বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৩৪টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ট্যাব কেনার টাকা তছরুপ হয়েছে। ওইসব স্কুলে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির মোট ২৪২পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। প্রতারণার অঙ্ক প্রায় ২৪লক্ষ টাকা। বাংলার শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করে ছাত্রছাত্রীদের নাম ও অ্যাকাউন্ট নম্বর সরিয়ে প্রতারকরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করে দেয়। গত ৪অক্টোবর রাজ্যজুড়ে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে টাকা ছাড়া হয়। তাতে সাইবার হ্যাকারদের এন্ট্রি করা ভুয়ো উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টেও টাকা চলে যায়। এরাজ্যে ১১টি জেলায় এরকম ঘটনা সামনে এসেছে। তবে, পুজোর ছুটির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঘটনা সবার প্রথম জানাজানি হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রথমে চারটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক)।
সাইবার প্রতারকরা কীভাবে বাংলার শিক্ষা পোর্টালের অ্যাকসেস পেল সেটাই তদন্তের মূল বিষয়বস্তু হতে চলেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে লগইন ক্রেডেনশিয়াল থাকে। সেটি কীভাবে সাইবার প্রতারকদের কাছে পৌঁছে গেল জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস ইতিমধ্যে মালদহের ভগবানপুর কেবিএস স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক রকি শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। এই শিক্ষক অনেক স্কুলের লগইন সাইবার প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এরকম কোনও স্কুল থেকে লগইন সরবরাহ হয়েছে কি না খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৪২জন পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা তছরুপ হয়েছে। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ ভুয়ো অ্যাকাউন্ট চোপড়ার। কিছু ঝাড়খণ্ড এবং বিহারেরও আছে। একচেটিয়া ভুয়ো অ্যাকাউন্ট চোপড়ার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে খোলা। সেইসব অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্ক থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে তদন্তের ক্লু পায় পুলিস। সোমবার আইজি অনুপ জয়সওয়াল তমলুকে পুলিস সুপার অফিসে এসে ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্ত নিয়ে বৈঠক সারেন। ওই ঘটনার তদন্তের জন্য সাইবার বিশেষজ্ঞ অফিসারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। সোমবারই ওই টিম চোপড়ায় পৌঁছে যায়। মঙ্গলবার তিনজনকে পাকড়াও করা হয়। বুধবার তাদের জেলায় আনা হয়।
ধৃতদের সঙ্গে জামতাড়া গ্যাংয়ের কোনও যোগ আছে কি না এবং তাদের কেস হিস্ট্রি খোঁজার কাজও শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ধৃতদের জেলায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।