Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। চারজনের মৃত্যু। ভারতের পার্লামেন্টে এটি এখন অন্যতম ইস্যু। 
অসমের রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে হোটেল, রেস্তরাঁয় তো বটেই, কোনও সামাজিক সমাবেশেও গোমাংস খাওয়া কিংবা পরিবেশন করা চলবে না। 
আজমির শরিফ দরগা আসলে মহাদেবের মন্দিরের উপর নির্মিত। এই মর্মে রাজস্থানের আদালতে জমা পড়েছে আবেদন। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজনীতি এই আবেদনের পক্ষে ও বিপক্ষে তর্ক করছে।
ভারত সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি যে সংগঠন, সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান আহ্বান করেছেন মহিলাদের অন্তত তিনটি করে সন্তান থাকা উচিত। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ভারতের গড় ফার্টিলিটি হার যেভাবে কমছে, সেটা উদ্বেগজনক এবং ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হারও কমতে শুরু করেছে। তাই এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। 
ঠিক এই সময়ই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? আমেরিকার যে কোনও সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে লক্ষ্য করা যাবে প্রধানতম চর্চা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমপোর্ট ট্যারিফ রেট কতটা বাড়াবেন? অন্য দেশ থেকে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করতে হলে ওই চড়া ট্যাক্স দিতে হবে। চীনকে সবথেকে বেশি টার্গেট করেছেন তিনি। কেন? কারণ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র মাঝারি বা বৃহৎ সব শিল্প সংস্থার উৎপাদন ও বিক্রি যাতে বাড়ে। 
ইতালির অন্যতম বৃহৎ ব্যাঙ্ক ইউনিক্রেডিট স্থির করেছে তারা জার্মানির বৃহত্তম আর্থিক সংস্থা কমার্জব্যাঙ্ককে কিনে নেবে। জার্মান সরকার সেটা ঠেকাতে মরিয়া। জার্মানির নাগরিকরাও ক্ষুব্ধ। কারণ এটা রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যাপার। 
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে আইন এনেছে যে, ১৬ বছরের কম বয়সিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। গুগল, মেটা, এক্স ইত্যাদি সংস্থা প্রবল চিন্তিত। কারণ তাদের ব্যবসা প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে। ওই বয়সটাই অ্যাসপিরেশনাল বয়স। স্বপ্ন দেখার বয়স। তাই ওই বয়স হাতছাড়া করা চলবে না। এইসব সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কাছে সময় চেয়েছে। বলেছে, আমরা এই বয়সের ব্যাপারটা কীভাবে ম্যানেজ করা যায় সেই টেকনোলজি আনছি, সময় দিন। অস্ট্রেলিয়া রাজি নয়। 
আফ্রিকার সুদানের একটি উদ্বাস্তু ক্যাম্প রয়েছে এল ফাশহর নামক জনপদে। সেই উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া গৃহযুদ্ধে গৃহহীন ৫ লক্ষ মানুষের জন্য এই সপ্তাহ কিছুটা খুশির খবর এনেছে। কারণ এই ৫ লক্ষ মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় অনাহারে কাটাচ্ছে। যুদ্ধের কারণে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে খাবার সাপ্লাই পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে সেই সাপ্লাই আসছে এই সপ্তাহে। বিগত ছয় মাস ধরে লাগাতার পশ্চিমী দেশগুলি এই নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আলোচনা করেছে। চাপ দিয়েছে। 
এই যে তথ্যগুলি আলোচিত হল, এখানে কী দেখা যাচ্ছে? দেখা যাচ্ছে, ভারতকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এখনও পর্যন্ত কতটা অপরিণতমনস্ক এবং নির্বোধ করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বলে গর্ব করছে। অথচ বাকি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলির অন্যতম চর্চার ইস্যু কী? আর আমরা প্রতিদিন কী নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের রাজনীতিকরা কী নিয়ে বাগবিতণ্ডা করেন?
আজও ভারতের বৃহৎ ব্যর্থতা হল এখনও বিশ্বকে কোনও ভোগ্যপণ্যের এক নম্বর ব্র্যান্ড উপহার দিতে পারেনি ভারত তথা ভারতের কর্পোরেট মহল। ভারতের নাগরিক যুবসমাজ জারার জ্যাকেট কিংবা পোশাক পরলে নিজেকে স্মার্ট ও স্টেটাসসংবলিত মনে করে। জারা স্প্যানিশ ব্র্যান্ড। সেই যুবসমাজ আজও লি, লিভাইস জিন্স পরতে পছন্দ করে। আজও সবথেকে বেশি বিক্রি হয় ব্র্যান্ড হিসেবে রিবক, নাইকি, পুমা, অ্যাডিডাস এবং এয়ার জর্ডন। দেখা যায় যে, আমরা যখন যে বয়সে যে কোনও পণ্য কেনার স্বপ্ন পোষণ করি, সেটি অবধারিতভাবে বিদেশি কোনও ব্র্যান্ড। 
আজও ১৪০ কোটি দেশের স্বপ্ন পকেটে একটি অ্যাপল ফোন থাকা। ভারত আজও একটি মোবাইল ব্র্যান্ড বিশ্বকে দিতে পারল না। কোনও টেলিভিশন, কোনও প্যাড, কোনও লেদার প্রোডাক্ট, কোনও শীতের পোশাক, কোনও গরমের পোশাক কিছুই নেই। অর্থাৎ আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, বেজিং, স্কটল্যান্ড, মেলবোর্ন, প্যারিস, ব্রাজিলের নাগরিকরা ভারতের কোনও একটি ব্র্যান্ড ব্যবহার করার জন্য উদগ্রীব এবং সেই ব্র্যান্ড বিশ্বকে শাসন করছে, এরকম উদাহরণ নেই। 
তাহলে ভারত কীসের জন্য গর্ব করে? ভারত তো ক্রেতার দেশ? ১৪০ কোটির বাজার। ভারতকে সবাই শুধু বিক্রি করে চলেছে নিজেদের প্রোডাক্ট আর ব্র্যান্ড। যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি ইংলিশ স্পিকিং। লেবার ফোর্স বেশি। কিন্তু মজুরি কম। অতএব আরও সুবিধা। এদের থেকে কাজ করিয়ে নাও প্রসেস থেকে সফটওয়্যার যে কোনও সংস্থায় অফশোর এমপ্লয়ি হিসেবে। এই দেশের কোম্পানিগুলিকে প্রজেক্ট দিয়ে দাও। এরা নিজেদের সস্তার কর্মীদের দিয়ে উচ্চ মানের কাজ করে দেবে। লাভ করব আমরা অর্থাৎ বহুজাতিক বিখ্যাত সংস্থা। আবার সেইসব কর্মীর কাছেই বিদেশের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলি নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেই কন্ট্রাক্টের জন্য খরচ হওয়া টাকা আবার নিজেদের দেশে নিয়ে যাবে। 
অন্যদিকে এইসব কোম্পানি যে দেশের, সেই দেশের সরকারগুলি এই ভারতকেই বিক্রি করে অস্ত্র, সোলার এনার্জির টেকনোলজি, মহাকাশ গবেষণা প্রক্রিয়া, যুদ্ধ সরঞ্জাম, টেলিকম প্রযুক্তি। সুতরাং, ভারত প্রত্যেকের কাছে সবথেকে বেশি সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। লক্ষ করা যায় যে, কেউ ভারতের সঙ্গে কোনও শত্রুতা চায় না। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনে। তেল কেনে। আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়। কিন্তু ভারতকে ধমক দিতে পারে না। সম্পর্ক ছিন্ন করতেও পারবে না। কারণ সরকার ও কর্পোরেট উভয় পক্ষের কাছে ভারত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা। 
ভারত কিংবা গোটা দুনিয়া কোনও কোনও কোম্পানি ছাড়া ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারবে না। শুধু শখের কারণে নয়, পেশাগতভাবেও এই সংস্থাগুলির উপর ভারত নির্ভরশীল। গুগল, আমাজন, মেটা, এক্স, ইউটিউব, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট। এর একটারও কোনও বিকল্প ভারত তৈরি করতে পারল না কেন? ভারত তো সফটওয়্যার কর্মীদের রাজধানী। 
ভারতের বৃহত্তম কর্পোরেট সংস্থাগুলির দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতা দেখা যায় না  কেন? বিদেশি সংস্থার মতোই দেশি সংস্থা হয়েও তারা ভারতীয় জনতাকে স্রেফ ক্রেতাই ভাবে। তাই যখন তখন টেলিকমের ট্যারিফ বাড়ায়। সুযোগ খোঁজে জনতার ট্যাক্সের টাকায় সরকার তাদের কর্পোরেট ট্যাক্স কখন মকুব করবে। 
জমি আদায় করা রাজ্য সরকারকে শিল্পায়নের টোপ দিয়ে কর্পোরেট কোম্পানির নবতম উদ্যোগ হল সুযোগ পেলেই রিয়াল এস্টেটে ঢুকে পড়া। সস্তায় জমি নিয়ে সেখানে স্যাটেলাইট টাউনশিপ কিংবা হাউজিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা। 
আমেরিকার জিডিপি কত? ২৮ লক্ষ কোটি ডলার। চীনের জিডিপি কত? ১৮ লক্ষ কোটি ডলার। ভারতের জিডিপি কত? সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি ডলার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গালভরা সংলাপ এবং তাঁর শরীরী ভঙ্গি দেখলে বোঝা যায় যে, ভারত এদের থেকে কত পিছিয়ে আছে? তাঁর সরকার ও দলের আচার আচরণ এবং মনোভাব কিংবা চিন্তাভাবনার অগ্রাধিকার লক্ষ করলে একবারও মনে হয় না, আদৌ তাদের  মনে একটা গভীর শপথবাক্য আছে যে, এই  পর্যায়ে একদিন আমরাও পৌঁছবো? তারা ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মসজিদ, মন্দির, গোমাংস, ইডি, সিবিআই এসব নিয়েই বেশ আছেন! 
