Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। অন্য কোনও গান থাকলে শোনান।’ তখন সলিলের কাছে নতুন কোনও গান নেই। তাই বললেন, ‘এখন নতুন কোনও গান নেই। পরে তাহলে আপনাকে কয়েকটা গান শুনিয়ে যাব।’ একথা বলে সলিল বেরিয়ে এলেন। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে তাঁর মাথায় একটা বুদ্ধি এল। পকেটে লেখা নতুন কবিতার অর্ধেক লেখা ছিল। ফিরে গিয়ে হেমন্তকে বললেন সেই কথা। হেমন্ত বললেন, ‘শোনান’। সেই অর্ধেক কবিতা শুনে হেমন্ত বললেন, ‘হ্যাঁ এটা চলতে পারে। গানটা সম্পূর্ণ করে নিয়ে আসুন।’ সেই গান সম্পূর্ণ হল। হেমন্ত রেকর্ড করলেন আর সেই গান নিমেষে জনপ্রিয় হয়ে উঠল। আজও বাঙালি সেই গান তন্ময় হয়ে শোনে। ‘কোনও এক গাঁয়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোনো...’।  আজও কোথাও বেজে উঠলে পথ চলতি মানুষ থমকে দাঁড়িয়ে কান পেতে শোনেন সেই মরমী, অবিস্মরণীয় গান। 
সলিল চৌধুরী মানে বাংলা গানের এক আইকন। যিনি রবীন্দ্র-নজরুল-দ্বিজেন্দ্রলাল-রজনীকান্ত-অতুলপ্রসাদের পরবর্তী সময়ে বাংলা আধুনিক গানে এক নতুন জগৎ তৈরি করলেন। বলা হয় যেখানে শেষ করেছিলেন পঞ্চকবি, সেখান থেকেই যেন নতুন আলোকবর্তিকা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন গানের ‘রানার’ সলিল চৌধুরী। শচীন দেব বর্মন কিংবা পঙ্কজ মল্লিকের সঙ্গীত বৃত্তের বাইরে গিয়ে তিনি তৈরি করলেন নতুন গানের সরণি। গানের কথায় এবং সুরে তিনি নবযুগ ও জীবনের তৃষ্ণাকে নিবারিত করেছিলেন। রাজনৈতিক গান থেকে শুরু করে রোমান্সের সবুজ তৃণভূমি পেরিয়ে প্রেমের গানের এক মায়াজগৎ সৃষ্টি করেছিলেন। প্রতিটি গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে এক নিরুচ্চার দায়বদ্ধতা। বাংলা গানের সঙ্গে সঙ্গে মাতিয়ে দিলেন হিন্দি গানের শ্রোতাদেরও। আসমুদ্রহিমাচল দুলে উঠল তাঁর গানের মেলোডিতে। অথচ তাঁর প্রথম বোম্বাই যাত্রা ছিল একজন গল্পকার হিসাবে। 
সলিল চৌধুরীর গানের যে অভীযাত্রা, তার মূলে ছিল এক গভীর তাগিদ। সেই তাগিদ ছিল সমাজের প্রতি এবং একইসঙ্গে মানুষের প্রতি। এই দায়বদ্ধতা তাঁর ভিতরে সুপ্ত আকারে ছিল। সেটা প্রকাশ পেল গণনাট্য সঙ্ঘের সংস্পর্শে এসে।  ১৯৪৩ সালের ২৫ মে তৎকালীন বোম্বাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় গণনাট্য সঙ্ঘ। আসলে বিশ্বজুড়ে তখন হিটলার, মুসোলিনির ফ্যাসিস্ত আস্ফালন, সেই আন্দোলনের সঙ্গে  মিশে গেল স্বদেশ ভাবনা। পাশাপাশি বাংলায় দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা মিলে সে এক মহাসঙ্কটকাল। শিল্পী-সাহিত্যিকরা এই প্রেক্ষাপটে নতুন ধারার সৃষ্টিতে মেতে উঠলেন। সেই গান আর সংস্কৃতি চর্চায় মিশেছিল নতুন সমাজের শপথ। সেই আন্দোলনে জড়িয়ে গিয়েছিলেন বিজন ভট্টাচার্য, পৃথ্বীরাজ কাপুর, ঋত্বিক ঘটক, শম্ভু মিত্র, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, খাজা আহমেদ আব্বাস, সলিল চৌধুরী সহ আরও অনেকে। সলিল চৌধুরীকে চিনতে গেলে সময়ের এই পরতটুকুকে জানা দরকার। তা নাহলে ‘পথে এবার নামো সাথী’, ‘ও আলোর পথযাত্রী’, ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা’ গানগুলির আত্মাকে শ্রোতারা যথার্থভাবে স্পর্শ করতে পারবেন না। গত শতাব্দীর চারের দশকে তাঁর লেখা গানগুলিতে ছিল সমাজমনস্কতার অঙ্গীকার। কিন্তু একটু একটু করে মন ভাঙছিল, বুঝতে পারছিলেন, কমিউনিজমের ভিতরে একটা অহঙ্কারের বাষ্প জমে তা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তাঁর কয়েকটি গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল পার্টি। পার্টির ভিতরে ঢুকে পড়া বেনোজল দেখে আহত হলেন সলিল। মন তাঁর চাইছিল না আদর্শহীনতার সঙ্গে আপস করতে। ভিতরে ভিতরে মন বলছিল, ‘মানব না এ বন্ধনে’। ইচ্ছে করছিল বোম্বাই পাড়ি দেওয়ার। পরিচালক বিমল রায়ের ফোন পাওয়ার পর আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি। বিমল রায়কে গিয়ে তাঁর লেখা গল্প ‘রিক্সাওয়ালা’ শোনালেন। বিমল রায় ঠিক করলেন, এই গল্প অবলম্বনে ছবি বানাবেন। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় লিখে ফেললেন চিত্রনাট্য। তাঁকে সাহায্য করলেন সলিল। বিমল রায় ছবির নাম দিলেন ‘দো বিঘা জমিন’। সুরকার হিসাবে ভাবলেন অনিল বিশ্বাসের কথা। সেকথা শুনেই হৃষিকেশ বললেন, ‘এক কাজ করুন বিমলদা। গল্পটা তো সলিলের, ওকেই সুরের দায়িত্বটা দিন না। থিমটা ওর কাছে পরিষ্কার, তাই ওর সুর বাঁধতে সুবিধা হবে।’ 
কথাটা মনে ধরল বিমল রায়ের। ছবি রিলিজ করার পর মানুষের মুখে মুখে ফিরতে লাগল সেই গান। মান্না দের কণ্ঠে ‘ধরতি কহে পুকারকে’। লতা মঙ্গেশকর গাইলেন ‘আজা রে আ নিন্দিয়া’। গানগুলি সুপারহিট হল। মজার কথা হল, এই গানে তিনি নিজের পছন্দের অর্কেস্ট্রাইজেশন করতে পারলেন না। কিন্তু মন বলছিল অর্কেস্ট্রাইজেশন প্রথা ভেঙে নতুন করে বাঁধতে না পারলে কালজয়ী কিছু বোধহয় সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। এবার স্টেপ আউট করে ওভার বাউন্ডারি মারলেন। বিমল রায়ের ‘মধুমতী’র গানে সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন করে ফেললেন তামাম দেশবাসীকে। ‘সুহানা সফর’, ‘দিল তড়প তড়প কে’, ‘ঘড়ি ঘড়ি মেরা দিল ধড়কে’, ‘আজা রে পরদেশি’ গানগুলি আসমুদ্রহিমাচল আচ্ছন্ন করে ফেলল। একদিন মুম্বইয়ে কোনও এক স্টেশনের বাইরে শুনলেন এক ভিক্ষুকের কণ্ঠে ‘আজা রে পরদেশি’ গানটি। বুঝলেন, এটাই তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার। 
সলিল চৌধুরী আগামী ১৯ নভেম্বর শতবর্ষে পদার্পণ করবেন। বাবা জ্ঞানেন্দ্রময় চৌধুরী ছিলেন অসমের চা বাগানের ডাক্তার। তাঁর সংগ্রহে ছিল অনেক পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সংগ্রহ। ছেলেবেলায় সেই গান শুনে কান তৈরি হয়ে গিয়েছিল সলিলের। সেই সঙ্গে দেশের লোকসঙ্গীত এবং হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের নিবিড় মিলন ঘটল তাঁর মধ্যে। ধীরে ধীরে খুঁজে পেলেন আত্ম-উন্মোচনের পথ। সেই সময় তিনি যুগের প্রয়োজনে লিখতে শুরু করেন একের পর এক গণসঙ্গীত। সেই গানের মধ্য দিয়ে যেন জেগে উঠেছিলেন এক প্রতিবাদী নাগরিক কবিয়াল।  ‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে’, হেই সামালো ধান হো, কাস্তেটা দাও শান হো’ ইত্যাদি গানে ছিল বিশ্বায়নের স্বপ্ন। 
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এসে সলিল যেন নতুন পরশপাথরের সন্ধান পেলেন। একের পর এক অবিস্মরণীয় গান সৃষ্টি হল তাঁদের যুগলবন্দিতে। ‘রানার’, ‘পাল্কির গান’। এমনি কয়েকটা সুপারহিট গানের পর দু’জনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হল। স্বার্থান্বেষীরা মিথ্যা কথা ছড়িয়ে সেই দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা সার্থক হয়নি। তাই আবার দুই প্রতিভা কাছাকাছি আসে। নতুন করে সৃষ্টি হয় কয়েকটি অমর গানের। ‘পথে এবার নামো সাথী’, ‘ধিতং ধিতাং বোলে’, ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘দুরন্ত ঘূর্ণি’ সহ অজস্র গান আজও মানুষ তন্ময় হয়ে শোনেন। 
জীবনের লড়াইয়ের প্রথম পর্বে তাঁর পাশে ছিলেন জ্যোতি চৌধুরী। বাড়ির অমতেই জ্যোতি বিয়ে করেছিলেন গৃহশিক্ষক সলিলকে। বম্বেতেও সে ছিল এক কষ্টের জীবন, তবু কত আনন্দের! তখন বাড়িতে বিমল রায় আসছেন, আসছেন নবেন্দু ঘোষ, হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, গীতিকার শৈলেন্দ্র। গান লেখা হচ্ছে, সুর হচ্ছে, ছবি নিয়ে চলছে আলোচনা। আর সেই আড্ডায় চা এবং আমতেল দিয়ে মাখা মুড়ির জোগান দিয়ে চলেছেন জ্যোতি। বম্বেতে পরপর হিট হল ছবি। ‘বিরাজ বৌ’, ‘পরখ’, ‘ছায়া’, ‘কাবুলিওয়ালা’। সৃষ্টিসুখের সেই উল্লাসের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে এল অর্থ, খ্যাতি। আর সলিল তখন জ্যোতির পাশ থেকে চলে গেলেন সবিতা চৌধুরীর কাছে। জীবনের এই ভারসাম্যের রক্ষার মধ্যেও একইভাবে সৃষ্টিশীল থেকেছেন সলিল। সবিতা চৌধুরীর কণ্ঠে দিয়েছেন অজস্র হিট গান।  প্রত্যেক সঙ্গীত শিল্পী চাইতেন সলিলের গান গাইতে। কেননা সলিলের গান মানেই সুপারহিট।  
এমনই আব্দার করেছিলেন রাজেশ খান্নাও। ‘আনন্দ’ ছবিতে ‘জিন্দেগি, ক্যায়সি হ্যায় পহেলি’ গানটি ছিল ব্যাকগ্রাউন্ডে। সেটা জানতে পেরেই রাজেশ খান্না বললেন, ‘এ গানে আমি লিপ দেবই। এ গান কখনও ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকতে পারে না।’ এভাবেই সলিলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অজস্র ইতিহাস। কিছু তার লেখা আছে, কিছু এখনও লেখা হয়নি।
একবার শচীন দেববর্মন আক্ষেপ করে সলিলকে বলেছিলেন, ‘আমার পোলাডা কী যে সুর করে বুঝি না! আমার থিক্যা ও তোমারেই বেশি পছন্দ করে। তোমার চ্যালা হইসে। তোমার মতো হইতে চায়। তুমি ওরে একটু কও।’ সেকথা শুনে সলিল বলেছিলেন, ‘শচীনদা, পঞ্চমকে আটকাবেন না। ওকে ওর মতো হতে দিন। ওর গান একটা নতুন পথ খুঁজছে। ঠিক পেয়ে যাবে।’  রাহুল দেববর্মনকে ঠিক চিনতে পেরেছিলেন সলিল। 
বাংলা ও হিন্দি গানের সম্পদ বাড়িয়েছেন সলিল। নতুন প্রজন্ম ইউটিউবে সার্চ করে তাঁর গান শোনে। তাঁর সঙ্গীত যেন চিরকালীন। আজকের জগঝম্প মিউজিকের যুগে যখন হারিয়ে যাচ্ছে মেলোডি, গানের বাণীর মর্যাদা, তখন বারবার মানুষ সলিল চৌধুরীর গানে সঙ্গীতের লাবণ্যকে আকুলভাবে পেতে চাইবেন। সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাটুকুই যেন শতবর্ষের মুহূর্তে তাঁর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।
13th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
একনজরে
বিহারের কিষানগঞ্জের সাইবার গ্যাংয়ের জালিয়াতির শিকার উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তারা কয়েক হাজার শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছে। ...

২৬/১১ মুম্বই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন। ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর হুসেন রানা। পাকিস্তান-জাত কানাডার এই নাগরিক বর্তমানে আমেরিকার জেলে ...

ফাস্ট বোলারের স্বর্গরাজ্য! এভাবেই ক্রিকেট মহলে চিহ্নিত পারথ। আর তাই টেস্ট অভিষেকে ব্যাট করতে নামার সময় কিছুটা নার্ভাসই ছিলেন নীতীশ রেড্ডি। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী ...

নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যেও এখনও হিংসার আগুন নেভেনি মণিপুরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ৯০ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার রাতে এই খবর জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পশ্চিমবঙ্গ উপ নির্বাচন: তালডাংরায় বিপুল ভোটে জয়ী ফাল্গুনী সিংহবাবু
তালডাংরায় ৩৪ হাজার ৮২ ভোটে জয়ী তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী ...বিশদ

03:22:00 PM

ময়নাগুড়িতে আটক ২০টি টোটো
ময়নাগুড়িতে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে জাতীয় সড়ক দিয়ে চলছে টোটো। ...বিশদ

03:21:00 PM

প্রথম টেস্ট (দ্বিতীয় দিন): দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৭১/০, যশস্বী ৮৯ রানে ব্যাটিং এবং কে এল রাহুল ৬২ রানে ব্যাটিং, লিড ২১৭ রানের

03:13:00 PM

উপ নির্বাচনের ছয় আসনে জয়লাভের পর আসানসোলে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস

03:02:00 PM

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন: ৫৭ আসনে এগিয়ে ইন্ডিয়া, ২৩টিতে এগিয়ে এনডিএ, অন্যরা এগিয়ে ১ আসনে (মোট আসন ৮১)

03:02:00 PM

মাদারিহাটে বিজেপির পরাজয়ের পরই বিস্ফোরক জন বারলা
উপ নির্বাচনে মাদারিহাটেও পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। এরপরই ...বিশদ

02:43:00 PM