সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
রানাঘাট জেলা পুলিসের আওতায় সীমান্তবর্তী থানা ধানতলা এবং হাঁসখালি। বরাবরই এই দু’টি থানা এলাকা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ে। ইদানীং বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্রেপ্তারের সংখ্যাও। চলছে বিশেষ অভিযান। একের পর এক ধরা পড়ছে অনুপ্রবেশকারী। যাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ রুজিরুটির আশায় চলে আসছেন। বাংলাদেশে অস্থিরতা কেড়েছে তাঁদের কাজ-কারবার। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বাংলায় যদি স্থায়ী কাজ জোটে—সেই আশায় সীমান্ত ডিঙোচ্ছেন।
পাশাপাশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও হানাহানির আতঙ্কেও দেশ ছাড়ছেন অনেকেই। তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে বেছে নিচ্ছে বাংলাকে। মওকা বুঝে সীমান্ত-ময়দানে নেমে পড়েছে এক শ্রেণির দালাল। তারা নিরাপদে সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোট অঙ্কের টাকা লুটছে। তবে, পুলিসের অতি সক্রিয়তার কারণে সব ক্ষেত্রে দালালরা সফল হচ্ছে না। ধরা পড়ে যাচ্ছে হাতেনাতে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের দুই অনুপ্রবেশকারীকে জেরা করে চারজন দালালের হদিশ পায় হাঁসখালি থানার পুলিস। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধানতলা থানা এলাকার শীলবেড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের মধ্যে তিনজনকে। চতুর্থ জন ধরা পড়েছে হাঁসখালি থেকেই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম আসাদুল মণ্ডল, সুশান্ত বিশ্বাস, সইদুল মণ্ডল এবং আবু বক্কর দফাদার। এদের মধ্যে আবু হাসখালির বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, চড়া দর হাঁকিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদেরকে এই দেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করত ধৃতরা। বাংলাদেশ অশান্ত হয়ে ওঠায় ফুলেফেঁপে উঠছিল তাদের ব্যবসা। কিন্তু, কোন পথে সীমান্ত পার করানো হতো? উত্তর খুঁজতে ধৃত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।
রবিবার রাতে একটি বিশেষ অভিযান চালায় হাঁসখালি থানার পুলিস। সেই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জিত রায় এবং নারায়ণ রায় নামে দু’জন বাংলাদেশি নাগরিককে। সোমবার তাঁদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা।
জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই চার দালালের খোঁজ মেলে। যদিও আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃত রঞ্জিত দাবি করেন, বাংলাদেশে তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই আতঙ্কেই সীমান্ত পার করে এই দেশে চলে এসেছেন তিনি। যদিও তদন্তকারীরা বলছেন, কাজের খোঁজে রঞ্জিত এই দেশে এসেছেন। পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও তদন্তে উঠে আসছে।