সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
এদিন উত্তরবঙ্গের বাণিজ্য শহর শিলিগুড়িতে সিনার্জির আয়োজন করে এমএসএমই দপ্তর। মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভাগীয় মন্ত্রী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব তাজমূল হোসেন, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, এমএসএমই দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পান্ডে প্রমুখ সহ দুই জেলার ডিএম ও প্রশাসনের আধিকারিক, উদ্যোগপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এমএসএমই মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সিনার্জি আয়োজন করছি। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে করা হয়েছে। এদিন শিলিগুড়িতে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা নিয়ে সিনার্জি করা হল। ব্যাপক সাড়া মিলেছে। মেয়র বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ঘটনাতে দেশের কোথাও এ ধরনের আয়োজন হয় কি না জানা নেই। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগেই শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে কৃষি, পর্যটন, চা নির্ভর শিল্পের প্রসার ঘটছে।
দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা সিনার্জিতে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। সরকার কীভাবে উদ্যোগপতিদের সহায়তা করতে পারে, জানানো হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির দাগাপুরে একটি বড় কোম্পানি হোটেল তৈরির প্রস্তাব সভায় দিয়েছে। তাতে বিনিয়োগ হবে দেড়শো কোটি টাকা। এখানেই কৃষিনির্ভর শিল্পে ২০০ কোটি, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় ২৫১ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এরবাইরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পোশাক, সিমেন্ট, পোল্ট্রিফার্ম, কাঠের আসবাবপত্র, মিরিকে জ্যাকেট ও ফ্যাশান ডিজাইনিং, কার্শিয়াংয়ে উলেন ক্লাস্টার, দার্জিলিংয়ের ঘুমে কর্নস্টার্চ দিয়ে ক্যারিব্যাগ প্রস্তুত প্রভৃতি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। সব মিলিয়ে এবার শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে বিনিয়োগ হবে ৯০০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট দুই জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের অগ্রগতি নিয়েও সভায় আলোচনা করা হয়। এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বর্ষে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে এমএসএমই সেক্টরে ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ ৩১৮৫ কোটি টাকা। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই জেলায় ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদানের পরিমাণ ৪৮৮৮ কোটি টাকা। যারমধ্যে দার্জিলিংয়ে ৪৮২৫ কোটি এবং কালিম্পংয়ে ৬৩ কোটি টাকা। দুই জেলায় এমএসএমই ইউনিট ৪৪ হাজার ৫৭৯টি। যারমধ্যে দার্জিলিংয়ে ৩৯ হাজার ৯৩০ এবং কালিম্পংয়ে ৪৬৪৯টি ইউনিট রয়েছে। শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী সঞ্জয় টিবরুওয়াল বলেন, শিল্প সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান ও সমস্যার কথা জানতেই রাজ্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। এটা একধরনের ‘ডোরস্টেপ’ উদ্যোগ। সরকারের এই ভূমিকা প্রশংসনীয়।