Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কৃত্রিম ঝড়ে দিগভ্রান্ত না হয়ে সঠিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণেও আমরা আগের মতোই নির্ভুল। একের পর এক নির্বাচনে মিলেছে তার প্রমাণ। হাজারো বাধাবিপত্তির মধ্যেও সত্যের প্রতি অবিচল থাকার শিক্ষাটা বরুণবাবুরই। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ মেনে আমরা সাধারণ মানুষের কথা বলি। অত্যাচারীর চোখে চোখ রেখে সত্যিটা বলার সাহস রাখি। তারজন্য অনেকে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের তুবড়ি ছোটায়, কিন্তু তাতে সত্যিটা বদলে যায় না। তাই আজও আমাদের স্লোগান, ‘বর্তমান ভগবান ছাড়া কাউকে ভয় পায় না।’
প্রতিবাদ যাঁর রক্তে তাঁকে ভয় দেখিয়ে চুপ করাতে যাওয়াটা চরম মূর্খামি। অথচ ক্ষমতার দম্ভে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সেটাই করেছিলেন। জরুরি অবস্থা জারির সুযোগ নিয়ে বরুণবাবুকে জেলে ভরেছিলেন। উদ্দেশ্য, তাঁর প্রতিবাদী কলমকে স্তব্ধ করা। সেটা করতে গিয়ে সিদ্ধার্থবাবু নিজের সরকারেরই পতন ডেকে এনেছিলেন। এই কথাটা তাঁরই সরকারের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছিলেন, ‘বরুণদার জ্বালাময়ী লেখা পড়েই বাংলার মানুষ কংগ্রেসকে ঘৃণা করতে শুরু করেছিল। যার পরিণাম ‘৭৭ সালের পালাবদল।’ সিপিএমের মন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর কথায়, ‘সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সম্পর্কে বরুণবাবুর লেখা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বাংলার মানুষের তীব্র ঘৃণা তৈরি হয়েছিল। ’৭৭ সালের রাজনৈতিক পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর লেখার।’
রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন, বরুণবাবু তা বিশ্বাস করতেন না। একটা কথা অনেকেই বলতেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী বানিয়েছেন বরুণবাবু। কিন্তু তিনি মনে করতেন, কোনও সংবাদপত্র কাউকে নেতা বা নেত্রী বানাতে পারে না। সংবাদপত্রের কাজ সাধারণ মানুষের কথা বলা। সাধারণ মানুষের হয়ে যাঁরা লড়াই করেন, তাঁদের কথা বলে বর্তমান। ১৯৮৪ সালের ৭ ডিসেম্বরের ‘বর্তমান’-এর প্রথম সংখ্যাতেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তাঁর উদ্দেশ্য। লিখেছিলেন, ‘এখন আমার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান সাধারণ মানুষের স্বার্থে, সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলার মতো একখানা কাগজ বের করা।’ এখনও আমরা তাঁর সেই নীতি ও আদর্শ মেনেই চলি। সেইজন্যই আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের কথা লিখি।  সোচ্চার হই ১০০দিনের কাজ বন্ধের বিরুদ্ধে। গরিব, খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষের স্বার্থে কথা বলতে বরুণবাবুই আমাদের শিখিয়েছেন। 
হাতেগরম উদাহরণ আর জি কর। অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম যখন আর জি কর ইস্যুতে খবর তৈরি করেছে ‘বর্তমান’ তখন অবিচল ছিল বিভ্রান্তি নিরসনে। বাংলার চিকিৎসক-কন্যার মর্মান্তিক খুনে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেমন দাবি করেছে, তেমনই সাধারণ গরিব মানুষের দুর্ভোগের কথা প্রতিদিন তুলে ধরেছে। তাতে আন্দোলনকারীরা রুষ্ট হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সাধারণ মানুষ ‘খবর তৈরি’ ও ‘প্রকৃত খবরে’র ফারাকটা বুঝতে পেরেছেন।
বরুণবাবু আমাদের মাটিতে পা রেখে চলতে শিখিয়েছেন। সেই শিক্ষার জোরেই বাংলার মানুষের মন পড়তে পারে ‘বর্তমান’। তাই প্রতিটি নির্বাচনে দিতে পেরেছে প্রায় নিখুঁত পূর্বাভাস। ২০১৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই সিপিএম মনে করেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় ফেরা আটকে দিয়েছে তারা। জোট সরকারের মন্ত্রিসভার খসড়াও নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছিল! কিন্তু আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে জানিয়ে দিয়েছিলাম, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছেন মমতা। একুশের নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি অনুমান করা ছিল একটু কঠিনই। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দৌলতে বাংলার আকাশে তখন মেকি গেরুয়া ঝড়। তাকে ভেদ করে নিশানা নির্দিষ্ট করা ছিল সত্যিই কঠিন। কিন্তু মাটিতে পা রেখে চলে বলেই ‘বর্তমান’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হ্যাটট্রিকের নিশ্চিত পূর্বাভাস দিতে পেরেছিল। চব্বিশেও অধিকাংশ মিডিয়া বাংলায় বিজেপিকে ২২ থেকে ৩০টি পর্যন্ত আসন দিয়ে বসেছিল। কিন্তু বর্তমান বলেছিল, বিজেপির আসন অনেকটাই কমবে। আর তা অক্ষরে অক্ষরে মিলেছেও।
বাংলায় সিপিএমের ভরা যৌবনে শুরু হয়েছিল ‘বর্তমান’এর পথচলা। তখন রাজ্যে বিরোধী বলে কিছুই ছিল না। কিন্তু বরুণবাবু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সরকার ভুল করলে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পিছপা হবেন না। সেটা করায় সিপিএমের লোকজন গ্রামে ‘বর্তমান’ ঢোকা বন্ধের জন্য হুলিয়া জারি করেছিল। কিন্তু মানুষকে আটকাতে পারেনি। বাজারের থলির নীচে ‘বর্তমান’ নিয়ে মানুষ বাড়ি ফিরেছে। হার্মাদ বাহিনীর আতঙ্কে দরজা বন্ধ করে বর্তমান পড়েছে। তাতে বর্তমানকে শায়েস্তা করার সব চেষ্টা জলে গিয়েছে। উল্টে বাংলা থেকে সিপিএম দলটাই উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বরুণবাবু ছিলেন আমাদের ক্যাপ্টেন। কিন্তু কাপ্তেনিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। সাধারণ মানুষের কাছে হাত পেতে তৈরি করেছিলেন বর্তমান। তাই প্রতিটি টাকার মূল্য বুঝতেন তিনি। অপচয়ে ছিল তাঁর ঘোর আপত্তি। কর্মজীবনের গোড়ায় জোড়াগির্জার বর্তমান অফিসের রেস্টরুমে থাকার সুবাদে বরুণবাবুকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। কাকভোরে অফিসে চলে আসতেন। ব্রেকফাস্ট করতেন অফিসেই। মেনুতে থাকত হলুদবিহীন আলু গোলমরিচ ভাজা, দু’টো রুটি, আর কয়েক টুকরো পাকা পেঁপে। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন। সকলের আগে অফিসে ঢুকতেন, আর বেরতেন একেবারে শেষে। যাওয়ার সময় করিডোরের আলোগুলো নেভাতে নেভাতে বেরিয়ে যেতেন। তাঁর উত্তরসূরিরাও ঘর থেকে বেরনোর সময় এখনও আলো, পাখা বন্ধ করেই বের হন। 
বর্তমান কাগজের মালিক ছিলেন বরুণবাবু। কিন্তু তাঁর কথাবার্তায়, ব্যবহারে কখনও মালিক সুলভ আচরণ ফুটে ওঠেনি। বর্তমানের সকলেই ছিলেন তাঁর সহকর্মী। সাংবাদিকরা তাঁকে ‘বরুণদা’ বলে ডাকতেন। কিন্তু তিনি আমার কাছে ছিলেন ‘স্যার’। সাংবাদিকতার অআকখ যেটুকু শিখেছি, সবটাই তাঁর কাছে। তিনি প্রায়ই বলতেন, আমরা নীতির সমালোচনা করি, ব্যক্তির নয়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঠিক রাখার শিক্ষা দিতেন। তিনি সেটা নিজেও মানতেন। বর্তমানের জন্মলগ্ন থেকে তাঁর চলে যাওয়া পর্যন্ত এমন একটাও দিন পাওয়া মুশকিল, যেদিন বর্তমান কাগজে সিপিএমের সমালোচনা হয়নি। তবুও সিপিএমের অনেক দাপুটে নেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল দাদা-ভাইয়ের। সেই কারণেই সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের মৃত্যুতে বরুণবাবু শিশুর মতো হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন।
অসম্ভব আকর্ষণী ক্ষমতা ছিল বরুণবাবুর। তার জোরে অনায়াসেই ক্ষমতার অলিন্দে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। কিন্তু রাজনৈতিক খবরদারিতে ছিল তাঁর প্রবল অনীহা। দিল্লিতে সাংবাদিকতা না করলেও তিনি ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। স্বামীর বন্ধু হিসেবে মানেকা গান্ধীও তাঁকে ভালোই চিনতেন। সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর বরুণবাবু ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ততদিনে রাজীব গান্ধীকে রাজনীতিতে আনবেন বলে ইন্দিরাজি মনস্থ করে ফেলেছেন। এদিকে মানেকা গান্ধী চাইছিলেন, তাঁকেই দেওয়া হোক গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার। কিন্তু ইন্দিরাজি নারাজ। শাশুড়িকে বোঝানোর জন্য বরুণবাবুকে অনুরোধ করেছিলেন মানেকা গান্ধী। বরুণবাবু তাঁকে হাতজোড় করে বলেছিলেন, মিসেস গান্ধী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ওঁকে বলে কোনও লাভ নেই। আর এটা আমার উচিতও হবে না। বরুণবাবু এই ঘটনার কথা শুনিয়ে বলেছিলেন, সাংবাদিক রাজনীতির হাঁড়ির খবর নেবে, লিখবেও। কিন্তু রাজনীতিতে প্রভাব খাটানো সাংবাদিকের কাজ নয়। সেটা করতে গেলেই চিড় ধরবে সম্পর্কে।
একটা কথা আগে প্রায়ই শুনতে হতো, বরুণবাবুর পর বর্তমানের কী হবে? এই প্রশ্নটা হয়তো তাঁকেও ভাবাত। তাই তিনি ঘনিষ্ঠজনদের বলতেন, বর্তমানকে পরিচিত হতে হবে ‘বর্তমান’ নামে। বরুণ সেনগুপ্তের কাগজ বলে পরিচিত হলে চলবে না।
বরুণবাবু আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ১৬টা বছর কেটে গিয়েছে। তাঁর বসানো ‘বর্তমান’ নামক বটবৃক্ষের চারাটা মহীরুহ হতে পেরেছে কি না, সেটা পাঠকই বিচার করবেন। তবে ‘বর্তমান’ তার শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে চলেছে। একদিন যাঁরা বরুণবাবুর পর বর্তমানের কী হবে, প্রশ্ন তুলে কাঁপুনি ধরাতে চেয়েছিলেন এতদিনে তাঁরা জবাবটা নিশ্চয়ই পেয়ে গিয়েছেন। বরুণবাবু চলে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁর শিক্ষা ছড়িয়ে রয়েছে বর্তমানের শিরায়-উপশিরায়, প্রতিটি কোণায়। হ্যাঁ, আমরা বরুণ সেনগুপ্তের কাগজে কাজ করি। এটাই আমাদের অহঙ্কার।
07th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM