সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
সিনেমা দেখার ফাঁকে চলছে সিনেমা বিষয়ক বই-এর বিকিকিনিও। বাংলা আকাদেমি চত্বরে সিনেক্লাবগুলির স্টলে দেশ বিদেশের সিনেমা ব্যক্তিত্বদের লেখা বই, চিত্রনাট্য, সাক্ষাৎকার সংকলন সংগ্রহ করছেন অনেকেই। ফেডারেশন ফিল্ম সোসাইটি অব ইন্ডিয়া, সিনেমাথেক কলকাতা কিংবা ভবানীপুর সিনে ইন্ডিয়ার স্টলে শতবর্ষে পা রাখা পরিচালক তপন সিংহর উপর বইয়ের চাহিদাই বেশি। ভবানীপুর সিনে ইন্ডিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে সদ্য প্রয়াত পরিচালক গৌতম হালদারের উপর সংকলন গ্রন্থটি। ওদিকে হীরকজয়ন্তী বর্ষে সিনে সেন্ট্রাল প্রকাশ করেছে স্ট্যানলি কুবরিকের ‘এ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ’ এর পূর্ণাঙ্গ বাংলা চিত্রনাট্য।
স্বস্তির শ্বাস
এ যেন বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়ার বৃত্তান্ত। তিরিশ বছর আগে প্রথম চলচ্চিত্র উৎসবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছিলেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আবার সেই একই দায়িত্বে গৌতম। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে। ‘মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক অনুরোধ আর ঠেলতে পারলাম না। উনি বললেন, আপনার যেমন মনে হবে তেমন ভাবে সাজান চলচ্চিত্র উৎসব। আপনাকে সকলে সহযোগিতা করবে। মুখ্যমন্ত্রীর উৎসাহে সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ঠিক প্রথমবারের মতো, সেবার যেমন সদ্যোজাত সন্তানের মতো চলচ্চিত্র উৎসবকে সাজিয়েছিলাম, এবারও সমান আগ্রহে ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করি মানুষ ছবি দেখে আনন্দ পেয়েছেন। এমনভাবে সাজিয়ে দিয়ে গেলাম যাতে পরের বছর যিনি চেয়ারম্যানের পদ সামলাবেন তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না’, স্বস্তির শ্বাস ফেলে একটানা বলে গেলেন গৌতম।
কুমার সাহানিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য
পরিচালক তথা চিত্রনাট্যকার কুমার সাহানিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হল ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তাঁর নির্মিত বেশ কিছু সিনেমার ঝলক দেখানো হয় উৎসবে। মঙ্গলবার কেআইসি অডিটোরিয়ামে তাঁর উপর একটি সেমিনার আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, রিমলি ভট্টাচার্য, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত। তাঁর কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক উঠে আসে আলোচনায়। উল্লেখ্য, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন সমান্তরাল ছবির জনপ্রিয় এই পরিচালক।