Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জুতো আবিষ্কারই যেন যত নষ্টের গোড়া কথাটি কিছু মানুষের জীবনে এক কঠিন সত্য। বহুবছর যাবৎ, বিশেষ করে রাজনীতির জগতের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে ‘জুতো’ শব্দটি বিড়ম্বনারই কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, একুশ শতকে এসে জুতো আর নেহাত একটি পরিধানের বস্তু কিংবা ফ্যাশনসামগ্রী নেই—কিছু মানুষের হাতে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবেই শোভা পাচ্ছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠছেন কিছু রাজনীতির কারবারি।
রাজনীতিকরা আক্রান্ত হন, এটা পুরনো ব্যাপার। মহাত্মা গান্ধীর মতো মানুষেরও প্রাণ নিয়েছে এক আততায়ী। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হেমন্ত বসু থেকে কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীসহ অনেকেরই বিরুদ্ধে এই ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এজন্য তাঁদের উত্তরসূরিরা গর্ব করে বলতে পারেন, ‘আমাদের নেতা দেশের জন্য আত্মবলিদান করেছেন।’ কিন্তু, জুতো এমন এক হীন বস্তু যে, তা যত দামিই হোক, তা দিয়ে কাউকে আক্রমণ করলে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে তা প্রচার করেন না। এমনকী প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া কাণ্ডও, চেপে যাওয়ার সুযোগ থাকলে অনেকে তার সদ্ব্যবহারই করেন। যেমন মনে পড়ে, ২০১২ সালে গড়বেতার তৎকালীন বিধায়ক ও একদা দাপুটে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে জুতোপেটা করার ঘটনা। বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে তাঁর শ্রীঘরবাসের বন্দোবস্ত হয়েছিল। ১৮১ দিন কারাবাসের পর সুপ্রিম কোর্ট মারফত তিনি জামিন পান সে-বছর ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর ৬ মার্চ মেদিনীপুর কোর্টে হাজিরা দিয়ে তিনি গাড়িতে ওঠার মুখেই এক যুবক পায়ের চটি খুলে সুশান্তকে ‘অভিনন্দন’ জানায়। ৮ ফেব্রুয়ারি ‘গণশক্তি’ কাগজ সুশান্তর মুক্তির খবর চড়িয়ে বাড়িয়ে ছেপেছিল। কিন্তু সিপিএমের সেই দৈনিক মুখপত্রই ৭ মার্চ সুশান্তকে জুতো দিয়ে নিগ্রহ সম্পর্কে টুঁ শব্দটি করেনি। কিল খেয়ে কিল হজম করার এমন দৃষ্টান্ত কমই আছে।
আবিষ্কার হওয়ার পর বহু জিনিস হারিয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ জিনিসেরই উপযোগিতা একটা সময়ের পর ফুরিয়ে যায়। ফলে অব্যবহারই হয় সেসব বস্তুর ভবিতব্য। আর তা থেকেই বিস্মৃতির অতলে যাওয়া। কিন্তু, জুতো এই গোত্রে পড়ে না। ৪০ হাজার বছর আগে থেকে নাকি মানুষ জুতো পরছে। আর আবিষ্কার হওয়া ইস্তকই তা চলমান। দিনকে দিন লপেটার শ্রীবৃদ্ধিও লক্ষণীয়। তাই ‘চলছে চলবে’ যে বস্তুর একমাত্র স্লোগান তাকে নিয়ে ‘অতিশয় জনপ্রিয়’ সমস্ত ব্যক্তিরই বিশেষ সতর্কতা বাঞ্ছনীয়।
প্রতিদ্বন্দ্বী একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকে জুতো দেখানো হলে, এমনকী জুতোপেটা করা হলেও তা নিয়ে মশকরা করা ঠিক নয়। কেননা, কালই তাঁর দিকে, নিদেন পক্ষে তাঁর কোনও প্রিয় নেতার দিকে ধেয়ে আসে অন্য জুতো। জুতো সত্যিই এক বিষম বস্তু! 
জুতো নিয়ে আছে বিভ্রান্তিও। এই প্রসঙ্গে ২০২২-এর একটি ঘটনা স্মরণীয়। ‘ভারত জোড়ো 
যাত্রা’য় রাহুল গান্ধী রাজস্থানের আলোয়ারে তখন, ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর তাঁর সামনে ঝুঁকে জুতোর ফিতে বাঁধছেন প্রাক্তন মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং আলওয়ার। এই ভিডিও টুইট করে বিজেপির অমিত মালব্য দাবি করেন, রাহুলের জুতোর ফিতে বেঁধে দিচ্ছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা! এই তুমুল বিতর্কের কংগ্রেসি জবাব মিলল, নিজেরই জুতোর ফিতে বাঁধছিলেন জিতেন্দ্র। পরে জিতেন্দ্রও একই কথা জানান। এই ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের জন্য মালব্যকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। 
গত ৯ সেপ্টেম্বেরর ঘটনা। ঝাড়খণ্ড সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সতীশচন্দ্র দুবে। সেখানে একটি নামী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্তা মন্ত্রীর জুতো সরিয়ে দিচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই বিতর্কিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একজন দুবের পাজামা ঠিক করে দিচ্ছেন এবং অন্য একজন তাঁর জুতো সরাচ্ছেন। ‘লজ্জার বিষয়’টি শেয়ার করে কংগ্রেস অভিযোগ করে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মকর্তারা নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য নাকি ওইভাবে মন্ত্রীকে খুশি করেছেন। 
গত ২ অক্টোবরের ঘটনা। জমি কেলেঙ্কারিতে এমনিতেই বিপদে রয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। বেঙ্গালুরুতে গান্ধী জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনিই জড়ালেন নতুন এক অস্বস্তিকর ঘটনায়।  একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় যে, এক কংগ্রেস কর্মী এক হাতে জুতোর ফিতে বেঁধে দিচ্ছেন এবং তাঁর অন্য হাতে জাতীয় পতাকা ধরা।
বিতর্কিত মন্তব্যে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় 
সিংয়ের জুড়ি মেলা ভার। মধ্যপ্রদেশে ভোটের মুখে পুরনো কথায় প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দেন তিনি। দিগ্বিজয় প্রশ্ন তুলে দেন নরেন্দ্র মোদির ‘রামভক্তি’ নিয়ে (২০১৮ সালের ২৩ জুলাই)। তাঁর দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী নাকি আগের বছর জুতো পায়ে আরতি করেছিলেন! অতএব, মোদি আদৌ রামভক্ত নন, তাঁর সবটাই ভড়ং। রামলীলা ময়দানে জুতো পায়ে শ্রীরামচন্দ্রের আরতি করে আসলে ভগবানকে অপমানই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 
অবশ্য জুতোর বিড়ম্বনা রাজনীতির কারবারিদের জন্য এক্সক্লুসিভ নয়, তা পুলিসেরও। গত সেপ্টেম্বরের কাহিনি। পুলিসকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে গ্রেপ্তার হন শ্রীরামপুরের এক বিজেপি নেত্রী। চুঁচুড়ায় বিজেপির ‘ডিএম অফিস চলো’ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিস বিজেপি কর্মীদের আটকাতেই ওই ক্রুদ্ধ মহিলা পুলিসকে জুতো ছুড়ে মারেন। 
বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় একবার রেলভ্রমণে বেরিয়ে এক সাহেবকে কীভাবে জব্দ করেছিলেন, সে তো প্রবাদ। তাঁর জুতো ফেলে দেওয়ার জবাবে সাহেবের কোট জানালা দিয়ে হাপিশ করার হিম্মত দেখিয়েছিলেন আশুতোষ। আমার জুতো কোথায়? আশুতোষের প্রশ্নের উত্তরে সাহেব মুচকি হেসে বলেছিল, ‘হাওয়া খেতে গিয়েছে।’ পরে খোওয়া যাওয়া কোট খুঁজে না পেয়ে সাহেবের প্রশ্ন ছিল, আমার কোট কোথায়? আশুতোষের পাল্টা ও মোক্ষম জবাব ছিল, ‘আমার জুতো খুঁজতে বেরিয়েছে!’  
মোগল আমল থেকে আদালতের কর্মী ও উকিল প্রভৃতির পোশাক নির্দিষ্ট ছিল। প্রথম ব্রিটিশ যুগেও বহাল ছিল সেসব। ছাড় ছিল কেবল ‘জজ পণ্ডিত’-দের বেলা। তাঁরা খাটো ধুতি, খালি গায়ে চাদর এবং পায়ে খড়ম অথবা তালপাতার চটি—এই চিরাচরিত বাঙালি পোশাকই পরতেন। তাঁদের মাথা থাকত অনাবৃত। হিন্দু আইনের ব্যাখ্যাতা হিসেবে আদালতে এই জজ পণ্ডিতদের বিশেষ সম্মানও ছিল। কিন্তু হঠাৎই এক সাহেব বিচারকের কাছে তাঁদের 
পোশাক বেমানান ঠেকল। তিনি নির্দেশ দিলেন, পণ্ডিতরা পাদুকা/খড়ম/তালপাতার চটি পরে আদালতে ঢুকতে পারবেন না। পণ্ডিতরা এতে রুষ্টই হলেন এবং দেশবাসীও ব্যাপারটাকে তাঁদের প্রতি অসম্মান বলে ধরে নিল। ক্ষোভের খবর পৌঁছল গভর্নর জেনারেল অব্দি। ব্যাপারটা তাঁর কাছেও অবাঞ্ছিত মনে হল। তিনি এর দ্রুত প্রতিবিধানে উদ্যোগী হলেন। নিজ নিজ মতামত প্রসঙ্গে সদর দেওয়ানি আদালত মন্তব্য করল যে, দেশীয় ব্যক্তিদের এই প্রাচীন অভ্যাসের দ্বারা কোনোভাবেই আদালতের অবমাননা হয় না এবং কোনোরূপ অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায় না বিচারকের প্রতিও। অতঃপর, ১৮০২ সালের ২ সেপ্টেম্বর গভর্নর জেনারেল এক বিজ্ঞপ্তি জারিসহ নির্দেশ দিলেন যে, দেশীয় ব্যক্তিরা পূর্বের নিয়মেই জুতো পরে আদালতে যাতায়াত করবেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের অবিবেচক আদেশ না-দেওয়ার ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সতর্ক করা হল। জজ পণ্ডিতদের বিরাট জয়ই ছিল সেটি। 
বছর দুই আগের কথা (১৯.০৮.২২)। জুতো মারার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরি করে রাজনীতির কারবারিদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিবাদী জনগণ। ওই যন্ত্রের দড়িতে টান পড়লেই জুতোর বাড়ি পড়বে নেতাদের গালে! ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল, সমানে চপেটাঘাত চলছে সে-দেশের জোট সরকারের তিন নেতার (প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, পিপিপির সভাপতি আসিফ আলি জারদারি এবং জমিয়তে উলেমা-এ-ইসলাম এফ প্রধান ফজল-উর-রহমান) ছবিতে। ভারতীয় সেনার এক অবসরপ্রাপ্ত কর্তা ওই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন লেখেন, ‘পাকিস্তানে স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম সত্যিই যুগোপযোগী। বিশুদ্ধ দেশের সর্বশেষ উদ্ভাবন।’
শিশুরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিজেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ঘোষণা করেছিল। তার দাম মেটাতে হয়েছিল স্বাধীনতার ভগীরথ শেখ মুজিবুর রহমানকে। ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে (দুই কন্যা হাসিনা ও রেহানা বেঁচে যান দৈবক্রমে) নিহত হন তিনি। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন সেনানায়ক জিয়াউর রহমান। মুজিবহত্যায় যে-বিদেশি শক্তির মদত ছিল বলে সন্দেহ, মানবাধিকারের ধ্বজাধারী সেই রাষ্ট্রের পক্ষেও সেনাশাসককে মেনে নেওয়া কঠিন হচ্ছিল। তাই গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে চাপাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন জিয়াউর। ‘ইসলামিক উম্মা’র জিগির তুলে তিনি বেরিয়ে পড়েন ‘বন্ধুদেশ’ সফরে। পাকিস্তান, সৌদি আরব, লিবিয়া প্রভৃতি দরাজ হাতে ‘দিল’ উপহার দেওয়ারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নাকি। কিন্তু কার্যকালে কী মিলেছিল? বাঙালি জিয়া পাকিস্তান আমলে (গত শতকের ষাটের দশক) পাঞ্জাবি জিয়াউল হকের অধীনে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ক্যাপ্টেন ছিলেন। মুজিব-হত্যার পর দুই দেশ দুই জিয়ার খপ্পরে পড়ে। বাঙালি জিয়া ভেবেছিলেন, এই মওকায় পাক রাজকোষ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করবেন। জবাবে পাকিস্তানের সেনাশাসক যা বলেছিলেন, বাংলাদেশকে তার চেয়ে বেশি অপমান আর কেউ করতে পারবে না। পাঞ্জাবি জিয়া মিষ্টি করে বলেছিলেন, ‘তোমাদের ফৌজের জন্য আমাদের ৫০ হাজার জোড়া জুতো-মোজা মজুত আছে, নেবে কি?’
হায় বাংলাদেশ, আজও সেই পাকিস্তানের প্রেমের লায়লা! আর নেকড়ের গুহা থেকে স্বাধীনতার আলোয় উত্তরণ যার হাত ধরে, সেই ভারতই আজ পয়লা নম্বর শত্রু! এদেশের সর্বনাশের এই নিশ্চয় শুরু ...। 
04th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

চোটে জেরবার ইস্ট বেঙ্গল। সাউল ক্রেসপো, দিয়ামানতাকোসের পর চিন্তা বাড়ছে হেক্টর ইউস্তেকে নিয়ে। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ফিজিওর কাছে রিহ্যাব করেন তিনি। ...

তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM