বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
নিয়ামক সংস্থা সংসদ ৬ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। আর তার ভিত্তিতে বুধবার মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি কলেজগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি তপন বেরা বলেন, একাধারে এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি এবং বেসরকারি কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজন করা হয়েছে। সেটা বেসরকারি কলেজ এবং পড়ুয়াদের পক্ষে অবমাননাকর। দ্বিতীয়ত, সর্বত্র পলিটেকনিক কলেজ না-থাকায় ৪০ থেকে ১০০ কিমি দূরে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। এটা তাঁদের মানসিক চাপ, শারীরিক ধকল তো বাড়াবেই, দরিদ্র পড়ুয়াদের উপর বাড়তি আর্থিক ভারও চাপাবে। সেই কারণে সংসদ যদি পুরনো পদ্ধতিতে অর্থাৎ, সব পড়ুয়াদের জন্যই হোম সেন্টারের ব্যবস্থা করে সেটাই সবচেয়ে ভালো। আর তা না-হলে অন্তত ১০ কিমির মধ্যে পরীক্ষার সেন্টার ফেলা হোক। সেক্ষেত্রে সরকারি স্কুল, কলেজ বা অন্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, সংসদের এক কর্তা বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি কলেজের বিরুদ্ধে নিজেদের পড়ুয়াদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আসছিল। স্বচ্ছতার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে কোনও অসাধু উপায় অবলম্বনের বাড়তি তাগিদ থাকে না। তাই সেগুলিকে হোম সেন্টারের ছাড় দেওয়া হয়েছে। সংসদের আধিকারিকদের একাংশের তরফে এই যুক্তি দেওয়া হলেও তা মানতে নারাজ বেসরকারি কলেজগুলি। তাদের যুক্তি, রীতিমতো ক্যামেরা নজরদারিতে পরীক্ষা হয়। তাই অসাধু উপায় অবলম্বনের সুযোগ থাকে না। আর বাইরের সেন্টারে পরীক্ষা ফেলতে হলে সবার ক্ষেত্রেই তা কার্যকর হোক। অন্তত ১০ কিমির মধ্যে পরীক্ষার সেন্টারের ব্যবস্থা করা হোক সবার জন্য।