সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
দিনদিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে নিউটাউন শহরের। বহু সরকারি, বেসরকারি অফিস, মল, পার্ক, মিনি জু’ও তৈরি হয়েছে। ফলে, এই শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছে প্রতিবেশী শহরগুলির। নিউটাউনের ইকোপার্ক থেকে হনুমান মন্দিরের দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেলে রয়েছে একটি ক্যানাল। তার ওপারেই বাগুইআটির হাতিয়াড়া। অতীতে চাষের কাজে যাওয়ার জন্য এলাকার মানুষ ওই ক্যানালের উপর বাঁশের সরু সাঁকো বানিয়েছিলেন। পরে ক্যানাল সংস্কার করতে গিয়ে তা ভাঙা পড়ে। ফের অস্থায়ী সেতু তৈরি হয়। বাঁশের কাঠামোর উপর কাঠের পাটাতন পেতে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। হেঁটে বহু মানুষ এই কাঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। সেখানে একটি স্থায়ী সেতু বা বক্স ব্রিজের দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ, এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে নিউটাউন থেকে সরাসরি হাতিয়াড়ায় সহজে পৌঁছনো যাবে। এতে সড়ক পথে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হিডকো কর্তৃপক্ষ বক্স ব্রিজের কাজ শুরু করেছে। ক্যানালের ধারে জমির পাইলিংয়ের কাজ চলছে। দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রাও নেওয়া হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ সিরাজুল হক বলেন, এলাকার মানুষের স্বার্থে আমরা বিষয়টি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নজরে এনেছিলাম। তাঁদের উদ্যোগে বক্স ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। কাঠের সেতু আর থাকবে না। এটা আমাদের এলাকার মানুষের কাছে খুব আনন্দের খবর। কারণ, এখন নিউটাউন থেকে হাতিয়াড়া প্রায় ৫-৬ কিমি ঘুরে যেতে হয়। বক্স ব্রিজ হয়ে গেলে নিউটাউন-হাতিয়াড়া সরাসরি জুড়ে যাবে। যোগাযোগের অনেক সমস্যাও কমবে।