সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
জোট অটুট থাকার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকারকে তাঁর পদ থেকে সরানো। সম্মিলিত বিরোধীরা ধনকারের সভা পরিচালনার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বর অভিযোগ তুলে তাঁকে সরানোর লক্ষ্যে রাজ্যসভা সচিবালয়ে সেক্রেটারি জেনারেলকে দিলেন চিঠি। যা নজিরবিহীন। এর আগে কোনওদিন কোনও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপ রাষ্ট্রপতিকে এভাবে তাঁর পদ থেকে সরাতে ইমপিচমেন্টের নোটিস দেয়নি বিরোধীরা। বিষয়টি উল্লেখ করে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লেখেন, এর আগে বিভিন্ন সময়ে লোকসভার তিন স্পিকার জি ভি মভলঙ্কর, সর্দার হুকুম সিং এবং বলরাম জাখরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভার ৭২ বছরের ইতিহাসে কোনও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এই প্রথম।
‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদের দাবি, রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের কুর্সিতে বসে জগদীপ ধনকার নিজেকে ‘আরএসএসের একলব্য’ বলে বর্ণনা করেছেন। দিনের পর দিন বিরোধীদের বলতে দেননি। উল্টে তাঁদের নামে অপমানজনক কথা বলেছেন। পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন। এত উচ্চ পদে আসীন হয়েও তিনি এই আচরণ করে চলেছেন । তাই তাঁকে সরানোর উদ্যোগ নিল বিরোধীরা। মোট ৬০ জন সাংসদ চিঠিতে সই করেছেন। বিরোধীরা ঠিক করেন, কোনও দলেরই সভার দলনেতারা এই চিঠিতে সই করবেন না। সেই কারণেই মল্লিকার্জুন খাড়্গে, ডেরেক ও’ব্রায়েন, শারদ পাওয়ারের মতো নেতারা সই করেননি। স্বাক্ষর করেননি সোনিয়া গান্ধীও। ইন্ডিয়া জোটকে মজবুত রাখতে মঙ্গলবার দিল্লিতে শারদ পাওয়ার এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, ওই বৈঠক থেকেই কলকাতায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফোন যায়। ইন্ডিয়া জোটের তিন শীর্ষ নেতানেত্রীর এই আলোচনা আগামী দিনে মোদি হটানোর স্ট্র্যাটেজি জোরদার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।