সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
নতুন ধান ঘরে উঠলে এখনও গ্রাম বাংলার মানুষ নবান্ন উদযাপনে মেতে ওঠেন। তবে ব্যস্ততার কারণে অনেকেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন না তাতে। তেমনটাই হয়েছিল শান্তিনিকেতন থানার পারুলডাঙার বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে। মকরমপুর, ত্রিশূলাপট্টি, লায়েকবাজার, পারুলডাঙা খোসকদমপুর, উত্তর নারায়ণপুর প্রভৃতি জায়গা থেকে পড়ুয়ারা এই স্কুলে আসে। এই স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই কৃষক পরিবারের। বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষার কারণে নবান্ন উৎসবে অংশ নিতে পারেনি। তাই প্রধান শিক্ষক প্রশান্তকুমার দাসের উদ্যোগে শিক্ষকরা চাঁদা তুলে নবান্ন উৎসব আয়োজন করেন। প্রশান্তবাবু বলেন, এটি বাঙালির অন্যতম প্রাচীন উৎসব। আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলার রীতিনীতিগুলিকেও গুরুত্ব দিয়ে শেখানোর চেষ্টা করি। তারই অঙ্গ হিসেবে এবারই প্রথম নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এবছর পরীক্ষার কারণে অনেকেই বাড়ি যেতে পারেনি। পড়ুয়াদের সেই আক্ষেপ মেটানোর চেষ্টা করেছি। স্কুলের নবান্ন উৎসবে শাড়ি পরে হাজির হয়েছিল একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তৃণা রুজ, নবনীতা দাস, রিয়া মাড্ডি ও আজমিরা খাতুন। ছোটদের খাবার পরিবেশনের ফাঁকে তারা বলল, স্কুলে যে নবান্ন হতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। মাস্টারমশাইদের এই উদ্যোগে আমরা খুব খুশি।