আমেরিকা এবং চীন সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর। অভ্যন্তরীণ সেই শিল্পকেই এই দুই দেশ রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রমোট করে। ভারত কী করে? অথচ ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের শক্তি সববৃহৎ। 
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ, হিন্দু মহাসভা, ভারতীয় জনসঙ্ঘ, ভারতীয় জনতা পার্টি। এদের সকলেরই প্রধান একটি স্বপ্ন এবং লক্ষ্য হল ভারত ও হিন্দুত্বের প্রাচীন ও অতীত গৌরবজনক অধ্যায়কে আবার ফিরিয়ে আনা। খুবই ভালো পরিকল্পনা। তবে শুধু‌ই ধর্মীয় কেন? ভারতীয় বাণিজ্যের স্বর্ণযুগ ফেরাতে সচেষ্ট হচ্ছেন না কেন?  নিশ্চয়ই মনে আছে, 
প্রাচীন পৃথিবীতে কোন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল সর্বোত্তম ও সর্ববৃহৎ? রোম এবং ভারত। এই দুই রাষ্ট্র ছিল বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ট্রেডিং পার্টনার। এমনকী সিল্ক, যা নাকি চীনের সর্বশ্রেষ্ঠ রপ্তানিপণ্য ছিল ইওরোপে, সেটাও ভারতে আগে পাঠানো হতো নৌকায়। গোলমরিচ, মশলা, হাতির দাঁত, বস্ত্র রপ্তানি করত ভারত। কতটা মূল্যবান ছিল ভারতের পণ্য? ভিসগোথ রাজা আলারিক যখন রোম দখল করে মুক্তিপণ চেয়েছিলেন ৪০৮ খ্রিস্টাব্দে, সেইসময় সেই মুক্তিপণের প্রধান দাবি ছিল দুটি, ৫ হাজার কেজি সোনা এবং ৩ হাজার কেজি ভারতীয় গোলমরিচ। সিন্ধু সভ্যতার আমল থেকেই ভারত উৎপাদন ও বাণি঩জ্যে উৎকর্ষ লাভ করতে শুরু করে। ২০২০ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতার উচ্চতা স্পর্শ করা আমাদের লক্ষ্য। 
আর আজ ভারতের রপ্তানি তলানিতে পৌঁছেছে। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ঘাটতি চরম আকার নিয়েছে। কারণ কী? কারণ দেশীয় উৎপাদনকে সবরকমভাবে সাহায্য করাকে সরকার মিশন হিসেবে নেয়নি। কোথায় কারা সর্বোৎকৃষ্ট কারিগর সেটা দেখা হয় না। দেখা হয়, কোথায় কোন দল ক্ষমতায় এবং কারা আমাদের ভোটার। আর তাই যে ভারত ছিল অতীত গৌরবকালে বিক্রেতা, আজ তারা নিছক ক্রেতা। রপ্তানির দেশ আজ আমদানির দেশ। দাতার দেশ আজ গ্রহীতার দেশ। আধুনিক চিন্তা, শিল্প, বাণিজ্য, গৌরব, সবদিকেই ভারতকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন? 
06th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

ছ’ মাস ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি, আর বাকি ছ’ মাস সেই টাকায় সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণ। তবে নেহাত শখে নয়, বিশ্বশান্তির বার্তা দিতেই সেই ভ্রমণ। দুর্গাপুরের এ জোনে সেকেন্ডারি মোড়ে গেলে দেখা যাবে শ্যামাপদ শর্মার গরম ঘুগনির দোকান। ...

তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM