Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন, ১৯৯১ ছিল এরকমই একটি আইন। আমার মতে, এটি সংক্ষিপ্ত এবং মাত্র ৮টি ধারায় সংযুক্ত। এটির মজা এই যে, উপাসনাস্থলের চরিত্রকে স্বাধীনতার উষালগ্নের চেহারায় ফেরানোই ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য। কোনোরকমের ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ বা ‘তৎসত্ত্বেও’ বা ‘কোনও দ্বিধা ছাড়াই’ এটি পরিষ্কার ছিল।
আমি সবাইকে এই আইনের ধারা ৩ এবং ধারা ৪(১) পড়ে দেখতে অনুরোধ করব, এটি নিম্নরূপ:
 ৩. উপাসনাস্থলগুলির পরিবর্তন করা বা রূপান্তরে বাধা: কোনও ব্যক্তি কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কোনও উপাসনাস্থল বা তার কোনও অংশকে একই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বা ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বা তার কোনও অংশের উপাসনাস্থলে পাল্টে ফেলতে বা রূপান্তর করতে পারবেন না।
 ৪. নির্দিষ্ট উপাসনাস্থলগুলির ধর্মীয় চরিত্র সম্পর্কে ঘোষণার ব্যাপারে আদালতের এক্তিয়ার: (১) এতদ্দ্বারা ঘোষণা করা হচ্ছে যে, ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখ থেকে একটি উপাসনাস্থলের যে ধর্মীয় চরিত্র রয়েছে সেটাই অবিকল বজায় রাখতে হবে।
অযোধ্যায় অবস্থিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত বিতর্কিত উপাসনাস্থলটিই একমাত্র ব্যতিক্রম। 
আইনটির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, চেতনা ও পরিধির গ্রহণযোগ্যতা ছিল ব্যাপক। আমার মতে, আইনটির উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়েছে। কারণ প্রায় ৩০ বছর ধরে উপাসনাস্থল সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় ছিল। সর্বোপরি, লোকজন এটাই গ্রহণ করে নিয়েছে যে একটি মন্দির (হিন্দু ভক্তজনের উপাসনাস্থল) মন্দিরই থাকবে, একটি মসজিদ (মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের উপাসনাস্থল) মসজিদই থাকবে, একটি গির্জা (খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের উপাসনাস্থল) গির্জাই থাকবে, একটি গুরুদ্বার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনাস্থল) গুরুদ্বারই থাকবে, একটি সিনাগগ (ইহুদিদের ধর্মচর্চার কেন্দ্র) একটি সিনাগগই থাকবে। এছাড়াও অন্য যত ধর্মীয় উপাসনাস্থল রয়েছে, ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখে তাদের যে চরিত্র বৈশিষ্ট্য ছিল প্রতিটির জন্য সেটাই বজায় রাখতে হবে।
সচেতনভাবে উপেক্ষা
দুর্ভাগ্যবশত, আইনটির কার্যকারিতা সম্পর্কে হাতে তথ্যের পরিমাণ যৎকিঞ্চিৎ। কিছু প্রশ্নের প্রেক্ষিতে PRISM নামে একটি পার্লামেন্টারি রিসার্চ ফেসিলিটি থেকে জানা গিয়েছে যে, এই আইনে গ্রেপ্তার এবং আদালতে অভিযুক্তকরণ সংক্রান্ত তিনটি ক্ষেত্রে তৎকালীন সরকার কৌশলী জবাব দিয়েছিল। আইনের কার্যকারিতা সম্পর্কে এটুকুই বলা যেতে পারে যে, পরবর্তী সরকারগুলি আইনটিকে সচেতনভাবে উপেক্ষা করেছে।
এবার আদালতের দিকে নজর রাখা যাক। ২৮ অক্টোবর, ২০২০। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। আর্জিগুলি নির্দেশনামূলক: উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ২, ৩ ও ৪ অকার্যকর এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করুন। কারণ বর্বর হানাদারদের দ্বারা অবৈধভাবে নির্মিত ‘উপাসনাস্থলগুলি’কে বৈধতা দিতে চায় আইনের ওই ধারাগুলি৷ উল্লেখ্ করার মতো বিষয় এই যে, ৩ ও ৪ নম্বর ধারা দুটির উপরেই আইনটি দাঁড়িয়ে আছে। ৩ ও ৪ ধারা দুটি বাদ দিলে এই আইনে আর কিছুই থাকে না। এই ব্যবস্থাগুলি ভারতের সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫, ২৬ ও ২৯ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে, এমন যুক্তি দেখিয়ে আইনটিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে৷ আরও উল্লেখ্য যে, এই ‘উপাসনাস্থলগুলি’ পিটিশনারের মতে, বর্বর হানাদারদের হাতে অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল। আর্জি তিনটির উদ্দেশ্য, এবং সেখানে লক্ষ্য নির্দিষ্টভাবে কোন সম্প্রদায়, পিটিশনার তা গোপন করেননি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ’ সম্প্রদায়ে ধর্মস্থানগুলি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছেন তিনি। এই রিট পিটিশন ২০২০ সাল থেকে শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন।
