Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার। ফলে গেরুয়া ব্রিগেড যে এতে আঁশটে গন্ধ পাবে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তারা রাখেওনি। দাবি তাদের একটাই, সংবিধান থেকে এই দু’টিকে ছেঁটে ফেলতে হবে। তবে দাবিটা আনুষ্ঠানিক নয়। মানে, বিজেপি সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে এমন প্রস্তাব দিচ্ছে না, বা প্রবল আকারে এই ইস্যুতে প্রচারেও নেমে পড়ছে না। কারণ, দিনের শেষে তারাও একটি রাজনৈতিক দল। কয়েকটি নির্দিষ্ট এজেন্ডায় ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে। তাই তারা জানে, মানুষের পালসের বিরুদ্ধে গেলে ভোটে কাঁচি হতে বেশি সময় লাগবে না। আর মানুষের পালস কী? আম ভারতবাসী কিন্তু নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে ভাবতেই পছন্দ করে। আর সমাজতন্ত্র? ১০ জনের মধ্যে আটজনই হয়তো মানে বলতে পারবেন না, তা সত্ত্বেও সংবিধানের এই শব্দে তাঁদের ভয়ানক আস্থা। তাই সবটাই হবে ‘ব্যক্তিগত’ স্তরে। যেমন, বিজেপির এমপিরা বছর চারেক ধরে এই ইস্যুতে সংসদে প্রাইভেট মেম্বার বিল এনে চলেছেন। দলের ভাবটা এমন, কোনও এমপি ব্যক্তিগত মত জানাতেই পারেন। তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। দল তো আর সরকারিভাবে কিছু বলছে না! আসল লক্ষ্য হল, নিঃশব্দে একটা চাপ রেখে যাওয়া। এবং একটা প্রশ্ন বারবার চাপিয়ে যাওয়া, ‘সমাজতন্ত্র’ ধারণা কি আজকের ভারতে আদৌ খাপ খায়? 
প্রশ্ন যদি রাজনীতির অন্দরমহল থেকে উড়ে আসে, পাবলিক তেমন গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু যদি আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রধান স্তম্ভ এই প্রশ্ন তোলে? ভাবতে হবে বইকি! সম্প্রতি এই সংক্রান্ত দু’টি রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্ত সংবিধানের পক্ষে। অর্থাৎ, ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি ভারতের অন্তরের সঙ্গে মিশে রয়েছে। সংবিধান থেকে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। আর অন্য রায়টি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন নয় সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের। মামলাটি ছিল তিন দশকের। নিম্ন আদালত, হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চ ঘুরে দেশের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এসে পৌঁছেছিল। মূল প্রশ্নটা ছিল, ব্যক্তিগত যে কোনও সম্পদ কি চাইলেই রাষ্ট্র অধিকার করতে পারে? কেন এই মামলা নিয়ে এত টানাটানি? কারণ, সংবিধানের দু’টি ধারা এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল। ৩৯বি এবং ৩১সি। প্রথম ধারাটি ডায়রেক্টিভ প্রিন্সিপাল অব স্টেট পলিসি বা নির্দেশমূলক নীতির অন্তর্গত। এতে সাফ বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত মালিকানার পার্থিব সম্পত্তি যদি বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগে, তাহলে তার দখল রাষ্ট্র নিতে পারে। সাংবিধানিক ভাষায়, কমিউনিটির পার্থিব সম্পদ ভাগ হবে রাষ্ট্রের এবং সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে। সমাজতন্ত্রের প্রাথমিক ধারণা এক রেখে তাকে যদি বাস্তব রূপ দেওয়া যায়, তাহলে এর থেকে আলাদা কিছু হয় না। যাকে বলে সায়েন্টিফিক সোশ্যালিজম। সেটা অবশ্য কার্ল মার্ক্স আরও বড় আকারে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তাঁর ব্যাখ্যায়, সম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন মিলে এক একটা কমিউন গঠন করবেন। সেখানে ব্যক্তি সম্পদ বলে আলাদা কিছু থাকবে না। বরং তা ভাগ হবে কমিউনিটির সবার মধ্যে। এমন ধারণায় সরকারের প্রয়োজনীয়তাও ফিকে হয়ে যাবে। ভারতের সংবিধান অবশ্য সমাজতন্ত্রের পুঁথিগত ভাবনায় ঢুকে পড়েনি। বরং গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমাজতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি মনে করেছিলেন, তখনকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে সরকারকে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে। সেই কারণেই ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রীয়করণের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। আর প্রয়োজন ছিল পরিকাঠামো উন্নয়নের। রাস্তা, উড়ালপুল, ট্রেন লাইনের বিস্তারে জোর দিলে কাজ বাড়বে। মানুষের হাতে টাকা আসবে। ইকনমিও রোল হতে শুরু করবে। কিন্তু যথেচ্ছ পরিকাঠামো উন্নয়নে বাধা হতে পারে জমি। রাষ্ট্রীয় নীতি সুনির্দিষ্টভাবে থাকলে তার বিরোধিতা গোড়াতেই মেরে দেওয়া সম্ভব। ৩৯বি ধারা সরকারকে সেই ছাড়পত্র দিয়েছিল। ঠিক যেভাবে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতকে দিয়েছে। আর এই রাষ্ট্রীয় নীতির রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সংবিধানের ৩১সি ধারা। কীভাবে? এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নীতি (ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপাল অব স্টেট পলিসি) কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনও আইন যদি মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থী হয়, তা কার্যকর হবে না। অর্থাৎ, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যদি সংবিধানের ৩৯বি ধারা কার্যকর করতে হয়, তাহলে সংবিধানের ১৪ (সমানাধিকার) এবং ১৯ (স্বাধীনতা) ধারারও কোনও মূল্য থাকবে না। রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে ৩১সি ধারা। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, এই ধারাটিও কিন্তু ১৯৭১ সালে সংশোধনীর মাধ্যমেই সংবিধানে ঢোকানো হয়েছিল, আর ১৯৭৬ সালে তার হাত-পা আরও মজবুত করা হয়েছিল। বেশ মজার ব্যাপার কিন্তু! সমানাধিকার আছে, যতক্ষণ ‘বৃহত্তর স্বার্থ’ প্রকট না হচ্ছে। স্বাধীনতা আছে, যতক্ষণ রাষ্ট্র চাইছে। গণতন্ত্র চলছে, যতক্ষণ সমাজতন্ত্রের ফর্মুলা প্রয়োগের কথা রাষ্ট্রের মনে পড়ছে না। মানেটা পরিষ্কার—রাষ্ট্রের যখন যেমন প্রয়োজন হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা স্বৈরতন্ত্রকে হাতিয়ার করে সে সংবিধান বদলে ফেলেছে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন ছিল। এখন আর আছে বলে মনে করছে না সুপ্রিম কোর্টই। সরাসরি সে কথা না বললেও প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনও সম্পদের পার্থিব মূল্য থাকা মানেই তাতে রাষ্ট্রের দখল প্রতিষ্ঠিত হয় না। তাকে ‘কমিউনিটি রিসোর্স’ হিসেবে চিহ্নিত করার আগে দেখতে হবে তার প্রকৃতিটা কী, সামাজিক উন্নয়নে তার প্রভাব কতটা এবং অবশ্যই যাঁর থেকে সেই সম্পত্তি নেওয়া হচ্ছে, তাঁর প্রয়োজনীয়তা। অর্থাৎ, অধিগ্রহণ হইতে সাবধান। তাহলে উপায় কী? পশ্চিমবঙ্গ মডেল? অধিগ্রহণ নয়, জমি কিনে উন্নয়নের কাজে লাগানো? প্রধান বিচারপতি সে কথা বলেননি। তিনি শুধু বুঝিয়ে দিয়েছেন, ১৯৭৭ সালে বিচারপতি কৃষ্ণ আইয়ারের রায় সেই সময়ের আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল ছিল। জরুরি অবস্থা, ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে মাপকাঠি ধরলে যে সিদ্ধান্তকে অকাট্য বলে মনে হয়েছিল, তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। উদার অর্থনীতির জমানায় পা রাখার পর নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। মানেটা পরিষ্কার, সমাজতন্ত্র আর জরুরি নয়। সোজা কথায়, নতুন ভারতে ওই কনসেপ্ট অচল। মার্কেট ইকনমির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত কী? তাহলে কি সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ যেতে চলেছে ‘সমাজতন্ত্র’? আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হবে বিজেপির? এই রায়ের কয়েকদিন আগেই কিন্তু বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেছিলেন, ‘সোশ্যালিজম মানে তো সবার জন্য সমান সুযোগও হতে পারে! আমরা সেভাবে বিষয়টিকে দেখব না কেন? সমানাধিকার। সেটাও তো অর্থ সমাজতন্ত্রের। পশ্চিমি ধারণার চশমা চোখে লাগিয়ে দেখার প্রয়োজন কী?’ তাহলে সেটাই বা বিচারপতি চন্দ্রচূড় স্পষ্ট করে দিলেন না কেন? কী স্বার্থে? এটাই কিন্তু এখন চর্চার বিষয়। তবে শুধু এই একটা প্রশ্ন নয়। গোটা চর্চাটাই সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে। যতটা আশা জাগিয়ে তাঁর জমানার সূচনা হয়েছিল, মেয়াদ শেষে ততটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যাচ্ছে না বলে। 
বিচারপতির বিচার শুরু হয় অবসরের পর। সব উৎসুক নজর ঘুরে যায় তাঁর দিকে। আইন ও বিচার ব্যবস্থার ওই সর্বোচ্চ আসনটি ছেড়ে তড়িঘড়ি সরকারের কোন ‘পদে’ ভূষিত হতে চলেছেন তিনি? রামমন্দির রায়ের পর যেমন বহু দেশবাসীর মনে কৌতূহল ছিল—এই বিচারপতিদের ভবিষ্যৎ কী হবে? কাকতালীয় হতেই পারে, সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চারজনই কিন্তু অবসরের পর নানাবিধ ‘আরামদায়ক’ পদ পেয়েছেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তো রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভা আলোকিত করে রয়েছেন। বাকি ছিলেন একজন। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর বেলায় ব্যতিক্রম কেন? কারণ, তিনি সিটিং জাস্টিস। উপরন্তু দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাহলে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পালা? কেন এই প্রশ্ন? সংশয় যে তিনিই জাগিয়েছেন। নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে বেআইনি রায় দিয়ে বন্ধ করেছেন। কিন্তু তদন্তের নির্দেশ দেননি। আধার বিলকে অর্থ বিলের আসনে বসিয়ে সংসদে পাশ করিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে সাংবিধানিক প্রতারণা বলে রায় দিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। আরটিআই আইনে মোদি সরকারের গা-জোয়ারি সংশোধনী নিয়েও কথা বলেননি তিনি। তাঁর রায়ের বিরুদ্ধে অর্ডিন্যান্স জারি হয়েছে, তারপরও কঠোর হতে দেখা যায়নি বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে। উল্টে গণেশ পুজোয় তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এমনকী, অবসরের আগে তাঁর নজরকাড়া মন্তব্য—রামমন্দির রায়ের আগের দিন তিনি ঈশ্বরের সামনে বসে জানতে চেয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত কী হওয়া উচিত। ঈশ্বর তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এইসব ঘটনাক্রম সমালোচকদের প্রশ্নবাণে শান দিয়েছে। আর বাড়িয়েছে অপেক্ষা—এবার তিনিও সরকারের প্রাইজ পোস্টিংয়ে যাবেন না তো? 
কঠিন পরিস্থিতি। সাধারণ মানুষ এত মারপ্যাঁচ বোঝে না। তারা জানে শুধু বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ফারাকটা। আইন ব্যবস্থা সরকারের কথায় চলে না—এটাই হল বিশ্বাস। আর কোনও সিদ্ধান্তে সরকার বা শাসকের যদি সুবিধা হয়, তাহলে সেটা অবিশ্বাসের জন্ম দেয়। সমাজতন্ত্র ভাবনাটা যদি এই রায়ের উপর ভর করে সংবিধান থেকে মুছে যায়, তাহলে সংশয় কিন্তু বাড়বে। আর উঠে আসবে আরও একটা প্রশ্ন—এরপর কি ধর্মনিরপেক্ষতার পালা? সঙ্ঘ মনে করে, ভারত হিন্দুরাষ্ট্র। সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে ছুটে চলেছে বিজেপি। তারা ভুলে গিয়েছে, দেশভাগের পর লাগাতার দাঙ্গা থেকে মুক্তি দিয়েছিল শুধু এই একটি শব্দ। মানুষ বিশ্বাস করেছিল, ধর্মের নামে ভারতবর্ষ নয়। সহিষ্ণুতাই এই মাটির ভিত। গণতন্ত্রে সবার সমান অধিকার। ধর্মের নামে মারামাটি কাটাকাটি যত হবে, বাড়বে সামাজিক অস্থিরতা। কমবে শিক্ষার মান। ক্ষমতালোভী শাসকের লক্ষ্য সেটাই। কারণ, তখনই থাকবে আধিপত্য। স্বেচ্ছাচার। কে বলতে পারে, দু’দশক পরের টার্গেট আর একটি শব্দ হবে না... ‘গণতন্ত্র’।
12th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
একনজরে
জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে। বাড়তে চেলেছে ইপিএফে মাসিক বেতনের ঊর্ধ্বসীমা। আগামী ৩০ নভেম্বর ইপিএফও-র অছি পরিষদের বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা। ...

বেপরোয়া গাড়িচালকদের রেষারেষি থেকে একের পর এক নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় রাশ টানতে আগামী কাল, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই বৈঠক ডাকছে রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পরিবহণ দপ্তর। ...

শুধু ‘তরুণের স্বপ্ন’ নয়, রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলিকেও টার্গেট করেছিল মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ধৃত হাসেম আলি। তার গ্যাং কৃষকবন্ধু, কন্যাশ্রী বা বার্ধক্য ভাতার মতো প্রকল্পের টাকা হাতিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ...

দ্রুত কমছে জন্মহার। এই সমস্যার মোকাবিলায় চেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না রাশিয়া। এবার জনসংখ্যা হ্রাস রুখতে যৌনতা সংক্রান্ত বিশেষ মন্ত্রক তৈরির চিন্তাভাবনা করছে ভ্লাদিমির পুতিন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৪২: লন্ডনে রাজা প্রথম চার্লসের সঙ্গে সংসদের তুমুল বিতর্ক হয়
১৮০৫: ফরাসিরা ভিয়েনা দখল করে
১৮৩৫: মেক্সিকোর কাছ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে টেক্সাস
১৮৬৪: গ্রিসের নতুন সংবিধান গৃহীত হয়
১৯০৭: পল কমু’র উদ্ভাবিত হেলিকপ্টার প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ে
১৯১৩: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছায়
১৯৪৭: রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) অ্যাসল্ট রাইফেল একে-৪৭ চূড়ান্তভাবে তৈরি করে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিখাইল কালাশনিকভ এই উন্নত স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরি করেন বলে তাঁর নামানুসারে এর এর নাম দেয়া হয় আভটোমাট (স্বয়ংক্রিয়) কালাশনিকভ ১৯৪৭ বা সংক্ষেপে একে-৪৭
১৯৬৭: বিশিষ্ট অভিনেত্রী জুহি চাওলার জন্ম
১৯৮৯: আকস্মিক ধসে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জের কয়লাখনির অভ্যন্তরে ৭১ শ্রমিক আটকে পড়েন। পরে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ক্যাপসুলের সাহায্যে ৬৫ জনকে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে এই উদ্ধার পদ্ধতি বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে
২০০১: সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী' ও 'অপরাজিতা' র সর্বজয়া খ্যাতা বিশিষ্ট অভিনেত্রী করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২১: আন্তর্জাতিক সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক উইলবার স্মিথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৭ টাকা ৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৬৭ টাকা ১১০.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৪ টাকা ৯১.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ কার্তিক, ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী ১৭/৫৫ দিবা ১/২। রেবতী নক্ষত্র ৫৩/১৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৫১/৫৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৮/৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/১৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৩৫ গতে ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৭ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ১২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/১৫ মধ্যে। 
২৭ কার্তিক, ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী দিবা ৯/৫৭। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে ও ৭/৩৪ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ১০/২৪ গতে ১২/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে ও ৮/২১ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ৩/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৭ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/২২ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/১৫ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি২০: ২১ রানে আউট রেজা, দঃ আফ্রিকা ৪৭/২ (৫.৩ ওভার), টার্গেট ২২০

11:29:00 PM

তৃতীয় টি২০: ২০ রানে আউট রায়ান, দঃ আফ্রিকা ২৭/১ (৩ ওভার), টার্গেট ২২০

11:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ফের শুরু হল ম্যাচ, দঃ আফ্রিকা ৭/০ (১ ওভার), টার্গেট ২২০

11:11:00 PM

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ব্রাউন সুগার তৈরির কাঁচামাল সহ ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল মালদহ জেলা পুলিস

10:49:00 PM

তৃতীয় টি২০: মাঠে পোকার উৎপাতে সাময়িক ভাবে বন্ধ ভারত-দঃ আফ্রিকা ম্যাচ

10:45:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন জো বাইডেন

10:38:00 PM