Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের কেউ কেউ সপ্তর্ষি মণ্ডলের নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল। তাঁরা সেভাবেই আমাদের পথনির্দেশ করে চলেছেন। ভগবান বিরসা মুন্ডা এই উজ্জ্বল নক্ষত্রমণ্ডলেরই অন্যতম, যিনি জাতির পথকে আলোকিত করে রেখেছেন।
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের এই আদর্শ ব্যক্তিত্বের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী জাতি সারাবছর ধরে উদযাপন করতে চলেছে। এই শুভক্ষণে তাঁর পবিত্র স্মৃতির উদ্দেশে আমার সকৃতজ্ঞ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। শৈশবে ভগবান বিরসা মুন্ডার অনেক কিংবদন্তি কাহিনি শুনেছি। আমাদের এই উত্তরাধিকারের জন্য আমি এবং আমার বন্ধুরা খুবই গর্বিত বোধ করতাম। এখানে আমি সেই কথা স্মরণ করি।
আজকের ঝাড়খণ্ডে উলিহাতু নামে যে জায়গাটি, ভগবান বিরসা সেখানকার ছেলে। মাত্র ২৫ বছরের ছোট্ট জীবনে ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ইংরেজ শাসক এবং স্থানীয় ভূস্বামীরা জনজাতিগুলিকে শোষণ করছিল। দখল করে নিচ্ছিল তাদের জমিজমা। এছাড়াও অত্যাচার চলত নানাভাবে। ভগবান বিরসা এই সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষের অধিকার ফেরানোর জন্য সংগঠিত লড়াই-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিলেন তিনি। ১৮৯০-এর দশকের শেষের দিক তখন। ‘ধরতি আবা’ বা ‘পৃথিবীর পিতা’ নামে পরিচিত ভগবান বিরসা ব্রিটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ‘উলগুলান’ বা মুন্ডা বিদ্রোহ সংগঠিত করেন।
উলগুলানের গুরুত্ব একটি সাধারণ বিদ্রোহের চেয়ে অবশ্যই অনেক বেশি। সেটি ছিল ন্যায়বিচার এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়—এই দুটিরই জন্য লড়াই। ভগবান বিরসা মুন্ডার বিচক্ষণ চিন্তা—একদিকে, অন্যের হস্তক্ষেপ ছাড়াই আদিবাসীদের জমির মালিকানা ও চাষের অধিকার এবং অন্যদিকে, উপজাতীয় রীতিনীতি ও সামাজিক মূল্যবোধের গুরুত্বকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছিল। মহাত্মা গান্ধীর মতোই, তাঁর সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছিল ন্যায় ও সত্যের সন্ধানে।
তিনি আবেগতাড়িত হয়েই অসুস্থ মানুষের সেবা শুশ্রূষা করতেন। তিনি একজন নিরাময়কারী হিসেবে প্রশিক্ষিত ছিলেন। একের পর এক ঘটনা থেকে মানুষের মনেও এই বিশ্বাস গড়ে উঠেছিল যে, শুধুমাত্র ছুঁয়েই নিরাময় করার ক্ষমতা ভগবান তাঁকে দিয়েছেন। অসুস্থ যে কাউকেই তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলতেন। তিনি আরও বলতেন, ‘আমার কাছে আনা যদি নিতান্তই অসম্ভব হয়, তবে সেই অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাব আমি নিজেই।’ তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে অসুস্থ মানুষজনকে কাছে ডেকে নিতেন। তাঁর দক্ষতা ও নিরাময় স্পর্শ দিয়ে, এইভাবে অসংখ্য মানুষকে তিনি সুস্থ করে তুলেছেন।
ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহান বিপ্লবীদের ইতিহাসে তাঁর আত্মত্যাগের কাহিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁদের সংগ্রাম এই ভূখণ্ডের অনন্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, যেখানে কোনও সম্প্রদায়ই মূলধারা থেকে আলাদা নয়। যে বনবাসীরা আজ তফসিলি জনজাতিভুক্ত, তাঁরা সবসময় সমগ্র জাতির অংশ।
একটা সময় পর্যন্ত ভগবান বিরসা মুন্ডা এবং অন্যরা ছিলেন ইতিহাসের ‘অখ্যাত নায়কদের’ অন্যতম। তবে সাম্প্রতিককালে তাঁদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য প্রশংসিত হচ্ছে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সময়ে ভারতের সংস্কৃতি এবং কৃতিত্বের গৌরবময় ইতিহাস আমরা উদযাপন করেছি। যেসব মহান দেশপ্রেমিক এতদিন স্বল্প পরিচিত ছিলেন, এই মহোৎসব তাঁদের বীরগাথা সম্পর্কে সব মানুষকে, বিশেষ করে তরুণদের আরও জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান স্মরণে সরকার ২০২১ সালে ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করার কথা ঘোষণা করে। এই উপলক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর দিনটিকে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিহাসের সঙ্গে এই নয়া সম্পর্কস্থাপন আমাদের প্রাণিত করে। ভগবান বিরসা মুন্ডার উত্তরাধিকারের স্মৃতিচারণ আদিবাসীদের দীর্ঘ উপেক্ষিত ইতিহাসকে ভারতের ইতিহাসের কেন্দ্রে তুলে এনেছে।
এই ইতিহাসগুলি আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ এগুলিই আধুনিক বিশ্বকে শেখায় প্রকৃতির সঙ্গে সংহতি রেখে জীবনযাপন এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। মনে আছে, সামান্য শুকনো জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য ছোটবেলায় আমার বাবাকে ক্ষমা চাইতে দেখেছি। অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়ে সমষ্টিগত কল্যাণের জন্য অনেক বেশি কাজ করেই আদিবাসী সমাজগুলি খুশি থাকে।
মানবজাতির উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আদিবাসী সমাজের এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যটিকে লালন করা দরকার। ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোয় জনজাতিগুলির গুরুত্বকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে গত দশকে সরকার যে বৃহত্তর প্রচেষ্টার সূচনা করেছিল তার পিছনে যথার্থ কারণ ছিল এটাই। স্লোগানের ঊর্ধ্বে, প্রকৃত জনকল্যাণকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার একগুচ্ছ কর্মসূচি ও প্রকল্প ঘোষণা করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন এবং কল্যাণে আরও সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গতমাসে চালু হয়েছে ‘ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’। এতে প্রায় ৬৩ হাজার আদিবাসী গ্রামের সামাজিক পরিকাঠামোগত ফাঁকফোকরগুলি পূরণ হবে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান (পিএম-জনমন)-এর দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের উপর। এর উদ্দেশ্য, কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলিকে আরও অর্থবহ করে তোলা।
আমি বিশ্বাস করি, তফসিলি জনজাতিগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করাটাই ভগবান বিরসা মুন্ডা এবং আদিবাসী এলাকার অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি জাতির তরফে প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আমার জন্য অত্যন্ত তৃপ্তির বিষয় এই যে রাষ্ট্রপতি ভবনও এসটি সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনোর জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন মিউজিয়ামে ‘জনজাতি দর্পণ’ নামক একটি গ্যালারি উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। দেশ গঠনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অসামান্য অবদানের এক ঝলক খুঁজে পাওয়া যায় এই সমৃদ্ধ শিল্প ও সংস্কৃতির নমুনাগুলির মধ্যে। জনজাতির কল্যাণে উন্নততর সম্পদ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করার সুযোগ আমার হয়েছিল গত আগস্টে অনুষ্ঠিত রাজ্যপালদের সম্মেলনে।
বিশেষভাবে দুর্বল জনজাতি গোষ্ঠীগুলি (পিভিটিজি) থেকে ৭৫ জন প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রপতি ভবন পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার যে সুযোগ আমার হয়েছিল সেটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। তাঁদের অনেক সুখ-দুঃখের কথা তাঁরা আমার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। আমার গর্বের একটি কৃতিত্ব যদি থাকে, তা হল—সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আমার অধিষ্ঠান—এই পদে আমার মধ্যে আদিবাসী ভাই ও বোনেরা আমাদের সকলের জন্য একটি অভূতপূর্ব স্বীকৃতি দেখে থাকেন।
ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আনন্দ আমি নিশ্চিত যে আমরা সকলেই ভাগ করে নেব। আমি বিশ্বাস করি, ভগবান বিরসা মুন্ডার আদর্শগুলি শুধুমাত্র আদিবাসীদের নয়, বরং দেশের প্রতিটি অংশের সমস্ত সম্প্রদায়ের যুবদের জন্য গর্বের এবং অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর আকাঙ্ক্ষা ছিল—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদার। এই আকাঙ্ক্ষাগুলি তো প্রতিটি তরুণেরও।
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
একনজরে
তোষাখানা সংক্রান্ত দ্বিতীয় মামলায় খালাস চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বিশেষ আদালতের বিচারক শাহুরুখ অর্জুমান্দ। ...

চুক্তি হয়েছিল, খুন করলেই মিলবে লাখ টাকা। তবে, বেশি সময় নেওয়া যাবে না। তিনদিনের মধ্যে নিকেষ করতে হবে আনন্দ সরকারকে। বরাত পাওয়ার একদিনের মধ্যেই কাজ ...

আবারও সেই যোগীরাজ্য। এবার চলন্ত ট্রেনে স্বামীর সামনে শ্লীলতাহানির শিকার নববধূ। তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন অন্য যাত্রীরা। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বামীর সঙ্গে দিল্লি থেকে আলিগড়ে শ্বশুড়বাড়িতে যাচ্ছিলেন ২২ ...

দেশজুড়ে যাত্রীবাহী গাড়ির বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে। তবে দু’চাকা গাড়ি বিক্রির হার যথেষ্ট ভালো। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের সঙ্গে চলতি বছরের অক্টোবরের গাড়ি বিক্রির তুল্যমূল্য ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬২১: উত্তর ভারতের কাংড়া দুর্গ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের দখলে আসে
১৭৯১: আমেরিকায় প্রথম ক্যাথলিক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৯৫: লিয়েবে দিযেফের উদ্যোগে বাংলার প্রথম মঞ্চনাটক ‘ছদ্মবেশী’ মঞ্চস্থ হয়
১৬৩০: জার্মান জ্যোতির্বিদ তথা গণিতজ্ঞ জোহানেস কেপলারের মৃত্যু
১৮৩০: প্রথম ভারতীয় হিসেবে রাজা রামমোহন রায় ইংল্যান্ড যাত্রা করেন
১৮৩৭: আইজাক পিটম্যানের শর্টহ্যান্ড পদ্ধতি প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৫৬: প্রথম শবব্যবচ্ছেদকারী বাঙালি চিকিৎসক মধুসূদন গুপ্তের মৃত্যু
১৮৫৯: গ্রিসের এথেন্সে আধুনিক ওলিম্পিকসের সূচনা
১৮৭৫: ভারতের রাঁচি অঞ্চলের মুন্ডা আদিবাসী ও সমাজ সংস্কারক বিরসা মুন্ডার জন্ম
১৯০৪: জিলেট ব্লেড প্যাটেন্ট করেন সি জিলেট
১৯১৩: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার লাভ
১৯২৪: কলকাতা কর্পোরেশনের মুখপত্র মিউনিসিপ্যাল গেজেটের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়
১৯৪৯: মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার দায়ে ফাঁসি হল নাথুরাম গডসে এবং নারায়ণ আপ্তের
১৯৮২: মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম অনুগামী তথা ভারতের জাতীয় শিক্ষক বিনায়ক নরহরি ভাবের মৃত্যু
১৯৮৬: টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীত শিল্পী শ্যামল মিত্রের মৃত্যু
২০০০: পৃথক রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেল ঝাড়খণ্ড
২০০১ - শ্রীস্বপন কুমার, শ্রীভৃগু, ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত গোয়েন্দা কাহিনীকার, জ্যোতিষী ও ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের মৃত্যু
২০০৭: ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, মৃত ৫ হাজার, ধ্বংস হয় সুন্দরবনের একাংশ 
২০২০: কিংবদন্তি চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা তথা আবৃত্তিকার  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৮ টাকা ৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৭ টাকা ১০৯.০১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৪ টাকা ৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্দশী ১৬/৮ দিবা ৬/২০ পরে পূর্ণিমা ৫২/৪৫ রাত্রি ২/৫৯। ভরনী নক্ষত্র ৪০/৫ রাত্রি ৯/৫৫। সূর্যোদয় ৫/৫৩/১৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৭/২১ গতে ৯/৩২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/১৭ মধ্যে পুনঃ ৪/১০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৭ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে। 
২৯ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪। পূর্ণিমা রাত্রি ৩/৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৪/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪২ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ৩/২৯ মধ্যে ও ৪/২৩ গতে ৫/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৮ গতে ১১/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শালিমার স্টেশনে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ
মুম্বই ফেরার জন্য শালিমার স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে ...বিশদ

14-11-2024 - 12:35:02 AM

দেব দীপাবলি পালনের জন্য আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে হরিদ্বারের হর কি পৌরি

14-11-2024 - 10:58:00 PM

দেব দীপাবলি পালনের জন্য আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ঘাটগুলি

14-11-2024 - 09:59:06 PM

নাগপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান

14-11-2024 - 09:34:00 PM

বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

14-11-2024 - 09:21:00 PM

পুনেতে জনসভা করছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে

14-11-2024 - 08:43:00 PM