জ্ঞানবাপী নিয়ে বিবাদ
২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারাণসীর আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির তরফে দায়ের করা একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন গ্রহণ করে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০২৩ সালের ৩ আগস্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল ওই এসএলপি’তে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে বা প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলা জজ। হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত একটি আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর পিটিশনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট এক আদেশে বলেছে যে, ‘আমরা হাইকোর্টের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে ভিন্নমত হতে পারছি না, বিশেষত সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদের অধীনে এক্তিয়ার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে, ... এবং সলিসিটর জেনারেলের দাখিলটি আমরা নথিভুক্ত করেছি ... সমগ্র প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে ‘নন-ইনভেসিভ মেথডলজি’ বা নির্মাণের কোনও ক্ষতি করবে না এমন পদ্ধতিতে। এএসআই’কে (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) এই সতর্কতার সঙ্গেই কাজটি করতে হবে।’ 
প্যান্ডোরার বাক্সটি খোলা হয়েছিল এমনভাবেই। আদালত বাদীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করেনি। বাদীরা ২০২২ সালের ১৮ নম্বর দেওয়ানি মামলা দাখিলসহ দাবি করেন যে জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে নাকি তাঁদের দেবতা আছেন, তাঁকে ঘিরেই আচার অনুষ্ঠান করার অধিকারী তাঁরা। বাদীদের স্পষ্ট প্রচেষ্টা এটাই ছিল যে, একটি মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবতাদের পূজা-অর্চনা করা, ওই দেবতা নাকি সেখানেই রয়েছেন! যদি তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন এবং দেবতাদের পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তাতে মসজিদটি অন্তত আংশিকভাবে একটি মন্দিরে রূপান্তরিত হবে। সেটি ১৯৯১ আইনের ৩ এবং ৪ ধারার সরল ভাষাতেই বলা ছিল।
চেইন রিয়্যাকশন
এই মামলায়, বাদীর উদ্দেশ্য এবং নামাজের অনুমতি দেওয়ার ফলাফল দেখে নেওয়া কি কঠিন ছিল? আমার মতে, মামলাটিতে সংবিধানের 
১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে ‘সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার’ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল নিজ ক্ষমতা 
প্রয়োগ করা। ৩০ বছর যাবৎ মান্য করা হয়েছে যে আইনটি সেটি বহাল রাখার নির্দেশদানসহ মামলাটি খারিজও করা যেত। 
জ্ঞানবাপী মামলার আদেশ অনুসরণে একাধিক বিবাদ উপস্থিত হয়েছে: উত্তরপ্রদেশে মথুরার ইদগাহ মসজিদ ও সম্ভল, দিল্লিতে কুতুব কমপ্লেক্স এবং রাজস্থানে আজমিরের দরগাহ। এই সঙ্কট তবে কোথায়  গিয়ে থামবে?
জ্ঞানবাপী অর্ডারের পরিণতি হবে কুখ্যাত ‘এডিএম জবলপুর মামলা’র মতোই। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
09th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

ছ’ মাস ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি, আর বাকি ছ’ মাস সেই টাকায় সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণ। তবে নেহাত শখে নয়, বিশ্বশান্তির বার্তা দিতেই সেই ভ্রমণ। দুর্গাপুরের এ জোনে সেকেন্ডারি মোড়ে গেলে দেখা যাবে শ্যামাপদ শর্মার গরম ঘুগনির দোকান। ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM