Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশে বিশাল অস্ত্রের চালান আটক হওয়ার পর তা দেখতে পরদিন চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিস লাইনের মাঠে যান তৎকালীন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এই ছবি তোলার কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিক সম্মেলনে লুৎফুজ্জামান বাবর মন্তব্য করেছিলেন, এই অস্ত্র আনার সঙ্গে বিরোধী দল আওয়ামি লিগের যোগসূত্র থাকতে পারে। অথচ, পরে একের পর এক তদন্তে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামি লিগ নয়, বাবর নিজেই ছিলেন এর সঙ্গে জড়িত! ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াও স্বীকার করেছিলেন, এই বিপুল অস্ত্র তাদের জন্যই বাংলাদেশে এসেছিল। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং তাদের সহায়তাতেই বাংলাদেশে অস্ত্র খালাসের ব্যবস্থা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, উত্তর-পূর্ব ভারতকে অগ্নিগর্ভ করে তোলা!
ইতিহাস জানাচ্ছে, আওয়ামি লিগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের ‘৩০ এপ্রিলের ডেডলাইন’ নিয়ে তখন রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। ২০০৪ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশের খবরের কাগজের শিরোনাম ছিল: ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের পতন। খবরে বলা হয়, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতন ঘটবে বলে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করে বলেছেন, একমাত্র আল্লা ছাড়া কোনও শক্তি এই সরকারের পতন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
এরপর গোটা বাংলাদেশে ‘জলিলের ট্রাম্প কার্ড’ কথাটি মুখে মুখে ফিরতে থাকে। পতনের ভয়ে চক্রান্ত শুরু করে বিএনপি-জামাত জোট সরকার। আর তারপরই ১ এপ্রিল গভীর রাতে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ে। ২ এপ্রিল ঢাকা থেকে উড়ে চট্টগ্রামে যান রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর। সঙ্গে পুলিসের তৎকালীন শীর্ষকর্তা শহুদুল হক, নবগঠিত র‌্যাবের প্রধান আনোয়ারুল ইকবাল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবর বলেছিলেন, বিরোধী দল ৩০ এপ্রিল সরকার হটানোর যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার সঙ্গে এই অস্ত্র উদ্ধারের যোগসূত্রের ব্যাপারটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না (সূত্র: প্রথম আলো, ৩ এপ্রিল, ২০০৪)। তাঁর এই মন্তব্য ভাসিয়ে দেওয়ার পর বিএনপির নেতারা অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আওয়ামি লিগকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকেন। যদিও শুরু থেকেই এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চালাতে পুলিস অফিসারদের অনীহা ছিল। অস্ত্র আটকের ৩৬ ঘণ্টা পর কারও নাম উল্লেখ না করে পুলিস কর্ণফুলি থানায় দু’টি মামলা করেছিল মাত্র। আসলে আওয়ামি লিগের গায়ে কালি মাখাতে এটাই ছিল বাবরের খেলা!
বাবরের দাপট এমনই ছিল যে, তাঁর কথায় এক সময় নেত্রকোনার কোণায় কোণায় বাঘে-গোরুতে এক ঘাটে জল খেত। সেখানে কায়েম করেছিলেন ভয়ঙ্কর এক ত্রাসের রাজত্ব। মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি উপজেলা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-৪ আসন। ২০০১ সালে ওই আসন থেকে বিএনপির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন ‘ক্যাসিও বাবর’ নামে সুপরিচিত লুৎফুজ্জামান বাবর। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় পেয়েছিলেন অতিগুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব। রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও এককভাবে ওই মন্ত্রক চালাতেন তিনিই। আর হত্যা, ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলাসহ গোটা নেত্রকোনাকে জর্জরিত করেছিল বাবর গ্যাং। ওই সময় বাবরের ইন্ধনে হিন্দু পরিবারের বিশাল সম্পক্তি দখল হয়ে যায়।
জাতীয় পার্টির সরকারের আমল থেকে বাবর বেপরোয়া চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। বাবরের ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটে লাগেজ ব্যবসা ছিল। সেইসময় ‘লাগেজ বাবর’ নামেও পরিচিত ছিলেন। বাবর জাপানি ঘড়ি ক্যাসিও’র ছত্রছায়ায় লাগেজ ব্যবসাটি করতেন। ব্যাঙ্কক থেকে আসা ক্যাসিও ঘড়ি বর্ডার দিয়ে ভারতে পাচার করতেন। রাজশাহী বর্ডারে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। সেই সময় এরশাদ ক্ষমতায় থাকায় রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনওভাবে পার পেয়ে যান। একবার নয়, একাধিকবার। বাবরের ইতিহাস গোটাটাই কালো। তাঁর রোজগারের সমস্তটাই অবৈধ। এরশাদের পতনের পর কথিত আছে বাবর খালেদা জিয়াকে একটা জিপ উপহার দিয়েছিলেন। এবং একজন নেতার সঙ্গে লেনদেন করে বিএনপি থেকে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। সেটা ১৯৯১ সাল। সেবার ভোটে জিতলেও ১৯৯৬-এ আবার হেরে যান। যদিও চার বছর পর আবার ফিরে আসেন বাবর। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর যাবতীয় কলঙ্ক ঢাকা পড়ে যায়। হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। এই সময়ই তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ই মগবাজারের শীর্ষ জঙ্গি আরমানের সঙ্গে একত্রিত হয়ে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই আমলে তাঁর নাম হয়েছিল ‘ক্রসফায়ারের জনক’। বাবর বলতেন ‘অপরাধ জগতে আমি আগন্তুক নই’।
তিনি যে আগন্তুক ছিলেন না, সেটা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় হওয়ার পর একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায়। অস্ত্র চোরাচালান মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড ও অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন তুলেছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর আওয়ামি লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলের নেতা। ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা দুই মামলার রায় দেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। সেই রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অভিযোগ ছিল, হামলায় অংশ নিয়েছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশের (হুজি) জঙ্গিরা। আর এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিল তৎকালীন জোট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ‘ইন্ধন’। হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড আনা হয় পাকিস্তান থেকে।
মহম্মদ ইউনুসের অধীনে তদারকি সরকার ক্ষমতায় আসার চার মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ হাইকোর্ট ‘অভিযোগ গঠনে ত্রুটির কারণ দেখিয়ে’ এই মামলার সব আসামিকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছে। আদালতের এই রায় কীসের বার্তা দিচ্ছে বুঝতে এতটুকু অসুবিধে হয় না। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন— এই দুইয়ের চাপে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হয়। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা চলে আসেন ভারতে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে একটাই প্রচার চলেছে— এবার মুক্ত ‘ভারতের ত্রাস’ বাবর। ‘বর্ডারের ওপারে ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদির’। ‘ভারতের কাছে একটা আতঙ্কের নাম’। যেন বাবর জেল থেকে বেরিয়ে এলে ভারত ভয়ে কুঁকড়ে যাবে। ইউনুস সরকারকে একবারও তা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। বোঝাই যাচ্ছিল, দ্রুত মুক্তি পেতে চলেছেন অস্ত্র আইন মামলার আসামি, নেত্রকোনার ত্রাস লুৎফুজ্জামান বাবর। আদালতের এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে। লেখা থাকবে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারের কাহিনিও। 
আর ভারত বিরোধিতার জিগির যত বাড়ছে, তত আক্রমণ নেমে আসছে সংখ্যালঘু মানুষের উপর। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এখন প্রচার করা শুরু করেছেন, বাংলাদেশের গণ–অভ্যুত্থানের ঘটনায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অখুশি। তাই প্রমাণ করতে চাইছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে এবং তালিবান ঘরানার সরকার আসতে চলেছে। এই ধরনের অপপ্রচার দুই দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই এখন সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। অথচ, একবারও বলছেন না, কেন ভারত বিরোধিতার উগ্র বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সরকারের ক্ষমতার অলিন্দে? হাসিনা সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ নেমে এসেছিল কেন? শুধুমাত্র ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ২ হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার দায় কার? কেন দিনের পর দিন গোটা বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে? কেন হুজি, জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিম, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ, শাহদত-ই-আল হিকমা, হিজবুত তাহিরি-সহ একঝাঁক জঙ্গি সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাংলাদেশ? এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে নিয়ে দেশ গঠন করা কি সম্ভব?
আওয়ামি লিগের জমানায় যেসব জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এখন তারাই ফের খোলা জমিনে পা রাখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের অস্থির রাজনীতির সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে কারামুক্ত হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানি। এমনই জইশের ১২জন, লস্কর-ই-তৈবার ৪জন, হিজবুত তাহিরির ১৫জন, আনসারুল বাংলা টিমের ১৮জন, আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের ৪জন, আল হিকমার ১২জন, জেএমবির ২৮জন, হুজির ২২জন জঙ্গি মুক্তি পেয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এইসব জঙ্গি সংগঠনের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদত রয়েছে। এরপরও কি তৌহিদ হোসেন বলবেন, বাংলাদেশে মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলা হচ্ছে?
শুধু রাষ্ট্রসঙ্ঘ কেন, আপনারা ভারত বিরোধিতার মিথ্যাচারের ঝুলি নিয়ে এই দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তে যান না কেন ফিরতে হবে শূন্য হাতেই। কারণ, আপনারা মাত্র চার মাসেই নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা খুইয়েছেন। মৌলবাদের প্রতি নমনীয়তা আর পাকিস্তান প্রেম ইউনুস সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছে। দুনিয়ার কাছে এই মুখ দেখাবেন কী করে?
ভুলে যাবেন না, আগুন নিয়ে খেললে, একসময় সেই আগুনেই পুড়ে মরতে হয়!
05th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

07th  December, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
একনজরে
রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

ছ’ মাস ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি, আর বাকি ছ’ মাস সেই টাকায় সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণ। তবে নেহাত শখে নয়, বিশ্বশান্তির বার্তা দিতেই সেই ভ্রমণ। দুর্গাপুরের এ জোনে সেকেন্ডারি মোড়ে গেলে দেখা যাবে শ্যামাপদ শর্মার গরম ঘুগনির দোকান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM