বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভা। প্রায় দেড় দশক পর সম্পত্তি কর পুনর্মূল্যায়ণের কাজ হতে চলেছে। রাজ্য মূল্যায়ণ পর্ষদ সে কাজ করবে। ইতিমধ্যে পুরসভার কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। পুর আধিকারিকদের বক্তব্য, নতুন করে স্থির হওয়া সম্পত্তিকর লাগু হলে আয় এক ধাপে অনেকটা বাড়বে। আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলবে।
উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার বহু রাস্তা খারাপ। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। নগোরন্নয়ণ দপ্তরের টাকায় এখন মূলত উন্নয়নের কাজ চলছে। পুরসভার নিজস্ব তহবিলের একটি বড় অংশ মাসের শেষে সূদ হিসেবে চলে যাচ্ছে ব্যাঙ্কে। পুরসভার ঘাড়ে বিপুল অঙ্কের দেনা। সে দেনা সিপিএমের আমলের বলে দাবি বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে সিপিএম আর তৃণমূলের তরজা চলছে। তবে পরিস্থিতি বেহাল কারণ হাতে টাকা নেই। ফলে নাগরিক পরিষেবার কাজ হচ্ছে না। কর্মীদের বেতনও সময়ে হচ্ছে না। এর আগে আয় বৃদ্ধি করতে পুর এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত সম্পত্তিগুলির ক্ষেত্রে নজর দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বিশেষত যে বাড়ি সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয় তার ট্যাক্স বৃদ্ধি, আবর্জনা সংগ্রহের জন্য কর আদায় হচ্ছিল। কিন্তু এসব সত্ত্বেও পরিস্থিতি কোনওভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে বক্তব্য আধিকারিকদের। তাই পুর দেড় দশক আগে হওয়া সম্পত্তি কর পূনর্মূল্যায়ণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর দমদম।
পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, এখন সম্পত্তি কর থেকে যা আয় হয় পুনর্মূল্যায়ণের পর তা কয়েকগুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা। গত ১৫ বছর ধরে বহু নতুন বাড়ি ও আবাসন তৈরি হয়েছে। এখনও বহু আবাসনের মিউটেশন হয়নি। কোথাও বাড়ির এক্সটেনশন হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীদের বদান্যতায় পূর্বেকার করই দিয়ে চলেছেন বাড়ির মালিক। কোথাও আবার বসত বাড়ি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু সে মোতাবেক কর মিলছে না। ফলে সঠিকভাবে মূল্যায়ণ হলে সম্পত্তি কর একলাফে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর পুর নাগরিকরা নিরপেক্ষ মূল্যায়ণের দাবি জানিয়েছেন। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন সম্পত্তি করের মূল্যায়ণ হয়নি। এবার নিয়ম মেনে তা করবে রাজ্য মূল্যায়ণ পর্ষদ। তার জন্য প্রশিক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে। মূল্যায়ণ হলে পুরসভার নিজস্ব আয় বাড়বে। আর্থিক সঙ্কট অনেকটাই কেটে যাবে।’