Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। ক্রমেই রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনের অভিমুখ ঠিক করে দিচ্ছে মহিলাদের জন্য নানা ঘোষণা। এর পথিকৃৎ কি বাংলা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন? স্বীকার করতে এত কুণ্ঠা কীসের?
যাঁরা ৩৩ শতাংশ নারী সংরক্ষণের ঢাক পিটিয়েও প্রার্থী তালিকায় কয়েক যোজন দূরে আটকে যান, তাঁরাও সংসদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলিয়ে কইয়ে নতুন একঝাঁক ঝকঝকে মহিলা এমপি’র সক্রিয়তা দেখে একান্তে হাততালি দেন। সেখানেও পথ দেখায় বাংলাই। আজও। আপনি সমালোচনা করতেই পারেন, কিন্তু এই সরকারের উদ্যোগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটাও হয় ঘরের মহিলা সদস্যের নামে। নারীর সশক্তিকরণ ও মর্যাদা বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ বাংলার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মহিলা বিলক্ষণ জানে। জানে সওয়া দু’কোটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক। আর জানে বলেই নির্বাচনী আসরে হিসেব কষতে বসে বিভ্রান্তিতে ভোগে বিরোধী রাজনীতিক থেকে তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণি। ভোট এলেই জনসমর্থনের পারদের ওঠানামা মাপতে ভুল হয়ে যায় নিন্দুকদের। আধুনিক ব্যারোমিটারকে হারিয়ে দেয় এক আটপৌরে নেত্রীর আশ্চর্য গ্রহণযোগ্যতার রসায়ন।
ধর্ষককে কড়া শাস্তি দিতে মৃত্যুদণ্ডের আইনও পাশ হয়েছে প্রথম বাংলার বিধানসভাতেই। আর জি কর আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাশ হওয়ার পর বিলম্ব না করেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানায় তা আজও ঝুলে। কেন ধর্ষকের জন্য কঠোরতম আইন চালু করতে এত গড়িমসি বিজেপি’র, কোনও উত্তর নেই এখন। টানা তিন বছর একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, আবাসের বরাদ্দ না ছাড়ার মতোই এও বাংলার সঙ্গে সীমাহীন বঞ্চনার আর এক রূপ। বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আরও দুঃখজনক এই কারণে যে যাঁরা বঞ্চনায় মদত দিচ্ছেন তাঁরাই আবার এ রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছেন। বাংলার মানুষ ছাব্বিশের ভোটে এদের ক্ষমা করবে? প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ন্যায্য পাওনা আটকে রাখার জবাব কি মিলবে না ভোটযন্ত্রে? কড়ায় গন্ডায় হিসেব বুঝে নেবে না রাজ্যের মানুষ?
কেন্দ্রের শাসক দল যখন বাংলাদেশ ইস্যুতে হাত গুটিয়ে কার্যত দর্শক, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে। বৈদেশিক নীতি নিয়ে সচরাচর আমরা কেউই কথা বলি না। নিঃশর্তভাবে দিল্লির সরকারের পাশে দাঁড়াই। এটাই অলিখিত রীতি রেওয়াজ। বাংলার সরকারও তাই করেছে। কিন্তু যখন দেশের বিজেপি সরকার কী করব কী করব সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, ’৭১ সালের ইন্দিরা গান্ধীর মতো প্রোঅ্যাক্টিভ ভূমিকা নেওয়ার কোনও ইঙ্গিত চোখে পড়ছে না, তখন দু’একটা কথা বলতেই হয়। বিভাজন সর্বস্ব বঙ্গ বিজেপি সমস্যা সমাধানে জোর না দিয়ে এই সুযোগে পায়ের তলার চোরাবালি সামলে মাটিটাকে একটু শক্ত করার সুযোগ খুঁজছে এপার বাংলায়। এপার বাংলায় হিন্দু ভোট সংগঠিত করাকেই পাখির চোখ করেছে তারা। কারণ কট্টর হিন্দুত্বই বিজেপি’র একমাত্র জিয়নকাঠি। বাকি আর সব ফাঁকা। কিন্তু সেখানেও পালের হাওয়া কেড়ে নিয়ে উপদ্রুত বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। পক্ষে বিপক্ষে নানা মুনি নানা মত দিলেও বাংলার সরকার ও জননেত্রীর এই অবস্থান বর্তমান পরিস্থিতিতে পাক্কা ‘স্টেটসম্যান’ সুলভ। তিনি শুধু নিছকই রাজনীতির ময়দানে প্রস্তাবটা দেননি। কথাটা বলেছেন রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। তাই ভোট রাজনীতির হিসেবনিকেশ বাদ দিয়ে দিল্লির কর্তাদের বিষয়টি দেখা উচিত অত্যন্ত সচেতনভাবে। যদি সদিচ্ছা থাকে!
তাই বলি, যতই সমালোচনা করুন, তাঁর গান, ছবি, কবিতা নিয়ে কটাক্ষ বর্ষণ চালিয়ে যান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদে পদে রাজনীতিটা শিখতে হবে এই বঙ্গের বিরোধীদের। বিরোধী নেত্রী হিসেবে শুরু করে কী সরকারে কী দলীয় রাজনীতিতে একটার পর একটা ইস্যুকে নিষ্ক্রিয় করার দৌড়ে গত চার দশকেরও বেশি সময় তিনি অপ্রতিরোধ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। টানা তিন মাস আর জি কর নিয়ে আন্দোলনের সময় বিজেপি হারিয়ে গিয়েছিল। বলা হচ্ছিল, ওটা নাকি গেরুয়া সিলেবাসের বাইরে। আর প্রতিবেশী বাংলাদেশ যখন ক্রমেই অশান্ত হচ্ছে এবং হিন্দুত্ব গত একশো বছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে তখন এ রাজ্যের বামপন্থীরা শূন্য থেকেও আরও গহিন অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছে। সম্ভবত গত শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে হিন্দুত্ব। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিগত এক দশক দিল্লিতে তথাকথিত হিন্দু সরকার রাজ করলেও পড়শি রাষ্ট্রের এমন সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের কথা আঁচও করতে পারেনি কেন? দীর্ঘ ৫৩ বছর পর আবার বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মৌলবাদী পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের গাফিলতি না ব্যর্থতা, বলতে পারব না। ওই যে বলেছি, বিদেশ নীতি নিয়ে বেশি কাটাছেঁড়া চলে না। কূটনৈতিক সৌজন্যে বাধে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে আরএসএস প্রধান যখন বলেন, দেশে হিন্দুদের সংখ্যা বাড়াতে একটি নয়, দু’টিও নয়, দম্পতি পিছু তিনটি সন্তান জরুরি  তখন সন্দেহ জাগে। আসল উদ্দেশ্য সমস্যার সমাধান নাকি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের উনুনে তা দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে কিস্তিমাত করা। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন ও অত্যাচার নিয়ে যতটা না চিন্তা তার চেয়েও বড় টার্গেট সেই বিভাজনকে ব্যবহার করে বাংলায় ঘোলা জলে মাছ ধরা। পূর্ব ভারতে একের পর এক রাজ্য গেরুয়া শাসনে এলেও বাংলায় জননেত্রীর কাছে মোদি-অমিত শাহ বারে বারে পরাজিত হয়েছেন। একুশে, চব্বিশে...ছাব্বিশের দেওয়াল লিখনও স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়নকে প্রধান মুদ্দা বানালেও আগামী সওয়া এক বছর পরের বিধানসভা ভোটে তা থেকে ফায়দা তোলার চক্রান্ত সফল হবে না। কারণ এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা তাঁদের প্রকৃত বন্ধুকে যেমন চেনে তেমনি একটা বিরাট শিক্ষিত প্রগতিশীল অংশের হিন্দু জানে, হানাহানির মাধ্যমে কোনও সভ্য সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সামাজিক কাঠামোকেই তা আরও দুর্বল করে। উন্নয়নকে পিছনে ঠেলে। সেই যন্ত্রণা আমাদের পূর্ব পুরুষরা দশকের পর দশক ভুগেছে। এখনও দেশভাগের দগদগে স্মৃতি  বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। বাড়ি ঘর ছেড়ে আসার স্মৃতি পুরোটা মুছে যায়নি। তাই হিন্দু মুসলমান বিভাজনের বিষ বয়ে চলার ভুল আবার বাঙালি করবে বলে মনে হয় না। বিজেপি’রও বাংলাদেশের জুজু দেখিয়ে এপার বাংলায় সংগঠন বিস্তারের স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন যাই বলুন আগামীতে আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী, গরিবের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২৪×৭ রাজনীতির সামনে।
পরিশেষে একটা কথাই বলি, আবার আমরা বছরের শেষ অঙ্কে উপনীত হয়েছি। বাতাসে হিমেল স্পর্শ জানান দিচ্ছে ডিসেম্বর সমাগত। কয়েকদিন পরই নতুন বছর। ২০২৫। শুধু একটাই আবেদন সবার কাছে অযথা বিনা কারণে বাংলার বদনাম করবেন না। ওতে শুধু আপনারই ক্ষতি নয়, পরবর্তী প্রজন্মেরও লোকসান। বাংলায় অনেক কিছু হচ্ছে। যা ভালো হচ্ছে সেটাও বলুন। শুধু নেগেটিভ প্রচারে কোনও সমাজ লাভবান হতে পারে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জিতে যান কারণ তিনি নিজের শক্তির চেয়েও বাংলার মানুষের সম্মিলিত শক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেন। আমরা সবাই সেটা করলে আখেরে লাভ হবে বাংলারই। উচ্চস্বরে বলতে পারব, এগিয়ে বাংলা।
08th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...

চোটে জেরবার ইস্ট বেঙ্গল। সাউল ক্রেসপো, দিয়ামানতাকোসের পর চিন্তা বাড়ছে হেক্টর ইউস্তেকে নিয়ে। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ফিজিওর কাছে রিহ্যাব করেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM