Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। শুধু পরীক্ষা নয়, অগ্নিপরীক্ষাই বলব। কংগ্রেসকে শুধু মুছে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেই হবে না। ঢেকে দিতে হবে কীর্তিগুলিকেও। নিঃসন্দেহে বলা যত সোজা, করে দেখানো তার চেয়ে অনেক কঠিন কাজ। নোটবাতিলের মতো ফ্লপ শো যেন না হয়! কিন্তু এবার করে দেখাতেই হবে। নরেন্দ্র মোদি কি প্রস্তুত?
সেই ’৭১ সালে জন্মের শুরু থেকেই অশান্তি ও বিতর্ক দেশটার পিছু ছাড়েনি এক মুহূর্তের জন্য। ভূমিষ্ঠ হওয়ার চার বছরের ব্যবধানে সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এক অর্থে তিনিও ছিলেন জাতির জনক। ঐতিহাসিকরা বলেন বঙ্গবন্ধুর নিধন এবং তারও ২৭ বছর আগে এপারে মহাত্মা গান্ধীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড বিশাল এই উপমহাদেশের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিরই অনিবার্য বিষময় ফল। আমরা আজও তা বহন করে চলেছি নির্মমভাবে। সেইসঙ্গে এক আশ্চর্য ঐতিহাসিক সমাপতনেরও মোক্ষম উদাহরণ! কারণ, দু’টি ঘটনাই ঘটেছে ধর্মীয় কারণে এবং দু’দেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারির গান্ধী হত্যা থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর নিকেশ এবং হালের ৫ আগস্ট ২০২৪’এ মুজিব কন্যার প্রাণ বাঁচাতে আকস্মিক দেশত্যাগ, সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ কোথাও যেন একই সুরে বাঁধা। এই বিভাজন থেকেই পাবনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনায় হিন্দুরা আজ চূড়ান্ত বিপন্ন। মঠ-মন্দির আক্রান্ত, অকুতোভয় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস অন্যায়ভাবে হাজতে। অবিলম্বে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আসল অসুখটার নাম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, যার কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি  বিশ্বচরাচরে। এই রোগ আজন্ম অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। কাজ হয় না স্টেরয়েডেও! শুধু ধূসর বইয়ের পাতায় লেখা থাকে, একই বৃন্তে দু’টি...। প্রার্থনা একটাই, ওই কুসুম ক্ষেপণাস্ত্র হয়ে যেন নিক্ষেপিত না হয় একে অপরের দিকে!
প্রতিবেশী বাংলাদেশে হালে ৫৩ বছর আগের অশান্তিরই অবিকল পুনরাবৃত্তি। হাসিনাকে দেশছাড়া করেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ক্ষান্ত হয়নি মৌলবাদীরা। উল্টে যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পক্ষে। তাদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্গাপুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। বিগ্রহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে অতর্কিতে। একের পর এক ঘটনায় অকারণে সাধু সন্তরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সবচেয়ে বড় বিতর্ক চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি নিয়ে। তাঁর অপরাধ তিনি ভয়কে দূরে ঠেলে ঘুরে ঘুরে হিন্দুদের সংগঠিত করছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলেন। এতেই প্রমাণ হয়, ইউনুস সরকার জেনেবুঝে হিন্দুবিরোধীদের মদত দিচ্ছে। কিংবা তিনি পুতুল, ক্ষমতার রাশ অন্য কারও হাতে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দর্শক সেজে বসে আছে মাত্র। সরকারি সেই উদাসীনতার সুযোগেই নির্মম দমনপীড়ন নেমে আসছে হিন্দুদের উপর।
তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান অশান্ত হলে হস্তক্ষেপ করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। তথাকথিত মুজিবরের মুক্তি ফৌজের পাশে দাঁড়িয়ে ছিনিয়ে এনেছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা। জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। ইন্দিরা গান্ধীর নাম সেই সুবাদেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং সামনের একশো বছরও থাকবে উপমহাদেশের ইতিহাসে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আর ক’দিন পরই সেই ঐতিহাসিক ঘটনার  ৫৩ বছর পূর্তি। এক অর্থে ভারত ভেঙে আজ তিন টুকরো। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, দু’ভাগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়। আর ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা, তবু নিন্দুকেরা যাই বলুন, একমাত্র এই অংশই এখনও ধর্মনিরপেক্ষতাকে আঁকড়ে ধরে চলছে। রাজনৈতিক নানা মতভেদ সত্ত্বেও তার এখনও অন্যথা হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক, পথ ও মতের এই বিশাল পার্থক্যের দরুনই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি হওয়া হল না আমাদের। জিন্নাকে ঘুঁটি করে ব্রিটিশ রাজশক্তির সক্রিয়তায় কার্যকর হওয়া ‘টু নেশন (পড়ুন, থ্রি নেশন!) থিয়োরি’ এখানেই সফল।
আজ আবার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান, যা অধুনা বাংলাদেশ নামে পরিচিত, তা অগ্নিগর্ভ। চলছে হিন্দু নিধন। রাষ্ট্রের প্ররোচনায় এই ‘এথনিক ক্লিনজিং’ কার স্বার্থে এবং কাকে দুর্বল করতে? এর কোনও উত্তর নেই শিক্ষিত-অশিক্ষিত কারও কাছে। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ শুধু কথার কথা হয়ে যেন শোভা না পায়। একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হওয়া না হয় আমাদের আর হয়ে ওঠে না কিছুতেই। কিন্তু তা বলে মানবিকতার মৃত্যু! হানাহানি করেই ক্ষয় হয় শক্তির। আবার বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত, এই উদাহরণ টেনে এদেশের পরিবেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা হয় মেরুকরণের স্বার্থে। গণ্ডগোল থামাতে আগ্রহ যতটা, তার চেয়ে বেশি ঝোঁক সেই আগুনে সেঁকে ভোটের কড়ি ঘরে তোলার!
কিন্তু তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদি কি অর্ধশতাব্দীর আগের লৌহমানবী ইন্দিরা হতে পারবেন? বিশ্বগুরু শুধু স্লোগানে আর উচ্চকিত প্রচারে সীমাবদ্ধ থাকলে জনগণ একদিন দুয়ো দিতে বাধ্য। তাই বাংলাদেশে আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানজনক অবস্থানের পরিবেশ গড়ে তোলাই নরেন্দ্র মোদির প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচিত সরকার নেই। যুযুধান বিএনপি’ও কিন্তু বেশ পিছিয়ে পড়েছে। রাশ এখন জামাতের হাতে। পরিস্থিতির প্রয়োজনে ইউনুসকে পুতুল সাজিয়ে মজা লুটছে কোন বিদেশি শক্তি! তাই ভারতকে আবার প্রোঅ্যাক্টিভ ভূমিকা নিতেই হবে। কিছুদিনের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে ফিরছেন বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজ্যপাট ফিরিয়ে দেওয়ার এই সুযোগ। মোদিজি বলতেই পারেন ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে পরিবারের একঝাঁক সদস্য সমেত বঙ্গবন্ধু নিজের ধানমণ্ডির বাড়িতেই যেদিন খুন হয়েছিলেন, তখন তদানীন্তন ভারত সরকার কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু তিনি হাসিনাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছেন। বাকি রয়েছে ঢাকায় নির্বাচিত সরকার গঠন। সেদিকেও নিশ্চিতভাবে কড়া নজর রয়েছে দিল্লির।
ভাবা যায়, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪ সালে তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন সেই মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ আগামী তিন দশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ আখ্যা দেওয়া কি অতিরঞ্জন? রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ খারিজের দাবিও জোরদার হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেও কি হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। দিল্লির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না। ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা এখন বাংলাদেশিদের! নিঃসন্দেহে এসব কোনও সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
কিন্তু একইসঙ্গে এটাই মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে হিন্দু আক্রান্ত বলে এই বাংলায় সেই সুযোগে মেরুকরণের চেষ্টাও সমান অপরাধ। সাম্প্রদায়িক বিভাজন কখনও কোথাও উন্নয়নের পরিপূরক হতে পারে না। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ—এটাই আমাদের শক্তি এবং গর্বও। প্রতিশোধ কিংবা বদলা নয়, সহাবস্থানই এই দর্শনের মূল কথা। সেই শক্তির জোরেই পাকিস্তানকে সহস্র যোজন পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে এবং প্রাত্যহিক যাপনে। ধর্মের নামে যেখানেই সমাজকে টুকরো করার চেষ্টা হয়েছে সেখানেই বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের মতো থমকে গিয়েছে উন্নয়নের সূচক। ভারতে বিভাজনের বিষ ছড়াতে যাঁরা উদগ্রীব, যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিদায় দিয়ে শক্তিশালী হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকেই ধ্রুবতারা করে অগ্রসর হচ্ছেন, তাঁরা এই জ্বলন্ত উদাহরণটি যেন ভুলে না যান। তাহলে ভারতের অবস্থাও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতোই হবে। তাই সময় থাকতেই সাধু সাবধান! দাঙ্গা নয়, হানাহানি নয়, সহাবস্থান।
01st  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM