সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
সন্ধ্যা হলেই দিনহাটা শহরের সংহতি ময়দানে আড্ডা জমে। শীতের রাতে জমজমাট হয় আসর। সম্প্রতি এই আসরগুলিতে নেশার প্রভাব বাড়ছে। মদ্যপরা খালি বোতল ফেলে যাচ্ছে ময়দানে। সকাল বেলা মাঠে এসে মদের বোতলের জন্য খেলাধুলো করতে সমস্যায় পড়ছে শিশুরা। অনেকেই প্রাতর্ভ্রমণের জন্য ভোরে মাঠে আসেন। তাঁরাও নেশারুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। নেশা করে শুধু বোতল ফেলে যাওয়া নয়, নষ্ট করা হচ্ছে মাঠের চারদিকে লাগানো গাছ। অনেক গাছে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। গাছের চারদিকে লাগানো বাঁশের বেড়া তুলে আগুন ধরিয়ে পোহানো হচ্ছে। মদ্যপদের অত্যাচারে খেলার সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে, ছাড় পাচ্ছে না পরিবেশও। দিনহাটা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, রাতের বেলায় নেশার আসর শেষে খালি মদের বোতল ফেলে রাখা হচ্ছে সংহতি ময়দান জুড়ে। সকালে খেলতে আসা প্রশিক্ষণার্থীরা এতে সমস্যায় পড়ে। মদের বোতল মাঠের এক ফেলার পরেই অনুশীলন শুরু করা যায়। একারণেই অনেকে মাঠমুখী হতে চাইছে না। অবিলম্বে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অভিযান চালানো উচিত। পরিবেশপ্রেমী তথা দিনহাটার বিশিষ্ট চিকিৎসক বিভাস রায় বলেন, শহর জুড়ে একাধিক গাছের চারা লাগিয়েছি। সংহতি ময়দানের চারদিকে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। সমাজবিরোধীরা আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে গাছগুলি। গাছের ঘেরা দেওয়া বাঁশ তুলে নিয়ে আগুন পোহাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় গাছগুলি বাঁচাতে সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত। কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, নেশার বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।