সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেই নির্দেশ এসেছে যে, যত দ্রুত সম্ভব এই বিল পাশ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। কারণ, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে সাত রাজ্যের নির্বাচনের পর নতুন যে সরকার গঠিত হবে, সেগুলির সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার সাংবিধানিক ব্যবস্থা যাতে করা যায়। ২০২৯ সালেই একই সঙ্গে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে হবে। তার কিছু মাস পর হবে পুরসভাও পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিকল্পনা নিয়েই অগ্রসর হচ্ছে মোদি সরকার। শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল পেশ হলেও তা এখনই পাশ হবে না। পাঠানো হবে সংসদীয় কমিটির কাছে। যে ফর্মুলায় ওয়াকফ বিল পাঠানো হয়েছে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির কাছে, সেভাবেই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বিল পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ আগামী বছরের এপ্রিল মে মাসের মধ্যেই পাশ হবে ওই বিল। তবে সরকারের শীর্ষ মহল চাইছে বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধেই বিলটি পাশ করাতে। যাতে দিল্লি এবং বিহারের নতুন বিধানসভা এবং তারপর ২০২৬ সালের বাংলা, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল ও পুদুচেরির বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার প্রাক্কালেই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বিল পাশ করানো যায়। দিল্লির ভোটপর্ব অবশ্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে। তাই তার আগে এই বিল পাশ করানো কার্যত অসম্ভব। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বিল নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকারের সংসদীয় টিম। সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত চাওয়া হবে।
সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে হলে সংসদের উভয় কক্ষে দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা প্রয়োজন। রাজ্যসভায় সরকারের কাছে আছে ১১২ আসন। বিরোধীদের দখলে ৮৫। দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৬৪। সুতরাং বিরোধীদের একাংশের সমর্থন দরকার। পক্ষান্তরে লোকসভায় প্রয়োজন ৩৬৪ ভোট। সরকারের কাছে রয়েছে ২৯২। আপাতত এই অঙ্ক মেলাতে সক্রিয় বিজেপির ক্রাইসিস ম্যানেজাররা।