Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। এই অভিমত একশো শতাংশ সত্যি। তারপরেও একটা কথা বলতেই হবে, এবারের উপ নির্বাচন বুঝিয়ে দিল, শুধু অন্যের দিকে আঙুল তুলে ভোটে জেতা যাবে না। ক্ষমতায় থাকতে গেলে বা সরকার গড়তে গেলে কাজ করতে হবে। মোদ্দা কথা, নেগেটিভ ভোটের জোরে বাংলায় কিস্তিমাতের দিন শেষ।
যেকোনও উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল অ্যাডভান্টেজ পায়। সেই অঙ্কে রাজ্যের পাঁচটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিয়ে কারও সংশয় ছিল না। কিন্তু মাদারিহাট নিয়ে সকলের বিশেষ কৌতূহল ছিল। কারণটা খুব স্পষ্ট। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস আগে কোনও দিন জেতেনি। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনটি দীর্ঘদিন বিজেপির দখলে। তাই মাদারিহাট নিয়ে বিজেপি তো বটেই, অন্য বিরোধী দলগুলিও আশাবাদী ছিল। মাদারিহাটে জিতলে বিজেপি ছাব্বিশের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করাতে পারত। সেই অঙ্কেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও সেভাবে লড়াইয়ে ছিল না। তাই প্রতিষ্ঠিত দুই দলের চেয়েও নির্দল প্রার্থী ভোট পেয়েছেন অনেকটাই বেশি।
মাদারিহাটি কেন্দ্রের ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এক দশক ধরে যেসব চা-বাগান এলাকা বিজেপির গড় বলে পরিচিত ছিল, সেখানেও তারা হেরেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিন্নাগুড়ি ও সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বিজেপি প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে এগিয়েছিল। উপ নির্বাচনে সেই ঘাটতি মিটিয়ে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। একই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত বেশ কিছু চা-বাগান এলাকায়। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, মাত্র কয়েক মাসে এতটা ভোট স্যুইং করল কেন? চা-বাগানগুলিতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কি খুব ভালো কাজ করছে, নাকি বিজেপির উপর মানুষ বিরক্ত? তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের কাজে শ্রমিকরা খুশি, এমন দাবি করলে তা হবে সত্যের অপলাপ। বরং বহু ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং রাজ্যের কিছু শ্রমিক নেতার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যই শোনা গিয়েছে। তারপরেও তৃণমূলকে এলাকার মানুষ ঢেলে ভোট দিল। কেন? 
নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মাদারিহাট ঘোরার সময় একটা কথা অনেকেই বলেছিলেন, ‘কয়েকবার বিজেপিকে তো ভোট দিলাম। কিন্তু উন্নয়ন কিছুই হল না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে দেখা যাক না কী হয়!’ উপ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, এলাকার মানুষ উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ভোট দিয়েছে। মানুষ মনে করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী জিতলে চা-বাগান এলাকার সার্বিক উন্নতি হবে। কিন্তু বিজেপিকে ভোট দিলে শুনতে হবে সেই একই কথা, ‘ওরা আমাদের কাজ করতে দিচ্ছে না।’ 
তাই মাদারিহাটের জয় তৃণমূলকে যেমন একদিকে স্বস্তি দিয়েছে, তেমনই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। কী সেই চ্যালেঞ্জ? উন্নয়নের। তৃণমূল নেতৃত্ব উন্নয়নকে পাখির চোখ করলে আগামী দিনে তার প্রভাব শুধু মাদারিহাটে নয়, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বাকি আসনেও পড়বে। মাদারিহাট যে সুযোগ দিয়েছে তা কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গকে নিয়ে তৃণমূলের দুশ্চিন্তার পারদ পৌষের চেয়েও দ্রুত নামবে। কোনও ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝা’ তার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। স্তিমিত হবে বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার ‘গেরুয়া হুঙ্কার’। তবে মাদারিহাটকে উত্তরবঙ্গের ‘গেম চেঞ্জার’ বানানোর জন্য তৃণমূলের হাতে খুব একটা সময় নেই। বড়জোর বছর খানেক। কোনও দলের ভোটবৃদ্ধি অবশ্যই সেই দলের উপর মানুষের আস্থার লক্ষণ। একইসঙ্গে তা বিরোধী শিবিরের প্রতি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। উপ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে এবং বিজেপির ভোট কমেছে। আড়াই থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত। একে কমছে বললে কমিয়ে বলা হয়, ধস নেমেছে বলাই ভালো।
এ রাজ্যের শাসক বিরোধীরা ভোট দেওয়ার আগে দেখেন, কাকে সমর্থন দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপে পড়বেন। সেই অঙ্ক কষেই তাঁরা ভোট দেন। তারজন্যই মমতা বিরোধী বাম ভোট কখনও রামে যায়। আবার রামের ভোট বামে ফেরে। কিন্তু এবার সেই অঙ্ক মেনে ভোট স্যুইং করেনি। উপ নির্বাচনে বিজেপির ভোটে ব্যাপক ধস নামলেও তা বামে ফেরেনি। উল্টে অনেকটাই গিয়েছে তৃণমূলে। ব্যতিক্রম বাঁকুড়ার তালডাংরা। এখানে বিজেপির কিছু ভোট বামে ফিরেছে। কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়াই সিপিএম লোকসভার চেয়ে প্রায় তিন হাজার ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে। তবে, অধিকাংশ জায়গায় বিজেপির এমনকী, কিছু এলাকায় বাম ও কংগ্রেসের ভোটও তৃণমূলে গিয়েছে। এ রাজ্যে ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কমছে অথবা তার সুযোগ বিরোধীরা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এবারের উপ নির্বাচনের ফলাফলে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তাঁদের মতে, ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি এ রাজ্যে ‘নেগেটিভ ভোটে’র ফায়দা তুলছে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকলেও বাংলার মানুষের জন্য আলাদাভাবে কিছুই করেনি। স্রেফ তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিজেপি এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল। নেগেটিভ ভোটের সৌজন্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক যত পুষ্ট হয়েছে বাংলার প্রতি গেরুয়া আগ্রাসন ততই তীব্র হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে শুধু তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প। তাতে বাংলার অর্থনীতি দুর্বল হলেও মনোবলে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। উল্টে বিজেপিকে জবাব দেওয়ার ইচ্ছা আরও দৃঢ় হয়েছে।
আন্দোলনের সিঁড়ি ভেঙে নবান্নে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানেন, শুকনো কথায় যেমন চিঁড়ে ভেজে না, তেমনই শুধু স্লোগানে ভরে না ক্ষুধার্ত মানুষের পেট। তাই আগে করেছেন গরিবের পেট ভরানোর ব্যবস্থা। প্রান্তিক মানুষরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তারজন্য নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচি। ঘোষণা করেছেন একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প। তাতে বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়নি, একেবারে ধসে গিয়েছে। সেটা বুঝেই জনপ্রিয় প্রকল্পগুলিকে বিরোধীরা কখনও ‘ভিক্ষে’, কখনও ‘ডোল পলিটিক্স’ বলে কটাক্ষ করেছে। এখন বিজেপি সেই নীতিকেই আঁকড়ে ধরছে। এই মুহূর্তে মমতার চালু করা কর্মসূচির সুফল পায় না এমন পরিবার গ্রামবাংলায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। অবশ্য যাঁরা কট্টর মমতা বিরোধী তাঁরা ‘এটা তৃণমূলের নয়, সরকারের টাকা’ এই বলে ‘গঙ্গাজলে’ শুদ্ধ করে প্রকল্পের সুবিধা নেন। দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার বেনিফিট তৃণমূল পাচ্ছে। যাঁরা পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং অভ্যাসের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী ছিলেন তাঁদের অনেকেই ধীরে ধীরে ‘পজিটিভ ভোটে’র শরিক হচ্ছেন। সেই কারণে বিজেপির ভোট কমার আনুপাতিক হারে তৃণমূলের ভোট না বাড়লেও ভোটব্যাঙ্ক দিন দিন স্ফীত হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, উপ নির্বাচনে মানুষের এই রায়কে হালকা চালে নিলে বিরোধীদের পস্তাতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনে বামেরা যেভাবে জামানত খুইয়ে চলার ট্র্যাডিশন বজায় রেখে চলেছে তাতে সিপিএমের নতুন করে হারানোর কিছু নেই। ‘সর্বহারা’র দল এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। তবে, বিজেপির সামনে শুধরে নেওয়ার সময় এবং সুযোগ এখনও আছে। তারজন্য অতি দ্রুত চালু করতে হবে ১০০ দিনের কাজ। কারণ পেটে লাথি পড়লে কেউই ছেড়ে কথা বলে না। আবাস যোজনার টাকা মিটিয়ে দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করুক, বাংলা ও বাঙালির প্রতি তাদের বিদ্বেষ নেই। ভোটের ফল প্রকাশের পর মেদিনীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীও প্রচারে গিয়ে এনিয়ে বারবার ক্ষোভের মুখে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনিও চান, অবিলম্বে টাকা দেওয়া হোক। প্রয়োজনে কেন্দ্র মনিটরিং করুক।
এই উপ নির্বাচনকে ছাব্বিশের মহারণের আগে ‘সেমিফাইনাল’ বলে মানতে নারাজ বিরোধীরা। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। তবে এটা সেমিফাইনাল না হলেও ‘প্রস্তুতি ম্যাচ’ তো বটেই। ফলাফল ৬-০। এরপরেও যদি বিরোধীদের ঘুম না ভাঙে তাহলে ছাব্বিশে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ‘শীতঘুম’। কারণ ধস নেমেছে ‘নেগেটিভ ভোটে’র বাজারে।
30th  November, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
একনজরে
চোটে জেরবার ইস্ট বেঙ্গল। সাউল ক্রেসপো, দিয়ামানতাকোসের পর চিন্তা বাড়ছে হেক্টর ইউস্তেকে নিয়ে। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ফিজিওর কাছে রিহ্যাব করেন তিনি। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

ছ’ মাস ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি, আর বাকি ছ’ মাস সেই টাকায় সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণ। তবে নেহাত শখে নয়, বিশ্বশান্তির বার্তা দিতেই সেই ভ্রমণ। দুর্গাপুরের এ জোনে সেকেন্ডারি মোড়ে গেলে দেখা যাবে শ্যামাপদ শর্মার গরম ঘুগনির দোকান। ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM