Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

চমকের রাজনীতি
বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। কিন্তু চমকে চমকে সাধারণ ভারতবাসীর শেষমেশ পিলে চমকে যাওয়ারই অবস্থা হয়েছে কেবল, সুরাহা জোটেনি কিছুই। এজন্য যে জবাব প্রত্যাশিত ছিল সেটাই দেশবাসী দিয়েছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভায় বিজেপি আর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, একচ্ছত্র আধিপত্য এবং দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রদর্শনে অভ্যস্ত মোদি এখন একটি দুর্বল জোট সরকারের নেতা মাত্র! তবু চমকের রাস্তা থেকে সরেনি বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যে অনুষ্ঠেয় ৬ আসনের বিধানসভা উপ নির্বাচনেও তারা চমক দিয়েছে সবার আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। চমক বলতে অবশ্য ওইটুকুই। স্থানীয় প্রার্থীদের নাম, ধার-ভার ইত্যাদি যারপর নাই ম্যাড়মেড়ে। 
এবারের লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে হটিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে ‘গ্যারাজ’ করা হয়েছিল। অন্যদিকে মেদিনীপুর আসনটি ‘উপহার’ দেওয়া হয়েছিল আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে। ফল যা হওয়ার হয়েছিল সেটাই—দুই আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের গোহারা করেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের বদ্ধমূল ধারণা, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও এমপি গোষ্ঠী রাজনীতির শিকার। অথচ তাঁরই নেতৃত্বে বিজেপির আসল উত্থান হয়েছিল এ রাজ্যে। তাই মরা গাঙে ফের বান আনতে দলের অনেকেই দিলীপ ঘোষকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি এবং রাজ্য বিধানসভায় চান। কিন্তু এবারও হতাশ করা হয়েছে তাঁকে এবং বঙ্গ বিজেপির শুভানুধ্যায়ীদের। উপ নির্বাচনে তাঁর নাম বিবেচিত হয়নি। গেরুয়া চমকের এও একটি রকম বইকি!
বিজেপি প্রার্থী সিতাই কেন্দ্রে দীপককুমার রায়, মাদারিহাটে রাহুল লোহার, নৈহাটিতে রূপক মিত্র, হাড়োয়ায় বিমল দাস, মেদিনীপুরে শুভজিৎ রায় এবং তালড্যাংরায় অনন্যা রায় চক্রবর্তী। এই ৬ আসনের বিধায়করা গত লোকসভা ভোটে জিতেছেন। তবে তাঁদের মধ্যে বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে সম্প্রতি। হাড়োয়ার বিধায়ক পদ ছেড়েই তিনি এমপি হন। যেসব আসনে উপ নির্বাচন হবে তার মধ্যে বিজেপি ২০২১ সালে জিতেছিল একটিতে। দলের আরও কয়েকজন বিধায়ক লোকসভার ভোটে লড়লেও জয় পান একমাত্র মনোজ টিগ্গা। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ এমপি হওয়ায় ওই আসনে ভোট নেওয়া হবে। এছাড়া কোচবিহারে সিতাই আসন ছেড়ে তৃণমূলের এমপি এখন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বিজেপির অর্জুন সিংকে হারিয়ে এখন বারাকপুরের এমপি। মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়ায় শূন্যতার কারণ যথাক্রমে জুন মালিয়া এবং অরূপ চক্রবর্তীর লোকসভায় প্রবেশাধিকার লাভ। 

নিছক কৌশলের রাজনীতি
অধীর চৌধুরী মনে-প্রাণে চেয়েছিলেন বলে শোনা যায়। তবু তাঁর পুরনো মিত্র সিপিএমের সঙ্গে শেষমেশ নির্বাচনী জোট হল না। উপ নির্বাচনের ৬ আসনেই শেষমেশ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস—কোচবিহার জেলার সিতাইয়ে হরিহর রায় সিংহ, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে বিকাশ চম্প্রমারি, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে পরেশনাথ সরকার ও হাড়োয়ায় হাবিব রেজা চৌধুরী, মেদিনীপুরে শ্যামলকুমার ঘোষ এবং বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় তুষারকান্তি সন্নিগ্রাহী। ২০১২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে একাধিক নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেস জোট করেই ভোটে লড়েছে। অনেকদিন বাদে কংগ্রেসকে পুরনো চেহারায় ফিরে পেলেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। 
প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে দলের ‘শক্তি-যাচাই ও শক্তি-বৃদ্ধি’র কথা বলেছিলেন শুভঙ্কর সরকার। সেইমতোই এবারের উপ নির্বাচনে জেলা নেতাদের সম্মতিতে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধানভবন। গত কয়েকটি নির্বাচনে কংগ্রেসই আগ বাড়িয়ে বামেদের (পড়ুন, সিপিএমের) সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু  এবার সিপিএমকে আদৌ পাত্তা দেয়নি তারা। 
অন্যদিকে, রাজ্য বিধানসভায় এবং বাংলা থেকে লোকসভায় সিপিএম জাস্ট নোহোয়ার হয়ে গিয়ে এতটাই দিশেহারা যে, যার-তার-সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে মরিয়া ছিল। অথচ এই মারাত্মক মাতব্বর পার্টিই ক্ষমতায় থাকাকালে বামফ্রন্টকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে এসেছে। তারা এটাই প্রমাণ করে ছেড়েছিল যে লেফট ফ্রন্ট ইজ ইকোয়াল টু সিপিএম। ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআইয়ের মতো একদা গুরুত্বপূর্ণ বাম দলের সঙ্গে জ্যোতি বসুরা মনিবের মতোই ব্যবহার করেছেন। এসইউসি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন প্রভৃতি আন্তরিক থেকেও বামফ্রন্টের বৃত্তে টিকতে কিংবা ঢুকতেই পারেনি। কিন্তু মাটির চরিত্র না বুঝে বেশি দাপাদাপি করলে যে হাতিকেও কাদায় পড়তে হয়! কাদাজলে হাবুডুবু খাওয়া হাতিরই দশা আলিমুদ্দিনের মাতব্বরদের। ফ্রন্ট শরিকরা আর সিপিএমের মন্দিরে পুজো চড়াতে যায় না। কংগ্রেসের কনুইয়ের গুঁতো খাওয়ার পরই সিপিআই (এমএল) লিবারেশনকে একটি আসনে লড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। নৈহাটি থেকে সিপিএমের সমর্থনে লড়বেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের পার্টির প্রতিনিধি দেবজ্যোতি মজুমদার। আর নৌশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ’কে ছাড়া হয়েছে হাড়োয়া আসনটি—লড়বেন পিয়ারুল ইসলাম। সব মিলিয়ে এই ভোটে ৬ কেন্দ্রেই চতুর্মুখী লড়াই অনিবার্য। লোকসভা ভোটে জিততে পারলে এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ধরে রাখতে পারলে এবারের লড়াইয়ে সিপিএমকে কোনোভাবেই হতাশ করত না রাহুল গান্ধীর দল।  

মানুষের রাজনীতি
চমক এবং কৌশলের রাজনীতিতে, অন্তত বাংলার মানুষের কোনও আস্থা নেই। তবু চমকের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এখনও ব্যস্ত বিজেপি। জুমলা, কুৎসা, ঘৃণা, বিভাজন এবং উগ্র হিন্দুত্ব—পাবলিক এগুলির কতটা কখন খায়, শুধু তার আঁক কষে গিয়েছেন সঙ্ঘের সম্পদরা। লোকসভার ভোটই পরিষ্কার করে দিয়েছে, একদম ভোঁতা হয়ে গিয়েছে এই খেলার ধার। অথচ দু-দু’বার কেন্দ্রীয় ক্ষমতার জোরে শ্যামাপ্রসাদের বাংলার মানুষের জন্য বহুকিছু করে দেখানোর সুযোগ বিজেপির হাতে ছিলই। কিন্তু তারা সেই সহজ সুন্দর পথ পরিহার করেছে সযত্নে। 
অন্যদিকে, অতিচালাকের গলায় দড়ি অবস্থা লালপার্টির। সাড়ে তিন দশক রাইটার্সে থেকে গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য বামেরা বহু ভালো কাজ করতে পারত। দলবাজি, ঘোঁটবাজিতে অগ্রাধিকার এতটাই দিয়েছিল যে, আশুকর্তব্য কোনোটাই তারা সময়ে করেনি। বিশেষ করে রাজনীতি এবং প্রশাসনে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ভাবেইনি তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বস্তুত প্ল্যান করে বামেদের সেই ঘাটতি পূরণ করে চলেছেন। কিন্তু কোন জ্বালা থেকে কী জানি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেইসমস্ত প্রশংসনীয় কাজের সবচেয়ে বড় বিরোধী ও সমালোচক হয়ে উঠল সিপিএম! ব্যাপারটা এরকমই দাঁড়ায় যে, রাম-বাম যেন গোপন শলা করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে পড়ে আছে। ফলে মানুষের জন্য রাজনীতি থেকে ক্রমে দূরবর্তী হয়েছে তারা। 
এমনই আবহে, দেরিতেই সুচিন্তিত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসক শিবির। উপ নির্বাচনে তৃণমূলের তালিকা এইরকম—নৈহাটিতে সনৎ দে, হাড়োয়ায় শেখ রবিউল ইসলাম, মেদিনীপুরে সুজয় হাজরা, তালড্যাংরায় ফাল্গুনী সিংহবাবু, মাদারিহাটে জয়প্রকাশ টোপ্পো এবং সিতাইয়ে সঙ্গীতা রায়। আলোচ্যমান আসনগুলির মধ্যে একমাত্র মাদারিহাট বিজেপির দখলে। বাকি ৫ কেন্দ্রই তৃণমূলের গড়। এই ভোটে এগুলি পুনরুদ্ধারের সঙ্গে মাদারিহাট বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়াই তৃণমূলের লক্ষ্য। লোকসভা নির্বাচনের পর পরই, গত জুলাই মাসে রাজ্যে ৪ আসনের উপ নির্বাচনে (মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ) সবক’টিতেই জয় হাসিল করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। লোকসভা ভোটেও বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমকে একহাতে জব্দ করেছে তৃণমূল। বিজেপি ১৮ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ডজনে। অন্যদিকে, ‘বিগ জিরো’ সিপিএম! সিপিএমের জিগরি দোস্ত অধীর চৌধুরীকে অর্ধচন্দ্রই দিয়েছেন বহরমপুরের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণ। একটিমাত্র আসনে জিতে (মালদহ দক্ষিণে ইশা খান চৌধুরী) কোনোক্রমে শূন্যতার বিষাদ কাটিয়েছে কংগ্রেস। 
তবে তারপর রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হয়েছে একাধিক ইস্যুতে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আর জি কর কাণ্ড। সন্দেশখালি থেকে আর জি কর—একের পর এক মর্মান্তিক ইস্যুতে মানুষ শুধু ন্যায়বিচার চেয়েছে, সংকীর্ণ রাজনীতি চায়নি। কিন্তু ‘নাগরিক আন্দোলনের’ আড়ালে রাম-বাম মানিক জোড়ের ক্ষমতার দাঁত-নখ কতটা সক্রিয়, তা ফাঁস হতে দেরি হয়নি। ফলে আর জি কর কাণ্ড থেকে ডিভিডেন্ড লাভ দূরে থাক, ইস্যুটা ব্যুমেরাং হওয়ার অবস্থা। দুই ধান্দাবাজই হাল ছেড়ে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তাই এই উপ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসি চওড়া না-হওয়ার কোনও কারণ গ্রাহ্য নয়। পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা প্রভৃতি পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলিতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ স্থান দখলের যে প্রতিযোগিতা ছিল—এই ভোটে সেটাও বোধহয় থাকছে না। কারণ একের নীচে সবাই সম্ভবত ‘শূন্য’ হওয়ার জন্যই মানসিকভাবে তৈরি থাকছে।  
ধর্ষণ ও লাশের রাজনীতি এই ধান্দাবাজদের বোঝা আর বইতে পারছে না। বহরে ছোট হলেও, এই উপ নির্বাচন আগামীর জন্য অনেক ইঙ্গিতই রেখে যাবে। এই ভোটের তাৎপর্য এটাই। স্বামী বিবেকানন্দ দাগ রেখে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন। কথার মর্মার্থ বুঝতে পারেনি সিপিএম—তারা গুলিয়ে ফেলেছিল কলঙ্কের সঙ্গে। সাতদফায় ৩৪ বছর ধরে যেসব দাগ রেখেছে লালপার্টি, তার বেশিরভাগটাই কলঙ্কদাগ মাত্র। বাংলায় লাল জমানার কলঙ্কদাগ মুছতে হয়তো আরও একাধিক দশক মেহনত করতে হবে মেহনতি মানুষের পার্টিকে। আর বিজেপি? তারা যে বাংলা-বিরোধী নয়, এটাই প্রমাণ করতে গলদঘর্ম হবে। ততদিনে পেরিয়ে যাবে ২০২৬!
06th  November, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
একনজরে
গোলাপি বলের টেস্টের পয়লা দিনেই চাপে ভারত। পারথে ২৯৫ রানে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে চেনা আগ্রাসী মেজাজে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের টেস্ট কেরিয়ারের সেরা বোলিং ১৮০ রানে ...

ফুড সেফটি লাইসেন্স ছাড়াই চলছে একাধিক খাবারের দোকান। খাবার তৈরি থেকে খাবার রাখা— ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। আসানসোল বাস স্ট্যান্ডের হোটেলগুলির নেই প্রয়োজনীয় লা‌ই঩সেন্স। ...

ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেতে চলেছেন চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেট। শুক্রবার আন্তর্জাতিক জুরির প্রধান তথা নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রাক্তন উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন শুক্রবার এই পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করেন। ...

আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আয়ূষ সেন্টার খুলে সরকার পরিষেবা দিচ্ছে। এবার রাজ্যজুড়ে আয়ূষের সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মরশুমি রোগের ভোগান্তিতে স্বাস্থ্যহানির যোগ প্রবল। কাজকর্মে কিছুটা আলস্য ভাব আসতে পারে। বিদ্যায় উন্নতির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ দিবস
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবস
১৭৮২: মহীশূরের রাজা হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন টিপু সুলতান
১৭৮২: মহীশুরের বীর যোদ্ধা হায়দার আলীর মৃত্যু
১৮৫৬: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান হয়
১৮৭২: বাংলায় প্রথম নাট্যশালা ন্যাশনাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পণ নাটক মঞ্চস্থ হয়
১৮৭৯: বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের জন্ম
১৮৮৯: পৃথিবীর প্রথম অটোমোবাইল তৈরি হয়
১৯১৫: ভারতে প্রথম মানব হৃদয় ট্রান্সপ্লান্টের শল্যচিকিৎসক  প্রফুল্লকুমার সেনের জন্ম
১৯৩৩: সাহিত্যিক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ওরফে শঙ্করের জন্ম
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপান কর্তৃক পার্ল হারবার আক্রমণ   ১৯৫৪: বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়ালের জন্ম     
১৯৭০: অভিনেতা-কমেডিয়ান আলি আজগারের জন্ম
১৯৭১: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় করাচি বন্দরে হানা দিল ভারতীয় নৌবাহিনী
১৯৮৪: বিশিষ্ট সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তর সম্পাদনায় বর্তমান পত্রিকার প্রকাশনা শুরু
১৯৯১: রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং স্বাধীন রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কমনওয়েলথ গঠন করলেন
২০০৯: বাগদাদে বোমা হামলায় নিহত ১২৭ এবং আহত ৪৪৮ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৩ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.১২ টাকা ১০৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১২/২৮ দিবা ১১/৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৬/৪৮ সন্ধ্যা ৪/৫১। সূর্যোদয় ৬/৮/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৮/৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ৯/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ 
৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৮ গতে ২/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৮ গতে উদয়াবধি। 
২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ৯/২০। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ৯/৫২ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩১ গতে ৪/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৯ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৪/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৪/২৯ গতে ৬/১০ মধ্যে।
৪ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: বিদ্যায় উন্নতির যোগ। বৃষ: কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতির সম্ভাবনা। মিথুন: পারিপার্শ্বিক জটিলতার কারণে মানসিক ...বিশদ

10:35:47 AM

শনিবার কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
বঙ্গোপসাগর থেকে আসা পুবালি বাতাস নিষ্ক্রিয় হতেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গত ...বিশদ

10:34:09 AM

বারাণসীর সরবেদ মহামন্দিরে পুজো দিলেন যোগী আদিত্যনাথ

10:34:00 AM

উলুবেড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, চাঞ্চল্য

10:28:00 AM

৫৬ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

10:23:00 AM

পরশু বাংলাদেশে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় থেকে শুরু করে ...বিশদ

10:15:14 AM