সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: নামখানার হরিপুরের ঘোষ খাল ও লায়লগঞ্জের নির্জন সমুদ্র সৈকতে গড়ে উঠছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সেখানে চারটি কটেজ তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে আরও পাঁচটি কটেজ তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। বকখালির খুব কাছাকাছি হওয়ায় বহু পর্যটকও এই নতুন পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, লায়লগঞ্জের সমুদ্র সৈকতে গত প্রায় দু’বছর আগে ঝাউ চারা লাগানো হয়েছিল। সেই চারাগুলি এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। প্রায় দু’কিলোমিটার লম্বা ও ১০০ মিটার চওড়া করে সেই ঝাউবন মন কেড়েছে পর্যটকদের। এই ঝাউবনের বাম দিকে প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে সাবার (যেখানে মাছ শুকনো করা হয়)। সেই সাবারের বাম দিকে রয়েছে আরও একটি সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতেও রয়েছে ঝাউ গাছ। পর্যটকেরা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে এসে সাবারেও দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি এই এলাকায় ছোট খালের মধ্যেও বোটিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। খালের দু’পারের ম্যানগ্রোভের অপরূপ দৃশ্য মন কেড়ে নেয় পর্যটকদের।
এবিষয়ে লায়লগঞ্জের একটি কটেজের মালিক অয়ন চক্রবর্তী বলেন, ঘোষ খাল থেকে পর্যটকদের বোটিংয়ের মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে নিয়ে আসা হয়। জোয়ারের সময় খালেও বোটিং করা যায়। নির্জন সমুদ্র সৈকতের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসছেন। খুব সহজেই এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায়। নামখানা স্টেশনে নেমে অটো বা টোটোতে করে এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায়। এছাড়াও বাসে করে এলে নামখানার আট অথবা দশ মাইল স্টপে নেমে অটোতে করে এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছনো যায়। -নিজস্ব চিত্র