোট মিটতেই মাথাচাড়া দেওয়া মন্দির রাজনীতি বেশি চোখে লাগছে না? ক্ষমতা ধরে রাখার লোভে এতটা বুঁদ হওয়ার কি খুব প্রয়োজন? হিন্দুত্ব খতরে মে হ্যায় স্লোগান তুলে এরা হাওয়া গরম করছে। কিন্তু এদের এতটুকু শিক্ষা নেই যে, সনাতন ধর্মের ভিত এতটাই মজবুত যে, তাকে নাড়ানো যায় না। তার বিস্তৃতি অপার। হিন্দুত্বের রক্ষক বলে যারা নিজেদের দাবি করছে, তারা আসলে সূর্যের দিকে টর্চের আলো ফেলছে। আর পুরোদমে চলছে রাজনীতি। প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। কারণ পাবলিক বোকা নয়। মানুষ প্রশ্ন তুলছে, দেশে তাহলে ‘প্লেসেস অব ওয়রশিপ অ্যাক্ট’ থাকার মানেটা কী? সংবিধান এবং আইন বলেছে, এই দেশে কোনও ধর্মের উপর আঘাত হানা যাবে না। ধর্ম পালন প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশের সর্বত্র প্রত্যেক ধর্মস্থানের পরিচয় যা ছিল, ভবিষ্যতেও তা থাকবে। তারপরও বাবরি ‘মেগা শো’ হয়েছে, জ্ঞানবাপী সিরিজ চলছে, মথুরার শাহি ইদগার পর সম্ভলের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ধর্মের নামে মোহ ঘিরে ধরছে রাজনীতিকে। তার আঁচে সাধারণ মানুষ মরছে, মারছেও। এই ভারত সত্যিই আমরা চেয়েছিলাম তো?
03rd  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM