দেওঘর ও রাঁচি: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে নাম না করে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার দেওঘর ও গোড্ডায় দু’টি জনসভা করেন তিনি। এদিন মোদি অভিযোগ করেন, তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছেন রাহুল। তবে রাহুলের নামোল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী। বদলে তাঁকে ‘কংগ্রেসের শাহজাদা’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন ‘অনুপ্রবেশ’ ইস্যুতে জেএমএমের নেতৃত্বাধীন শাসক জোটকেও আক্রমণ করতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী। মোদির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শাসক জোটের মদতেই অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যে প্রবেশ করছে। অন্যদিকে, বিজেপি ভুয়ো প্রচার চালিয়ে ঝাড়খণ্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এদিন এক্স হ্যান্ডলে হেমন্ত অভিযোগ করেন, জোট সরকার ও তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার চালানোর জন্য বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে গেরুয়া শিবির। এছাড়া ৯৫ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
এদিন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ছিল। তার মাঝেই হেমন্ত সোরেন এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আপনাদের কাছে একটা রিপোর্ট পেশ করতে চাই। গত ৩০ দিনে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে সমাজ মাধ্যমে ৭২ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। যদি আপনারা ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলিতে চোখ রাখেন, তাহলে দেখা যাবে, সেগুলির একমাত্র উদ্দেশ্য আমার ও রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করা আর ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে মানুষের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেওয়া।’ নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি হেমন্তের। কেন্দ্রীয় সরকারই অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ।